টিকটক নিষিদ্ধের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

ভারতের পর এবার টিকটক নিষিদ্ধ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। টিকটকসহ চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের কথা যুক্তরাষ্ট্র ভাবছে বলে গতকাল সোমবার জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের লরা ইনগ্রাহামকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাইক পম্পেও যুক্তরাষ্ট্রে চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ, বিশেষত টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা—এমন প্রশ্নের উত্তরে পম্পেও বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। মানুষের সেলফোনে থাকা চীনা অ্যাপগুলোর বিষয়ে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, যুক্তরাষ্ট্র সঠিক সিদ্ধান্তটিই নেবে। মানুষের এসব অ্যাপ তখনই নিজের ডিভাইসে ডাউনলোড করা উচিত, যদি তারা চায় যে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির হাতে পৌঁছাক।’

এ বিষয়ে টিকটকের মুখপাত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘টিকটকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একজন মার্কিন। এর নিরাপত্তা, পণ্য ও জননীতি সম্পর্কিত নেতৃত্ব পর্যায়ে কয়েক শ মার্কিন কাজ করছেন। আমাদের অ্যাপ ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীদের তথ্য আমরা কখনোই চীন সরকারকে দিইনি এবং এমন কোনো তথ্য চাইলে আমরা তা দেবও না।’

মাইক পম্পেও এমন এক সময়ে এ ধরনের কথা বললেন, যখন চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু বিষয়ে সরাসরি দ্বন্দ্ব চলছে। জাতীয় নিরাপত্তা, বাণিজ্য কিংবা প্রযুক্তি প্রতিটি ক্ষেত্রেই এ দু দেশ পরস্পরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত। এদিকে চীন-ভারত দ্বন্দ্বের জেরে এরই মধ্যে ভারত টিকটক নিষিদ্ধ করার কথা বলেছে। ফলে পম্পেওর এই উক্তি বড় ধরনের আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বেইজিংভিত্তিক স্টার্টআপ বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক নিয়ে আগে থেকেই মার্কিন রাজনীতিকদের একটি অংশ সমালোচনামুখর ছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, এই বিশেষ অ্যাপের সঙ্গে চীন সরকারের সংযোগ রয়েছে। ছোট ছোট ভিডিওর এ অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নেয় এবং তা চীনের কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত গোয়েন্দা বিভাগকে দিয়ে সহায়তা করে। কিন্তু টিকটক বরাবরই বলে আসছে যে, তারা বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন হলেও তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ আলাদাভাবে পরিচালিত হয়। তাদের তথ্যকেন্দ্রগুলোর কোনোটিই চীনে নয়। ফলে তাদের আওতায় থাকা কোনো তথ্যই চীনের আইনের আওতায় পড়ে না।