করোনাকালে শ্রীলঙ্কার হস্তীর স্বস্তি

করোনার কারণে লকডাউনে শ্রীলঙ্কায় মানুষ ও হাতির সংঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। দেশটির প্রাণী সংরক্ষণবিদেরা এ তথ্য জানাচ্ছেন। খবর এএফপির।

শ্রীলঙ্কা সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মানুষের হামলায় ৪০৫টি হাতির মৃত্যু হয়। এর আগের বছর, অর্থাৎ, ২০১৮ সালে মারা যাওয়া হাতির সংখ্যা ছিল ৩৬০টি। গত বছর হাতির হামলায় নিহত হয় ১২১ জন। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৯৬ জন।

আজ বুধবার বিশ্ব হাতি দিবসে হাতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জয়ন্ত জয়াবর্ধনে বলেন, ‘কারফিউ বা লকডাউনের কারণে মানুষ-হাতির সংঘাত কমেছে। তবে এ পরিস্থিতি সাময়িক। কৃষকেরা তাঁদের ফসল রক্ষায় নামলে আবার হাতি হত্যা শুরু হবে।’

শ্রীলঙ্কায় বেশির ভাগ হাতি মারা যায় কৃষকদের হাতে। হাতিদের গুলি করে বা বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়। কৃষকের ফসলে হানা দিতে এলেই এমন ঘটনা ঘটে। বৌদ্ধধর্মাবলম্বী দেশটিতে হাতি পবিত্র প্রাণী হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু এরপরও হাতি হত্যা বন্ধ হচ্ছে না।

প্রাণী সংরক্ষণবিদ এবং শ্রীলঙ্কার বন্য প্রাণী বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক সুমিত পিলাপিতিয়া বলেন, এই লকডাউনের সময় হাতি হত্যার সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমে গেছে।

পিলাপিতিয়া বলেন, ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে ২৪০টি করে হাতি মারা পড়েছে শ্রীলঙ্কায়।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন হাতির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজারে। ১৯৯০ এর দশেকে এ সংখ্যা ছিল ১২ হাজার।

দেশটিতে গত মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিক লকডাউন শুরু হয় শেষ হয় জুন মাসে। এরপর আবার হাতির শিকার শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা। শ্রীলঙ্কায় পাওয়া ‘এশিয়ান এলিফ্যান্ট’ বিপদাপন্ন একটি প্রজাতি।