পশ্চিমবঙ্গে করোনাযোদ্ধার মৃত্যুতে ১০ লাখ রুপি

জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গে করোনাযুদ্ধে কোনো চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ বা স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হলে তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের একজনকে দেওয়া হবে সরকারি চাকরি।

গতকাল বুধবার বিকেলে রাজ্য সচিবালয় নবান্নে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানিয়েছেন।

মমতা জানান, কোনো করোনাযোদ্ধা অসুস্থ হলে তাঁকে দেওয়া হবে ১ লাখ রুপির আর্থিক সহায়তা।
রাজ্যে এ পর্যন্ত ১২ জন সরকারি কর্মীর করোনায় মৃত্যু হয়েছে।

যেসব করোনাযোদ্ধা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন, তাঁরা এখন করোনাযোদ্ধা হিসেবে কাজ করতে চাইলে তাঁদের স্বাগত জানানো হবে বলে মন্তব্য করেন মমতা।এদিন মমতা রাজ্যের বিভিন্ন করোনাযোদ্ধার হাতে মানপত্র ও মেডেল তুলে দেন।

মমতা বলেন, আগামী দুমাসে রাজ্যে করোনা চরম আকার ধারণ করতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা ভবনে কর্মরত কর্মীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ঘটেছে। এ কারণে বিধানসভার সব দপ্তর আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ১২ জন কর্মী করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এ জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পৌরসভার সব কার্যক্রম।এ ছাড়া আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাওড়ার উলবেড়িয়া ও হুগলির শ্রীরামপুর পৌরসভার কার্যক্রম।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ১ হাজার ৫৮৯ জন। মারা গেছে ২০ জন।একই সময় কলকাতায় সংক্রমিত হয়েছে ৪২৫ জন। মারা গেছে ১০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গের ২৩ জেলার মধ্যে কালিম্পংও ঝাড়গ্রামে করোনার কোনো সংক্রমণ ঘটেনি।
পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৪২৭ জন। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার। মোট সুস্থ ২০ হাজার ৬৮০ জন।

রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে ৫২টি ল্যাবে। এর মধ্যে সরকারি ল্যাব ২৬ টি, বেসরকারি ৫৪ টি।
মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৮ টি।
রাজ্যে সরকারি কোয়ারিন্টনে আছেন ৪ হাজার ৩৩ জন। হোম কোয়ারেটিনে রয়েছেন ২৪ হাজার ৩০৩ জন।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নান ও সিপিএমের পরিষদীয় দলের নেতা বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন, ১০০ দিনে রাজ্য সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে কী করতে পেরেছে? এই সময়ে বরং বেড়েই চলেছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার।