সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেরেছে ইসরায়েল

মায়সুন খতিব যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এক ফিলিস্তিনি নারী। চার সন্তানের মা। তাঁর ফেসবুক পাতাজুড়ে ছিল নিজের সন্তানদের ছবি। সম্প্রতি হাসি-আনন্দ-মজায় ভরা সেইসব ছবির বদলে পোস্ট দিতে শুরু করেন সুদূর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় রক্তাক্ত ফিলিস্তিনি শিশুদের মর্মান্তিক ছবি।
মায়সুনের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ডে। তাঁর বাবা ফিলিস্তিনি, মা ব্রাজিলীয়। ফেসবুকে মায়সুন লিখেছেন, ‘আমি আমার অ-আরব বন্ধুদের কাছে গাজায় কী ঘটছে, তা তুলে ধরার চেষ্টা করছি’।
মায়সুন একা নন। গাজায় এবারের ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে সারা বিশ্বের অগণিত মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে লড়াই করছে। আর এ লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছে পরাক্রান্ত ইসরায়েল।
গাজার ইসরায়েলি হামলায় গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত এক হাজার চারশর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর একটি বড় অংশ শিশু। ইসরায়েলি বোমা ও গোলায় গুঁড়িয়ে গেছে হাজারো বসতঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ এমনকি হাসপাতাল।
গাজায় চলমান এ নির্মম হামলার পক্ষে-বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে তুমুল বাগ্যুদ্ধ। এমনকী মার্কিনিরাও এ হামলার বৈধতা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। ২২-২৩ জুলাই পরিচালিত এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ মার্কিন নাগরিক মনে করে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে এ অভিযান সঠিক। কিন্তু ৩৯ শতাংশ এর বিপক্ষে মত দিয়েছে। তরুণদের ৫১ শতাংশই মনে করে, ইসরায়েল অন্যায় করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রার্থী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমবিষয়ক বিশ্লেষক লাইলা শিরিন বলেন, গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি বলে উপস্থাপনে ইসরায়েলের বরাবরের কৌশল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।এনবিসি, ভোয়া।