পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বন্যা

জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত
জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলা কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মালদহ, বীরভূম ও নদীয়ার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। একটানা প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা, তোর্ষা, রায়ঢাক, মহানন্দার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। পানিতে ডুবে গেছে অনেক ফসলি জমি, বাড়িঘর। ভেসে গেছে কাঁচাবাড়ি ও পবাদিপশু।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে কোচবিহার জেলার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি, নিজতরফ, বাকডোকরা-ফুলকাদাবরি পঞ্চায়েত এলাকা কার্যত পানিবন্দী। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। মাঠঘাট পানিতে থৈ থৈ।

মেখলিগঞ্জের মহকুমা শাসক রাম কুমার তামাং বলেছেন, মহকুমায় ৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার্ত মানুষকে রক্ষায় এলাকায় ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।কোচবিহার জেলায় এ পর্যন্ত ১৯টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।

জেলার তুফানগঞ্জ, দিনহাটা, সিতাইর বহু এলাকা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সিতাইতে ভেঙে গেছে নদীর একটি বাঁধ। এতে প্লাবিত সিতাইর নিচু এলাকা। এখন বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চলছে।

কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের অনেক মানুষ পানিবন্দি। ছবি: সংগৃহীত
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের অনেক মানুষ পানিবন্দি। ছবি: সংগৃহীত

জলপাইগুড়ির পৌর এলাকাও প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক পাপিয়া পাল বলেছেন, তিস্তা ফুঁসছে। তিস্তার পানি অনেক এলাকা ডুবিয়ে দিয়েছে। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির প্রায় ৫০০ পরিবার এখন পানিবন্দী।

বীরভূমের লাভপুরও পানিতে ডুবে গেছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে চলে গেছে। জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বলেছেন, বন্যার্ত মানুষজন উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া নদীয়া জেলার একাংশ ডুবে গেছে পানিতে। নিচু এলাকার জমির ফসল ডুবে গেছে। ভেসে গেছে কাঁচাবাড়ি।