সবাই জেগে ওঠো, করোনা থামাও: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

রিও ডি জেনিরোতে করোোভাইরাস-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করায় মানুষ মাস্ক পরে বেরিয়েছে। ছবি: রয়টার্স
রিও ডি জেনিরোতে করোোভাইরাস-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করায় মানুষ মাস্ক পরে বেরিয়েছে। ছবি: রয়টার্স

করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা। বেশ কয়েকটি দেশে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে দ্বন্দ্ব ভুলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

আজ শনিবার আল–জাজিরার এক খবরে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গুরুতর করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শিকার দেশগুলোকে দ্বন্দ্বের পরিবর্তে বাস্তবতার নিরিখে এর ওপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এসব দেশকে জেগে ওঠার কথা বলেছে।


জেনেভায় জাতিসংঘের সংবাদদাতাদের সমিতি দ্বারা আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচওর জরুরি অবস্থার পরিচালক মাইকেল রায়ান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানুষকে জেগে উঠতে হবে। তথ্য মিথ্যা নয়। বর্তমান মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি মিথ্যা নয়।’

গত বছর চীন থেকে ভাইরাসটি ছড়ানোর পর বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এটি ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৮ লাখের বেশি মানুষ ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এতে মারা গেছেন ৫ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষ।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকায় করোনার সংক্রমণ বিস্তারে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়, এ মহামারি শেষ হওয়ার ধারেকাছেও নেই।

সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘আমরা সবাই এর সমাপ্তি চাই। আমরা সবাই আমাদের জীবন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে, এটা শেষ হওয়ার ধারেকাছেও নেই। কিছু দেশ যদিও কিছুটা উন্নতি করেছে, তবু বিশ্বজুড়ে মহামারিটি দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে।’