পশ্চিমবঙ্গে ৮ দিনে এক-তৃতীয়াংশের করোনার সংক্রমণ

কলকাতার লকডাউন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি।
কলকাতার লকডাউন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না করোনার সংক্রমণ। মাত্র গত ৮ দিনে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ২০ হাজার থেকে বেড়ে ৩০ হাজার হয়েছে। রাজ্যে সর্বাধিকভাবে ১০০ নমুনা পরীক্ষার নিরিখে পজিটিভ আসার কথা ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সেখানে গত চার দিনে সেই হার বেড়ে ১০ শতাংশের বেশি হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ১৭ মার্চ। ৪ জুলাই পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের বেশি। আর গত ৮ দিনেই ১০ হাজার বেড়ে গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জনের বেশি মানুষ করোনায় পজিটিভ হয়েছে। এতে করোনার নমুনার পরীক্ষা আরও বাড়াতে এবার রাজ্য সরকার ৫ কোটি রুপি ব্যয় করে সুইজারল্যান্ড থেকে আনছে আধুনিক নমুনা পরীক্ষার যন্ত্র। এখন অবশ্য রাজ্যে প্রতিদিন ১৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে। নতুন মেশিন আগস্টে এলে পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো যাবে।

পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আরও ১ হাজার ৫৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর মারা গেছে ২৬ জন। এর মধ্যে কলকাতায় মারা গেছে ১৩ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজার ১৩ জন। আর মারা গেছে ৯৩২ জন। এর মধ্যে শুধু কলকাতার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪৫৪ জন। আর মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৭০৯ জনের। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬ লাখ ১৭ হাজার ৭৯ জনের। আর সুস্থ হয়েছে ১৮ হাজার ৫৮১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬২২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় কোচবিহার, কালিম্পং, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলায় কোনো সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক সংক্রমণ হয়েছে কলকাতায়। সংখ্যা ৪৫৪। এরপর উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৫৭, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ১৬১, হাওড়ায় ১২৭ আর মালদহে ৫৯ জন।

কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কনটেনমেন্ট জোনকে (বেশি সংক্রমিত এলাকা) আরও কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এসব জোনে মানুষের ঢোকা বা বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও মানুষ পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মাঝেমধ্যে বেরিয়ে পড়ছে। পুলিশও এবার মাস্কহীন মানুষদের ধরছে। লকডাউন অমান্যকারীদের আটক করছে।