চলে গেলেন সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্য

সুচিত্রা ভট্টাচার্য
সুচিত্রা ভট্টাচার্য

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্য মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১১টার দিকে ঢাকুরিয়ার বাড়িতেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
এই সাহিত্যিকের মৃত্যুর খবরে সাহিত্য এবং সংস্কৃতি জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
১৯৫০ সালের ১০ জানুয়ারি ভারতের বিহার রাজ্যের ভাগলপুরে জন্ম সুচিত্রা ভট্টাচার্যের। উপন্যাস ও ছোট গল্প লিখেছেন। তাঁর লেখা বিখ্যাত উপন্যাসগুলির মধ্যে ‘কাছের মানুষ’, ‘কাচের দেওয়াল’, ‘হেমন্তের পাখি’, ‘অলীক সুখ’ উল্লেখযোগ্য। এই উপন্যাসগুলির মধ্যে কয়েকটি নিয়ে সিনেমাও তৈরি হয়েছে। এই লেখিকার গোয়েন্দা চরিত্র ‘মিতিন মাসি’ অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।
সাহিত্য জীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন সুচিত্রা ভট্টাচার্য। এগুলোর মধ্যে ১৯৯৬ সালে জাতীয় পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে কথা পুরস্কার, ২০০০ সালে তারাশঙ্কর পুরস্কার উল্লেখযোগ্য।
দেশ পত্রিকা থেকে জানা যায়, সুচিত্রা ভট্টাচার্যের স্কুল ও কলেজজীবন কেটেছে দক্ষিণ কলকাতায়। কলেজে পড়তে পড়তেই বৈবাহিক ও চাকরিজীবনের শুরু। বহু ধরনের বিচিত্র চাকরির পর সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছা-অবসর নেন তিনি। সাহিত্যের প্রতি আকর্ষণ ছিল ছোটবেলা থেকেই, লেখালেখিতে আসেন সত্তর দশকের শেষভাগে। নারীদের নিজস্ব জগতের যন্ত্রণা, সমস্যার কথা ঘুরেফিরে এসেছে তাঁর লেখায়। এ ছাড়া মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের নানান জটিলতার ছবিও উঠে এসেছে লেখায়। এ যাবৎ প্রকাশিত উপন্যাসসমূহের মধ্যে ‘কাছের মানুষ’ বৃহত্তম রচনা। ‘দহন’ উপন্যাসের জন্য কর্নাটকের শাশ্বতী সংস্থা থেকে পেয়েছেন ননজনাগুডু থিরুমালাম্বা জাতীয় পুরস্কার ১৯৯৬। তাঁর বহু উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে, পেয়েছেন অজস্র পুরস্কার।