দিবসের দুনিয়া, দুনিয়ার দিবস (এপ্রিল-২০১৪)

 ১ এপ্রিল

ব্যাটম্যান দিবস

 বাদুড় প্রাণীটা পছন্দ না করলেও বাদুড়মানবের বড় ভক্ত আমরা। ১৯৩৯ সালের মে মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ব্যাটম্যান কমিক। ছাপা হয়েছিল  ডিটেকটিভ কমিকস  পত্রিকার ২৭তম সংখ্যায়। তারপর কেটে গেল ৭৫ বছর। কাল্পনিক এই সুপারহিরোর ভক্তের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ১ এপ্রিল ব্যাটম্যানের কমিকস পড়ে, কাটু‌র্ন-ছবি দেখে কিংবা ব্যাটম্যানের মতো পোশাক-আশাক পড়ে পালন করা হয় ব্যাটম্যান দিবস।

 ২ এপ্রিল

শিশুতোষ বই দিবস

 রাজার পুত্র না হলেও ড্যানিশ লেখক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসেনকে বলা হয় রাজপুত্র। রাজ্যের নাম রূপকথা। দুনিয়ায় খুব কম মানুষই আছে, যারা এই লেখকের গল্প পড়েনি। ১৮০৫ সালের ২ এপ্রিল হলো অ্যান্ডারসেনের জন্মদিন। দিনটিকে মনে রাখতে দুনিয়াজুড়ে পালিত হয় শিশুতোষ বই দিবস। এখনো অ্যান্ডারসেনের রূপকথা না পড়লে শিগগিরই বসে পড়ো!

 ৩ এপ্রিল

রংধনু খঁুজে দেখো দিবস

 বৃষ্টি শেষে যেদিন একটু রোদ ওঠে, সেদিন আকাশে তাকিয়েছ? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে বাজি ধরে বলা যায়, পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর একটা দৃশ্য দেখেছ তুমি! আর যারা এখনো দেখোনি, তারা অপেক্ষায় থাকো। বৃষ্টি শেষ হলেই আকাশে চোখ রাখো। ভাগ্য ভালো হলে সাতরঙা একটা রংধনুর দেখা পেয়ে যেতে পারো। বিশেষ করে ৩ এপ্রিল তো এর জন্য একটা দিবসই বরাদ্দ আছে।

 ৪ এপ্রিল

বিশ্ব ইঁদুর দিবস

 বাসায় যদি ইঁদুরের খুব উৎপাত থাকে, তাহলে অন্তত ৪ এপ্রিল ফাঁদ পেতো না। বাসার বিড়ালগুলোকেও একটু চোখে চোখে রেখো। কারণ, দিনটা যে ইঁদুরদের। ওরাও তো চায় একটু আরাম করে কাগজ কাটার স্বাধীনতা! পারলে কিছু খাবার রেখে দাও ঘরের গোপন সব জায়গায়। মিকি মাউস বা জেরির একটা পোস্টারও টাঙাতে পারো ঘরের দেয়ালে। ইঁদুররা আসলে খুব লক্ষ্মী, মিষ্টি ও বুদ্ধিমান প্রাণী, একটু দুষ্টু তো বটেই।

 ৫ এপ্রিল

আন্তর্জাতিক বালিশযুদ্ধ দিবস

 মারামারির জন্য সবচেয়ে নিরীহ-শান্তিপ্রিয় অস্ত্র কোনটি? বালিশের ওপরে আর কিছুই হতে পারে না। তাই ৫ এপ্রিল যদি ভাই-বোন-বন্ধুদের সঙ্গে একটু মারামারি করতেই হয় তাহলে বালিশই ব্যবহার করো (এ অভ্যাসটা বছরজুড়ে ধরে রাখতে পারলে আরও ভালো)। মজার ব্যাপার হলো বালিশযুদ্ধ দিবসে দুনিয়ার অনেক শহরেই ঘটা করে যুদ্ধে মেতে ওঠে লোকজন। তুমি নিজে অংশ নিতে চাইলে ঢুঁ মারো এই ওয়েবসাইটে  2014.pillowfightday.com

