ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হাতে গতকাল শুক্রবার ছয়জন ফিলিস্তিনি মারা যাওয়ার ঘটনায় সহিংসতার ব্যাপকতা বেড়ে গেছে। ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮০ জন আহত হয়েছেন। খবর এএফপির।
ফিলিস্তিনের কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস আবার গণবিক্ষোভ (ইন্তিফাদা) শুরুর আহ্বান জানিয়েছে। গাজায় ২০১৪ সালের রক্তক্ষয়ী ইসরায়েলি অভিযানের পর থেকে গতকালই হতাহতের সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটে।
প্যালেস্টিনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) মহাসচিব সায়েব এরাকাত বলেছেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তাঁর সরকার ফিলিস্তিনে নতুন করে গণহত্যা শুরু করেছে।’
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া গতকাল গাজার একটি মসজিদে দেওয়া বক্তব্যে ‘ইন্তিফাদা’ জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইন্তিফাদার মাধ্যমেই মুক্তি আসবে।
চলমান উত্তেজনার মধ্যে গতকাল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামাসশাসিত গাজায় হামলা করলে শত শত ফিলিস্তিনি মুখে কাপড় বেঁধে তাদের ওপর পাথর ছোড়ে।
এদিকে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ছুরিকাঘাতের ঘটনাও বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। ১৭ বছরের এক ইসরায়েলি কিশোরের প্রতিশোধ হামলায় দুই ফিলিস্তিনি এবং দুই আরব ইসরায়েলি নাগরিক আহত হয়েছেন। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ওই কিশোর হামলার কারণ হিসেবে বলেছে, ‘সব আরবই সন্ত্রাসী।’ গত শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত ১৩টি ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। হামলার সময় বা পরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনারা পাঁচজনকে হত্যা করে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এই হামলার নিন্দা করে একে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার অশনিসংকেত হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
এর আগে ১৯৮৭ ও ২০০০ সালে দুই পর্যায়ে ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার সময় ছুরিকাঘাতের ঘটনা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে উঠেছিল।