ব্যাক টু দ্য ফিউচার - রবার্ট জেমেকিস

ব্যাক টু দ্য ফিউচার

পরিচালক: রবার্ট জেমেকিস

প্রযোজক: স্টিভেন স্পিলবার্গ, বব গেইল

অভিনেতা: মাইকেল জে ফক্স, ক্রিস্টোফার লয়েড

প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৫, যুক্তরাষ্ট্র

ব্যাপ্তি: ১১৬ মিনিট

ভাষা: ইংরেজি

বিজ্ঞানী আইনস্টাইন সময়কে চতুর্থ মাত্রা হিসেবে রায় দেওয়ার অনেক আগেই টাইম মেশিন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন কল্পবিজ্ঞান লেখক এইচ জি ওয়েলস। ১৮৯৫ সালেই তিনি টাইম মেশিনে চড়ে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্ববাসীকে। এরপর কল্পনার সময় পরিভ্রমণে হুড়োহুড়ি লেগে গিয়েছিল। সেসব কথা আজ না হয় থাক। তার চেয়ে ওয়েলসের টাইম মেশিনের জয়জয়কারের ৯০ বছর পরের ঘটনা বলি।

১৯৮৫ সালের কথা। সে সময় এক স্বপ্নবাজ তরুণ মার্টি ম্যাকফ্লাই। বাবা-মা আর ভাইবোনের সঙ্গে সে থাকত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার হিল ভ্যালিতে। তার বন্ধুত্ব ছিল বুড়ো পাগল বিজ্ঞানী ড. ব্রাউন ওরফে ডাকের সঙ্গে। বিজ্ঞানী ডাকের আবিষ্কারের তালিকায় আছে আজব কিন্তু কাজের সব জিনিসপত্র। এই যেমন, সকালে নির্দিষ্ট সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাশতা তৈরি করার যন্ত্র, তার প্রিয় কুকুরকে সময়মতো খাবার দেওয়া—এসব আরকি! তবে তার সবচেয়ে সেরা আবিষ্কার টাইম মেশিন। প্লুটোনিয়াম শক্তিচালিত এই যান ঘণ্টায় ৮৮ মাইল বেগে চালালে অতীত বা ভবিষ্যতে যাওয়া যায় চোখের পলকে।

একদিন যানে চড়ে পরীক্ষামূলকভাবে অতীত থেকে ঘুরে আসে ডাক। আর এই ঐতিহাসিক ঘটনার একমাত্র সাক্ষী মার্টি ম্যাকফ্লাই। ঠিক সেই সময়ই একদল সন্ত্রাসী দুর্লভ প্লুটোনিয়ামের লোভে সশস্ত্র আক্রমণ চালায় ডাক আর মার্টির ওপর। প্রাণ বাঁচাতে টাইম মেশিনে ঝাঁপিয়ে পড়ে মার্টি। তারপর রূদ্ধশ্বাসে ছোটাতে থাকে গাড়ি। কিন্তু হঠাৎ করেই পরিচিত রাস্তাঘাট ছেড়ে গ্রাম্য এক রাস্তায় নিজেকে আবিষ্কার করে মার্টি। সেখান থেকে তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায় নিজেদের হিল ভ্যালির বাড়িতে। কিন্তু বাড়িঘর কোথায়, সব তো ফাঁকা!

ঘটনা কী, খোঁজ নিতেই মার্টি জানতে পারে, সে ১৯৮৫ সাল থেকে টাইম মেশিনে চলে এসেছে ১৯৫৫ সালের পৃথিবীতে। টাইম মেশিনের জ্বালানিও শেষ। এখন উপায়? খোঁজখবর করতে গিয়ে সে দেখতে পায়, তার বাবা এবং মা তখনো কলেজের শিক্ষার্থী। তখনো তাদের মধ্যে বিয়ে হয়নি। অবশ্য বিয়ের কোনো সম্ভাবনাও নেই। কারণ, মার্টির হাবাগোবা তরুণ বাবাকে দুচোখে দেখতে পারে না মার্টির সেই তরুণী মা। কিন্তু তাদের বিয়ে না হলে যে মার্টির জন্মই হয় না। তাই নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় দুজনকে এক করার পরিকল্পনা আটে মার্টি। তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কলেজের দাঙ্গাবাজ বিফ আর তার দলবল। তারপরই ঘটতে থাকে রূদ্ধশ্বাস আর মজার সব ঘটনা। সেসব জানতে দেখে ফেলতে পারো  ব্যাক টু দ্য ফিউচার মুভিটি । ছবিটির ব্যাপক সাফল্য দেখে এর আরও দুটি সিক্যুয়েল বানানো হয়েছে:  ব্যাক টু দ্য ফিউচার ২  (১৯৮৯) ও  ব্যাক টু দ্য ফিউচার ৩  (১৯৯০)। প্রথম পর্ব দেখে ভালো লাগলে বাকি দুটো দেখতে ভুল করো না।