৬ এপ্রিল

টারটান দিবস

 টারটান হলো একধরনের প্যাটার্ন বা নকশা। নাম না জানলেও সেই ছোটবেলা থেকে এই নকশার অনেক পোশাকই পরেছি আমরা। বিশেষ করে মাফলার, সোয়েটার, বিছানার চাদরসহ আরও অনেক কিছুতেই ব্যবহার করা হয়। টারটান নকশা এসেছে স্কটল্যান্ড থেকে। ৬ এপ্রিল স্কটিশ ইতিহাস স্মরণ করতেই দিবসটির প্রবর্তন করা হয়।

 ৭ এপ্রিল

বাসার কাজকে ‘না’ দিবস

 খুশিতে আটখান হয়ো না! বাসার কাজ বলতে টিচারদের দেওয়া বাসার কাজ নয়। আসলেই বাসার কাজ বোঝানো হচ্ছে এখানে। যেমন ধরো নিজের কাপড়টা নিজে ধোয়া, খাওয়ার পর প্লেট-গেলাস ধুয়ে রাখা। ৭ এপ্রিল জীবনে একটা দিন আরাম ও নির্ঝঞ্চাটে কাটানোর জন্যই দিবসটি শুরু হয়েছিল। তবে যারা বছরের কোনো দিনই বাসার টুকটাক কাজগুলো করে না, তাদের জন্য ব্যাপারটা পুরো উল্টো! বাসায় যারা প্রতিদিন কাজ করে, তাদের ছুটি দিয়ে কাজগুলো করবে ওই বছরজুড়ে আরামভোগকারীরাই।

 ৮ এপ্রিল

পাখির ছবি আঁকো দিবস

 আর কিছু আঁকতে পারো বা না পারো কাকের ঠ্যাং, বকের ঠ্যাং তো আঁকতে পারো নিশ্চিত। কাকের ঠ্যাং যখন আঁকতে পারো, তখন একটা কাক বা বক আঁকার চেষ্টা করবে নাকি? কারণ, ৮ এপ্রিল হলো পাখির ছবি আঁকার দিবস। এদিন ছবি এঁকে পাখিদের ভালোবাসার দিন।

 ৯ এপ্রিল

প্রাচীন জিনিসপত্র সযত্নে রাখা দিবস

 প্রাচীন জিনিস, ইংরেজিতে যেটাকে বলা হয় অ্যান্টিক। অ্যান্টিক বলতে বোঝায় কমপক্ষে ৫০ বছরের পুরোনো মূল্যবান ও শিল্পমানসমৃদ্ধ বস্ত্ত। সেটা হতে পারে একটা আরামকেদারা, হতে পারে একটা পিতলের বদনাও! তো খঁুজে পেতে দেখো, আশপাশে এমন কিছু আছে কি না। যত্ন করে তুলে রাখো সেসব ঘরের কোথাও। দিন যাবে অ্যান্টিকের দাম বাড়বে। কেবল দামের জন্যই নয়, অ্যান্টিকের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে কত না গল্প-ইতিহাস! আর কিছু না হোক ৯ এপ্রিল অন্তত জাদুঘরে ঘুরে এসো। জাদুঘরের অ্যান্টিকগুলো দেখে টাইম মেশিনে চেপে পুরোনো দিনে ঘুরে আসার রোমাঞ্চ পাবে তুমি।

 ১০ এপ্রিল

আন্তর্জাতিক সেফটিপিন দিবস

 গল্পটার সত্য-মিথ্যা জানা যায়নি; তবে সেটা এ রকম—মার্কিন মেকানিক ওয়াল্টার হান্ট একবার তাঁর এক বন্ধুর কাছে ১৫ ডলার ধার করেছিলেন। তারপর সেই দেনা তো আর শোধ করতে পারেন না কিছুতেই! কী করেন কী করেন! হঠাৎ বুদ্ধি করলেন, এমন কিছু একটা উদ্ভাবন করবেন, যেটা বেঁচে কিছু টাকা পাওয়া যাবে। ব্যস, ১৯৪৯ সালে হান্ট উদ্ভাবন করলেন সেফটিপিন! আক্ষরিক অর্থেই সে যাত্রায় সেফটিপিন হান্টকে সেফ করেছিল! আর সেই শুরু থেকে একেবারে সাধারণ কিন্তু দারুণ কেজো সেফটিপিন ব্যবহার করছে দুনিয়ার প্রায় সব দেশের মানুষ। ১০ এপ্রিল মূলত এমন সাধারণ কিন্তু দারুণ কিছু উদ্ভাবন নিয়ে ভাবার কথাই মনে করিয়ে দিতে দিবসটি পালিত হয়।

 ১১ এপ্রিল

পোষা প্রাণীকে ভালোবাসো দিবস

 পোষা প্রাণীকে তো ভালোবেসেই পোষা হয়। এর জন্য আবার আলাদা দিবস লাগে নাকি! লাগে। কারণ, পোষা প্রাণীটা কী চায়, না-চায়, সেগুলো কি আমরা বুঝি? না বুঝলে চলো বোঝার চেষ্টা করি। ধরো, ১১ এপ্রিল থেকে নাহয় তাদের একটু অন্য ধরনের খাবার দিই, বাইরে কোথাও ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। এ তো গেল পোষা প্রাণীর কথা। কিন্তু এ দিবসে পোষা হয় না, রাস্তা-ঘাটে-বনে-বাদাড়ে অযত্নে-অবহেলায় ঘুরে বেড়ায় এমন প্রাণীদেরও ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। এখন অনেক প্রতিষ্ঠানই আছে, যারা এমন ভবঘুরে প্রাণীদের দেখভালের কাজ করে। চাইলে তুমিও কাজে লেগে যেতে পারো তাদের সঙ্গে।

 ১২ এপ্রিল

যেমন ইচ্ছা তেমন খুশি দিবস

 মা-বাবা থেকে শুরু করে সবার কথাই শোনো মন দিয়ে। পড়াশোনা, খেলাধুলা, নাচ-গান-লেখালেখি-আঁকাআঁকি—সবকিছুতেই তুমি সিদ্ধহস্ত। কিন্তু তোমার কি ইচ্ছে করে না একদিন একটু অন্য রকম হতে? যদি হয়, তাহলে ১২ এপ্রিল যেমন খুশি, যা খুশি তা-ই করো। ইচ্ছে হলেই মুখে কালি মেখে বসে থাকতে পারো, ইচ্ছে হলেই গাইতে পারো হেঁড়ে গলায়। তবে খুব সাবধান, উল্টাপাল্টা কিছু করে বোসো না আবার!

 ১৩ এপ্রিল

স্ক্র্যাবল দিবস

 স্ক্র্যাবল হলো একটা খেলা। অনেকগুলো ঘঁুটি থাকে বোর্ডের ওপর। সেগুলো মিলিয়ে অর্থবোধক শব্দ মেলাতে পারলেই পয়েন্ট। আমরা যে খাতায় শব্দ মেলানোর খেলা খেলি, অনেকটা সে রকমই। খেলনার দোকানে খঁুজে দেখো, পেয়ে যেতে পারো স্ক্র্যাবল সেট। পেলে বসে পড়ো বন্ধুদের নিয়ে। আর সুযোগ পেলেই মিলিয়ে ফেলো  Oxyphenbutazone শব্দটি। কারণ, এই শব্দটিতেই সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট!

