শামশাদই হলেন আরতির আশা

আরতি মহারাষ্ট্রের পুনেতে থাকেন। তাঁর দুটি কিডনিই অকেজো। এক বছর ধরে ধুঁকছেন। বাঁচার আশা যখন প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখনই তাঁর দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন ফতেহপুরের শামশাদ বেগম।

টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ৪০ বছরের শামশাদের সঙ্গে ৩৮ বছরের আরতির পরিচয় খুব বেশি দিনের নয়। কিছুদিন আগে পুনের বাসিন্দা ছোট বোন জুনাইদা খাতুনের কাছে বেড়াতে যান শামশাদ। সেখানেই জুনাইদার বন্ধু আরতিকে দেখেন।

শামশাদ বলেন, ‘আরতি আমার ছোট বোনের মতোই। আমার চোখের সামনে একজন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা মেনে নিতে পারছিলাম না। তাই তাঁকে আমার একটি কিডনি দেব বলে সিদ্ধান্ত নিই। রক্ত পরীক্ষার পর আরতির গ্রুপের সঙ্গে আমার গ্রুপ মিলে যায়। অন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষাতেও সব মিলে যায়। তাই আর দ্বিতীয়বার ভাবিনি। আমি বিশ্বাস করি, মানবতাই সবচেয়ে বড় ধর্ম।’

শামশাদ স্বাস্থ্য পরীক্ষার সব তথ্য ফতেহপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে জমা দিয়েছেন। অঙ্গ স্থানান্তরের জন্য রাজ্য সরকারের কমিটির অনুমতির অপেক্ষা করছেন। ফতেহপুরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার বলেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ শামশাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে।

১০ বছর আগে শামশাদের স্বামী মারা গেছেন। বাবা জাকির খান ও মেয়ের সঙ্গে থাকেন শামশাদ। তাঁর মেয়ে এখন কৈশোরে পা দিয়েছে।

শামশাদের বাবা জাকির খান বলেন, মেয়ের কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর কোনো অমত নেই।

প্রত্যেক মানুষের দুটি কিডনি থাকলেও একটি কিডনি নিয়েও সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।