কলকাতার ইডেনে গার্ডেন স্টেডিয়ামে কোয়ারেন্টিন সেন্টার

কলকাতার বিজয়গড়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কলকাতার বিজয়গড়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের করোনার সংক্রমণের রাশ টানা যাচ্ছে না কিছুতেই। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছে ১ হাজার ১৯৮ জন। মারা গেছে ২৬ জন। এর মধ্যে কলকাতায় সংক্রমিত ৩৭৪ জন। মৃত মানুষের সংখ্যা ১৩। পুলিশ সদস্যদের জন্য ইডেন গার্ডেনে কোয়ারেন্টিন সেন্টার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে মোট সংক্রমিত ২৭ হাজার ১০৯ জনের মধ্যে কলকাতার রয়েছেন ৮ হাজার ৭৪২ জন। মোট মৃত মানুষের সংখ্যা ৮৮০ জনের মধ্যে কলকাতায় ৪৭০ জন।

সব মিলিয়ে এখন কলকাতাসহ এই রাজ্যে করোনায় মারা গেছেন ৮৮০ জন। সংক্রমিত ২৭ হাজার ১০৯ জন।

কলকাতার সব নামী হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের করোনা শয্যা রোগীতে ভরে গেছে। মিলছে না নতুন শয্যা। তাই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অবিলম্বে বিভিন্ন হাসপাতালে আরও এক হাজার এই ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড বেড বাড়ানোর।

করোনায় সংক্রমিত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য এবার কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে গড়া হচ্ছে একটি অস্থায়ী কোয়ারেন্টিন সেন্টার। এখানে চিকিৎসা নেবেন পুলিশ কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া ইডেন পরিদর্শন করে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইডেন গ্যালারির ই, এফ, জি, এইচ ব্লকে গড়া হবে এই কোয়ারেন্টিন সেন্টার। প্রয়োজনে নেওয়া হতে পারে জে ব্লকও।

গত বৃহস্পতিবার কলকাতার অতি সংক্রমিত এলাকাসহ ২৫টি রাজ্যের মোট ৪৩৪টি কনটেনমেন্ট জোনে নতুন করে কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে। গতকাল দেখা গেছে, বহু এলাকায় মানা হচ্ছে না এই লকডাউন। মানুষ মুখে মাস্ক পরছে না। লকডাউন এলাকায় দেওয়া বেড়া ও ব্যারিকেডের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে সাত দিনের এই লকডাউনকে আরও কড়া করার জন্য পুলিশকে যথাযথ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকালই কলকাতায় আরও ৩টি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একইভাবে রাজ্যের আরও ২৩টি এলাকাকে এই কনমেন্ট জোনের আওতায় নেওয়া হলে রাজ্যে এখন কনটেনমেন্টের জোনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৬০।

কলকাতায় করোনার জন্য গড়া কোভিড হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে এখন আর শয্যা খালি নেই। কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪৪টি, ডিশান হাসপাতালের ৯০টি, বেলেঘাটা আইডি ১৪টি, আমরি হাসপাতাল ২৪টি ও কেপিসি হাসপাতালের ১৩টি শয্যাও খালি নেই।