 ১৪ এপ্রিল

ডলফিন দিবস ও আকাশের দিকে তাকাও দিবস

 বাংলাদেশেও যে কত ডলফিন আছে, সেটা কি আমরা জানি! হয়তো এটাও জানি না, অনেক ডলফিনই এখন বিপন্নপ্রায়। আমাদের অসচেতনতাই এর প্রধান কারণ। ভোরবেলা বা শেষ বিকেলে নদীর বুকে যখন ঝুপ করে একটা ডলফিন লাফিয়ে ওঠে, তখন কার না চোখ জুড়ায়! দারুণ বুদ্ধিমান, মানুষের বন্ধু ও মিশুক এই প্রাণী রক্ষা করা তো আমাদের সবার দায়িত্ব, তাই না?

১৪ এপ্রিল আবার আকাশের দিকে তাকাও দিবস হিসেবেও পালিত হয়। তাই যত ব্যস্তই থাকো, আজ খোলা মাঠ কিংবা ছাদে গিয়ে মন ভরে আকাশ দেখো। দেখবে কত ভালো লাগে!

 ১৫ এপ্রিল

দ্বিচক্রযান দিবস

 সময় এখন বাইসাইকেলের। পরিবেশবান্ধব, সময় ও টাকা বাঁচিয়ে দেওয়া এই দ্বিচক্রযানের জনপ্রিয়তা ক্রমেই ঊর্দ্ধমুখী। তবে এখনো যারা বাইসাইকেল চালানো শেখোনি, ১৫ এপ্রিল খুব ভালো একটা দিন বাইসাইকেলে ‘পায়েখড়ি’ দেওয়ার!

 ১৬ এপ্রিল

ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার দিবস

 দিবসটির কথা বলতে গেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কথাই মনে আসে। বিশ্বের অনেক দেশের মতো আমাদেরও আছে এমন ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারের সেবা দেওয়ার প্রতিষ্ঠান। এর প্রচলন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি থেকে, ১৯২০ সালে। সারাহ আসকিউ নামের এক গ্রন্থাগারিক তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি দিয়ে শুরু করেছিল ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারটি। এখন দুনিয়ার নানা দেশে এমন সেবা চালু আছে। কেনিয়ায় তো উটে করে বই পৌঁছে দেওয়া হয় গ্রামীণ জনপদে!

 ১৭ এপ্রিল

পকেটে কবিতা দিবস

 পকেটে কবিতা! কবিতা কি পকেটে থাকে নাকি! কবিতার তো থাকার কথা কবির মাথায়। কিন্তু সবাই তো কবি নয়, কেউ কেউ কবি। তাই মাথার পাশাপাশি পকেটেও কবিতা রাখা যায়। কিন্তু কেন পকেটে কবিতা রাখার জন্য একটা দিবসের সূচনা? কারণ, সেদিন যেন আমরা চাইলেই প্রিয় মানুষকে প্রিয় কবিতাটা চট করে আবৃত্তি করে শোনাতে পারি।

 ১৮ এপ্রিল

অ্যামেচার রেডিও দিবস

 আইএআরইউ—দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যামেচার রেডিও ইউনিয়ন। সংগঠনটির গোড়াপত্তন হয়েছিল ১৯২৫ সালে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অধিকাংশ এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এমন এলাকায় সেবা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে সংস্থাটি। আর তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মরণ করতেই অ্যামেচার রেডিও দিবস।

 ১৯ এপ্রিল

রসুন দিবস

 নাম শুনেই নাক কুঁচকে এলো? বিদঘুটে গন্ধ হলেও রসুন কিন্তু মহা উপকারী। বিশেষ করে মা-দাদি-নানিদের জিজ্ঞেস করে দেখো, রসুন না থাকলে অনেক খাবারই খেতে ভীষণ বিস্বাদ লাগত! এ ছাড়া রসুন খেলে উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে। তো রসুন দিবসে কী করা হয়? রসুন দিয়ে তৈরি করা হয় অনেক মজার খাবার! দেখবে নাকি চেষ্টা করে রসুন ফ্লেভারের আইসক্রিম বানাতে! (একটা গোপন কথা, স্কুল ফাঁকি দিতে চাইলে বগলে রসুন নিয়ে রোদে হাঁটাহাঁটি করে জ্বরও বাঁধিয়ে ফেলত পারো চাইলে!)

