নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগে চাপ বাড়ছে

কেপি শর্মা ওলি
কেপি শর্মা ওলি

ভারতীয় সীমান্তের বিতর্কিত তিনটি এলাকা অন্তর্ভুক্ত করে সম্প্রতি নতুন মানচিত্র তৈরি করে নেপাল। এই পদক্ষেপের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এ জন্য নয়াদিল্লি নাখোশ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ তোলেন ওলি। তাঁর ওই অভিযোগের পর নিজ দলের ভেতরই কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। বিরোধীদেরও বিরাগভাজন হন। এখন তাঁর ক্ষমতায় থাকা নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

নেপালের প্রভাবশালী পত্রিকা কাঠমান্ডু পোস্টের অনলাইনের খবরে গতকাল বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ওলিকে পদত্যাগে বাধ্য করতে তৎপরতা শুরু করেছেন  কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দহল। এ জন্য তিনি গতকাল সকালে কাঠমান্ডুতে দলের আরেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী ওলির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দহলের প্রেস উপদেষ্টা বিষ্ণু সাপকোটা এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ওই বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু পাউদেল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গাওয়ালিসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

>ভারতের সঙ্গে সীমান্তবিরোধ
নিজ দলের ভেতরই কোণঠাসা ওলি
বিরোধীদেরও বিরাগভাজন
পার্লামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ বাজেট অধিবেশন মুলতবি

খবরে আরও বলা হয়, পুষ্প কমল দহল, মাধব কুমার নেপালের মতো জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারপারসন উভয় পদ থেকে ওলির পদত্যাগের দাবি করেছেন। আগের দিন বুধবার দহলের ঘনিষ্ঠজনেরা এ বিষয়ে বৈঠকও করেন বলে দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে। কোনো গোলমালে না গিয়ে আপসে ওলিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। 

চরম চাপে পড়া প্রধানমন্ত্রী ওলিও গদি বাঁচানোর চেষ্টায় আছেন। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে সকালে নিজের সরকারি বাসভবন বালুওয়াটারে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারি ও দহলের সঙ্গেও একাকি বৈঠক করেন ওলি। মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশন মুলতবি সুপারিশ করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন মুলতবি করেন।