মুফতির বক্তব্যে ওমরের খোঁচা

বিধানসভা নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে পাকিস্তান, হুরিয়াত ও জঙ্গিরা সহায়তা করেছে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মুফতি মোহাম্মদ সাঈদের এ বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সদ্য বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও দ্য হিন্দুর।
টুইটারে এক বিবৃতিতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওমর আবদুল্লাহ লেখেন, ‘পাকিস্তান, হুরিয়াত এবং জঙ্গিরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে দিয়েছে, বলেছেন মুফতি সাঈদ। আমার মনে হয়, তাদের এই বদান্যতার জন্য কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। বিজেপির বন্ধুরা, দয়া করে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, নির্বাচনী কর্মীদের অবদানটা একটু বলুন।’
গতকালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ওমর আবদুল্লাহর ন্যাশনাল কনফারেন্সের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
এদিকে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জন্য তাঁকে খোঁচার পাশাপাশি নবনির্বাচিত পিডিপি-বিজেপি জোট সরকারের প্রতি শ্লেষাত্মক মন্তব্য করেছে কংগ্রেস ও সিপিআই (এম)। ভারতের রাজ্যসভায় বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদ গতকাল রোববার মুফতি সাঈদকে
বিজেপির বিতর্কিত ধর্মান্তরকরণ কর্মসূচি সম্পর্কে ‘সাবধান থাকতে’ বলেছেন।
বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতা আজাদ বলেন, ‘বিজেপির কাছে বর্তমান সময়টা যেহেতু ধর্মান্তরকরণের বা ঘরে ফেরার, তাই পিডিপি নেতৃত্বকে সাবধান থাকতে হবে যেন পিডিপি ধর্মান্তরিত হয়ে বিজেপি না হয়ে যায়।’
গোলাম নবী আজাদ বলেন, ‘এটাকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান না বলে জম্মুতে বিজেপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক বলা ভালো।’
এর আগে আজাদ বলেছিলেন, এখন থেকে পিডিপি-বিজেপি জোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নাগপুর থেকে।
নাগপুরেই বিজেপির আদর্শিক সংগঠন কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদর দপ্তর।
জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্য সিপিএম নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ তারিগামি বিজেপি-পিডিপি জোটকে আখ্যা দিয়েছেন ‘মতানৈক্যের জোট’ হিসেবে।