 ২০ এপ্রিল

চীনা ভাষা দিবস

 পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মান্দারিন চীনা ভাষা। অক্ষরগুলো দেখতে বিচিত্র আকার-আকৃত্রির ঘরবাড়ি মনে হলেও প্রতিদিন কিন্তু এ ভাষাটাই সবচেয়ে বেশিবার ব্যবহৃত হয়! তাই এ ভাষাকে সম্মান জানাতে দিবসটির প্রবর্তন করেছে জাতিসংঘ।

 ২১ এপ্রিল

কিন্ডারগার্টেন দিবস

 ১৮৩৭ সালে জার্মানিতে প্রথম কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ফ্রেডরিখ ফ্রোয়েবল। ১৯৮২ সালের ২১ এপ্রিল তাঁর জন্মদিন। সেদিনই হলো কিন্ডারগার্টেন দিবস। মজার বিষয় হলো, জার্মানিতে জনপ্রিয় হওয়ার পরও ১৮৫১ সালে সরকার কিন্ডারগার্টেনটি বন্ধ করে দেয়। পরের বছরই মারা যান ফ্রেডরিখ। ১৮৬০ সালে এসে প্রতিষ্ঠানটি আবার চালু করার অনুমতি দেয় সরকার। আর বেশ বড় পরিসরে কিন্ডারগার্টেন চালু হয়েছিল ১৮৭৩ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের সেইন্ট লুইসে।

 ২২ এপ্রিল

ধরিত্রী দিবস

 ধরিত্রী, মানে পৃথিবীটাকে ভালো না বাসলে আর কিছুকে ভালোবাসা যায় বলো? যায় না! কারণ, পৃথিবী নেই মানে আমরাও নেই। তাই পৃথিবীর ক্ষতি হোক, এমন কিছু করা কি ঠিক? মোটেও ঠিক না। বিশেষ করে পৃথিবীর পরিবেশ যেন ঠিক থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা খুব জরুরি। পৃথিবী ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব।

 ২৩ এপ্রিল

শেক্সপিয়ারের মতো কথা বলো দিবস

 সব সময়ের অন্যতম সেরা সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের জন্মদিন ১৫৬৪ সালের ২৬ এপ্রিল। মারা গেছেন ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল। এখনো তাঁর লেখা কবিতা, নাটক আমাদের মুগ্ধ করে। মৃত্যুদিনে তাঁকে ও তাঁর সাহিত্যকর্মগুলো স্মরণ করতেই দিবসটির গোড়াপত্তন। তবে শেক্সপিয়ার যে কীভাবে কথা বলতেন সেটা তো আর আমরা জানি না! তাই তাঁর লেখাগুলো পড়লেই দিবসটি পালন করা হয়ে যাবে।

 ২৪ এপ্রিল

আপনার সন্তানকে সঞ্চয় করতে শেখান দিবস

 দিবসটি মা-বাবাদের। তবে মা-বাবা তো টাকাপয়সা সঞ্চয় করতে শেখাবেন তোমাদেরই। তাই তোমারও জেনে রাখা ভালো যে সঞ্চয়ের অভ্যাস থাকা বেশ ভালো একটা ব্যাপার। বিপদে-আপদে একটা চিমটা দিয়ে খানিকটা কায়দা-কসরত করলেই কিন্তু চকচকে কয়েন! দিবসটি চালু করেছিল আমেরিকান ব্যাংকারস অ্যাসোসিয়েশন।

 ২৫ এপ্রিল

পানির মিস্ত্রিকে আলিঙ্গন করো দিবস

 পানির মিস্ত্রির কাজটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিপদে পড়লেই এই পেশার লোকেরা এসে ঠিকঠাক করে দিয়ে যায় লিক হয়ে যাওয়া পানির লাইন। কাজটা বেশ কঠিন। আর নিখুঁত না হলেও সমস্যা। তাই তাঁরা যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করে, এটা জানাতে ২৫ এপ্রিল তাঁদের সঙ্গে কোলাকুলি করতে পারো। তবে খুব সাবধান, কিছু বলে না কয়ে কোলাকুলি করতে গেলে ভুল বোঝাবুঝির সমূহ সম্ভাবনা থেকে যাবে!

