হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতায় উসকানির অভিযোগে ৪ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

হংকংয়ে ১ জুলাই জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর হয়। এএফপি ফাইল ছবি
হংকংয়ে ১ জুলাই জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর হয়। এএফপি ফাইল ছবি

হংকংয়ে চার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চীনের জারি করা নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনে পুলিশের প্রথম অভিযানে এই চার শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হন। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, হংকংয়ে ১ জুলাই জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ওই চার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হংকংয়ের স্বাধীনতাপন্থী একটি গোষ্ঠী বলেছে, গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাঁদের এক সাবেক নেতা রয়েছেন। তাঁর নাম টনি চুং।

গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। তাঁদের বয়স ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে।

পুলিশের ভাষ্য, বিচ্ছিন্নতায় উসকানি ও সংগঠনের সন্দেহে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের সূত্র ও তদন্তে দেখা গেছে, হংকংয়ের স্বাধীনতার উদ্দেশ্যে একটি সংগঠন গড়ার বিষয়ে এই গোষ্ঠীটি সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে কম্পিউটার, ফোন ও নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।

নতুন আইনের আওতায় আগেও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। আগে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে বিক্ষোভে স্লোগান ও ব্যানার প্রদর্শনের অভিযোগে।

চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করতে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করেছে বেইজিং।

নতুন আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কেন্দ্রীয় সরকারের পতন, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাতমূলক যেকোনো কাজ শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া হংকংয়ের আইনসভাকে পাশ কাটিয়ে যেকোনো নিরাপত্তাসংক্রান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এ আইনে। এই আইন কেউ ভঙ্গ করছেন কি না, তা দেখভালের জন্য হংকংয়ে কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে চীনের নিরাপত্তা বাহিনী, যা আগে পারত না।

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীরা বলছেন, হংকংবাসীর যে স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন অবশিষ্ট ছিল, সেটাও ধূলিসাৎ করে দেবে আইনটি।