আরব দলগুলোর প্রথম জোট গঠন

আরব রাজনৈতিক দলগুলোর একটি জোট ইসরায়েলে নতুন শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। এর ফলে ইহুদি রাষ্ট্রটি আরব সংখ্যালঘুদের প্রতি মনোযোগ দিতে বাধ্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে ইসরায়েলে সাধারণ নির্বাচন। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।
একাধিক জনমত জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, নতুন পার্লামেন্টে আরব-ইসরায়েলিদের জোট তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।
ইসরায়েলে বসবাসকারী আরব জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১৭ লাখ। এটি দেশটির মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। নতুন জোটে আরব বংশোদ্ভূত মুসলিম, খ্রিষ্টান, দ্রুজ ও ইহুদিরা রয়েছে। এতে ধার্মিক মুসলিম, ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থী, জাতীয়তাবাদী, পুঁজিবাদী, সমাজতন্ত্রী ও সাম্যবাদী ইত্যাদি প্রায় সব মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। বলা হচ্ছে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র ইসরায়েলেই এ রকম জোট হয়েছে।
১২০ সদস্যের ইসরায়েলি পার্লামেন্টে (নেসেট) ঠাঁই করে নিতে একটি রাজনৈতিক দলের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ভোট নিশ্চিত করতে গত বছরই ওই জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে আরব নেতৃত্বাধীন ছোটখাটো দলগুলো ‘জয়েন্ট লিস্ট’ ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তবে ইসরায়েলি রাজনৈতিক অঙ্গনে এই জোট কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, আরব-ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সরকারের নীতির সমালোচনা করে আসছে। ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে মতৈক্য হওয়ার সম্ভাবনাও কম বলে সরকারে তাদের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে রাজনীতিতে ‘জয়েন্ট লিস্টের’ আত্মপ্রকাশে ইসরায়েলের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেদের আগের তুলনায় কম উপেক্ষিত ভাবতে শুরু করবে—এমনটাই আশা করা হচ্ছে। জোটের সবচেয়ে বড় শরিক হাদাশের নেতা আয়মান ওদেহ বলেন, তাঁরা লোকচক্ষুর অন্তরালের মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। সব মানুষের কাছে তাঁরা আশার বার্তা পৌঁছে দিতে চান, কেবল আরব বা ইহুদিদের কাছে নয়।