 ২৬ এপ্রিল

রিখটার স্কেল দিবস

 ভূমিকম্প হলেই দুটি শব্দ উচ্চারণ করা হয়। একটা হলো ‘আতঙ্ক’ আরেকটা হলো ‘রিখটার স্কেল’। রিখটার স্কেল হলো ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয় করার যন্ত্র। ১৯৩৫ সালে এটি উদ্ভাবন করেছিলেন মার্কিন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ চার্লস এফ. রিখটার। ১৯০০ সালের ২৬ এপ্রিল রিখটারের জন্মদিন। তাই এদিন রিখটার স্কেল দিবস।

 ২৭ এপ্রিল

একটা গল্প বলো দিবস

 দিবসটি চালু আছে যুক্তরাষ্ট্র, স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে। এদিন সবাই গল্প বলে। যেকোনো একটা গল্প হলেই হলো। গল্প বলে ছেলে-বুড়ো সবাই। চাইলে কেউ বানিয়ে বানিয়ে কিংবা নিজের জীবনের গল্পও বলতে পারে। ব্যস্ত জীবনে মানুষ এখন অন্যের গল্প শুনতে চায় না বা শোনার সময় পায় না। তাই দিবসটির উদ্দেশ্য হলো অন্যের গল্প শোনা ও নিজের গল্প বলা। চাইলে তুমিও শুরু করে দিতে পারো এবার।

 ২৮ এপ্রিল

আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান দিবস

 কত-না রহস্য এই মহাবিশ্বে! পৃথিবীটা কেমন করে সৃষ্টি হলো কিংবা রাতের আকাশের ঝিকিমিকি তারাগুলোর নাম কী? এমন সব প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইলে জানতে হবে জ্যোতির্বিজ্ঞান। এ দিবসে বিশ্বের অনেক দেশে ঘটা করে মহাবিশ্বের রহস্য জানতে মানুষ চোখ রাখে আকাশে। আশপাশে একটা টেলিস্কোপ পেলে চোখ রাখো আকাশে। নতুন এক জগৎ আবিষ্কার করবে নিশ্চিত! আর কিছু না হোক, খালি চোখে রাতের আকাশের দিকে তাকাও, এক অপার রহস্য অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।

 ২৯ এপ্রিল

জিপার দিবস

 স্বীকার করতেই হবে, জিপার ছাড়া আমাদের একটা দিনও চলে না। ব্যাগ থেকে শুরু করে জ্যাকেট কিংবা প্যান্ট—জিপার নষ্ট হলে সেগুলো যেন ফেলনা! জিপারের প্রচলন কবে থেকে শুরু সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে ১৯১৩ সালে সুইডিশ-মার্কিন বিজ্ঞানী জিডিওন সান্ডব্যাক প্রথম এর পেটেন্ট করেছিলেন। তখন এর নাম ছিল ‘হুক-লেস ফাস্টেনার’। একই রকম একটা জিনিস উদ্ভাবিত হয়েছিল ১৮৫০ সালেও। তবে সান্ডব্যাকেরটাই আধুনিক জিপার হিসেবে স্বীকৃত।

 ৩০ এপ্রিল

সততা দিবস

 সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। তুমি যদি সৎ হও, তাহলে যা-ই করবে, তাতেই সাফল্য সুনিশ্চিত! সততার সঙ্গে লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ, তুমি একজন সফল পাঠক। পেলে তো হাতে-হাতে প্রমাণ!

গ্রন্থনা:  মাহফুজ রহমান