যুক্তরাজ্যের প্রস্তাব নিয়ে এখনো বিস্তর মতপার্থক্য

যুক্তরাজ্য প্রথম দেশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাবে কি না, সেই প্রশ্ন মাথায় নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাসেলস সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ২৮ ইউরোপীয় দেশের নেতারা। তবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ-ইয়ুঙ্কার বলেছেন, শেষ পর্যন্ত একটা চুক্তি হওয়ার বিষয়ে ‘অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী’ তিনি। খবর এএফপি ও বিবিসির।
নিজ দলের একটা অংশ ও ডানপন্থী সংবাদমাধ্যমের চাপে পড়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইইউতে একগুচ্ছ সংস্কারের প্রস্তাব হাতে নিয়ে ব্রাসেলসে গেছেন। মনে করা হচ্ছে, তা লন্ডনকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের এই অবস্থান ইইউর ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন হাজির করেছে: ২৮ দেশের এই জোটের বন্ধন অটুট থাকবে, নাকি অধিকতর আলগা বন্ধনের একটি গ্রুপে পরিণত হবে এটি।
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ইইউ অভিবাসীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা কর্তনের যে পরিকল্পনা ক্যামেরন হাজির করেছেন, তার বিরোধিতায় সরব পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো। ইইউ নেতাদের এ সম্মেলনের আগেই আভাস মিলছিল, সামনে কত কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে। সম্মেলনের ফাঁস হওয়া একটি খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের ওই সংস্কার প্রস্তাবের বিভিন্ন অংশ নিয়ে এখনো ঢের মতপার্থক্য রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দুই দিনের এই সম্মেলনে কোনো চুক্তি না হলে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে বলে আগেই জানিয়ে রেখেছেন ক্যামেরন। এর মধ্যে রয়েছে ইইউকে প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের বিদায় বলে দেওয়ার সম্ভাবনাও।