তিকরিতের কেন্দ্রের দিকে এগোচ্ছে ইরাকি বাহিনী

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বোমা ও অতর্কিত হামলার মধ্যেও তিকরিত শহর পুনরুদ্ধারে ইরাকের সরকারি বাহিনীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। শহরটির উত্তরের কাদিসিয়া এলাকা থেকে গত বুধবার আইএসকে হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে তারা। সেনাদের আরেকটি দল দ্রুততার সঙ্গে তিকরিতের কেন্দ্রস্থলের দিকে এগোচ্ছে। খবর এএফপি ও আল-জাজিরার।
ইরাকি সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী মিলিশিয়াদের সমন্বিত বাহিনী গত মঙ্গলবার তিকরিতের উত্তরাঞ্চলীয় আল-আলম এলাকা দখল করতে সক্ষম হয়। বুধবার তারা সাবেক ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের জন্মভূমি ও আইএসের শক্ত ঘাঁটিগুলোর মধ্যে অন্যতম তিকরিতের উত্তর ও দক্ষিণের কিছু এলাকায় প্রবেশ করে। অভিযানে থাকা একজন মেজর জেনারেল নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কাদিসিয়া থেকে আইএসকে নির্মূল করার কাজ চলছে। তবে তিনি এ-ও বলেন, গোপন ফাঁদ ও অতর্কিত হামলার শিকার হওয়ায় তাদের অগ্রযাত্রার গতি ধীর।
গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে এক শুনানিতে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি বলেছেন, ইরাকের সরকারি বাহিনীর হাতে তিকরিত শহরের পতনের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। তবে সেখান থেকে আইএসকে হটানোর পর অভিযানে অংশ নেওয়া শিয়া মিলিশিয়াদের হাতে স্থানীয় সুন্নিদের পরিণতি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।
আইএসের নির্মমতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর প্রেক্ষাপটে জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে লড়তে বারাক ওবামা সরকার বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের কাছে বাড়তি ক্ষমতা চেয়েছেন।
এবার খোরাসাবাদ লন্ডভন্ড: নিনেভে, নিমরুদ ও হাত্রার পর এবার আইএস জঙ্গিদের হাতে লন্ডভন্ড হয়েছে আরেক প্রাচীন ইরাকি শহর খোরাসাবাদ। ২ হাজার ৭০০ বছরের পুরোনো শহরটি মানুষের মাথাবিশিষ্ট পাখাওয়ালা ষাঁড়ের মূর্তির জন্য বিখ্যাত। ইরাকের পুরাকীর্তি বোর্ড ও পুরাকীর্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয় উভয়ই আইএসের এ ধ্বংসযজ্ঞের বিষয়টি গত বুধবার নিশ্চিত করেছে।