'সেটি ছিল রক্তস্নান'

হামলায় রক্তাক্ত প্যারিস
হামলায় রক্তাক্ত প্যারিস

‘সেটি ছিল একটি রক্তস্নান’ বলছিলেন জুলিয়েন পেরেজ। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের বাটাক্লঁ কনসার্ট হলে সন্ত্রাসী হামলার এক প্রত্যক্ষদর্শী তিনি।
অন্যদের মতো তিনিও কনসার্ট উপভোগ করতে গিয়েছিলেন ওই হলটিতে। পেরেজের ভাষ্য, হামলা যখন শুরু হয় তখন তিনি ছিলেন মঞ্চের ওপরের অংশে। হলে য়ুকে দুই সন্ত্রাসী। ‘খুবই শান্ত, খুবই কৃতসংকল্প’ ছিল তারা। এরপর যথেচ্ছভাবে গুলি করতে শুরু করে।
কালো পোশাক পরা থাকলেও তাদের মুখোশ পড়া ছিল না। পেরেজের দাবি, তিনি এক হামলাকারীর মুখ দেখেছেন। ওই হামলাকারী খুবই তরুণ। সর্বোচ্চ ২৫ বছর বয়স হতে পারে। অন্য সাধারণ একটি ছেলের মতোই ছিল সে। হাতে একটি কালাশনিকভ রাইফেল। ব্যাস, এটুকুই।
পেরেজ বলেন, দুই বন্দুকধারী হলটির পেছনের দিকে দাঁড়িয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গুলি করতে শুরু করে। এরপর লোকজন মেঝেতে শুয়ে পড়ে। কয়েকজনকে তারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঢঙে গুলি করে।
পেরেজ আরও বলেন, যুবক দুটি একটুও নড়াচড়া করেনি। হলটির পেছনে দাঁড়িয়ে তারা শুধু গুলি চালিয়েছে। পাখির মতো গুলি করেছে।
ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, ‘এটি ছিল একটি নরকের চিত্র। কনসার্ট থেমে গেল। সবাই নিচে শুয়ে পড়ল। আর তারা মানুষের ওপর গুলি করে চলল।’

পেরেজ বলেন, তিনি তাঁর আশপাশের লোকজনকে মরণের হাত থেকে বাঁচতে লুকাতে বলেছিলেন।
গুলি শেষ হয়ে গেলে বন্দুকধারী যুবকরা আবার গুলি ভরার সময় তাঁরা পালিয়ে একটি খালি কক্ষে চলে যান। কিন্তু সেটি থেকে বেরোনোর কোনো পথ ছিল না। ‘আমরা আটকা পড়ে গিয়েছিলাম’, বলছিলেন পেরেজ।
‘আরও পাঁচ মিনিট গুলি চালানোর পর হামলাকারীরা থামে। এর পর তারা যখন আবার রাইফেলে গুলি ভর্তি করছিল, তখনই আমরা পালাই’, পেরেজ বলেন, ‘এসময পেয়ে যাই বেরোবার একটা পথও।’