চিঠিপত্র (ডিসেম্বর ২০১৩)

প্রিয় কিআভা,

রূপকথার গল্প আমার খুব পছন্দ। একটা রূপকথার গল্প ছাপো না, প্লিজ! আর  আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে যে ছোটখাটো লাইব্রেরি খুলছি, তার একটা নাম দিয়ে দাও।

মায়িশা তাবাসসুম

আজিমপুর অফিসার্স কলোনি, ঢাকা।

কিআ: রূপকথার গল্প আমিও খুব পছন্দ করি। শোনো তাহলে...এক দেশে ছিল এক রাজকন্যা। সেই রাজকন্যা তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে একটা লাইব্রেরি বানাল। নাম দিল রূপকথার লাইব্রেরি। প্রতিদিন অনেক মানুষ সেই লাইব্রেরিতে বই পড়তে আসতে লাগল। কারও মনে দুঃখ রইল না। সবাই সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে লাগল। গল্প শেষ।

কিআর প্রথম ও দ্বিতীয় সংখ্যা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আমি কিআর নিয়মিত লেখক হতে চাই। আমি কি তোমাকে আমার সমস্যাগুলো চিঠিতে লিখে পাঠাতে পারব?

মানতাকা হক

মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা।

কিআ: অবশ্যই। তোমার সমস্যাগুলো লিখে পাঠিয়ে দিয়ো আমাদের ঠিকানায়। খামের ওপর একটু কষ্ট করে ‘আমার সমস্যা’ কথাটি লিখে পাঠালে তা খুঁজে পেতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। ভালো থেকো।

আমি শুনেছি পারুল নামে একটি ফুল আছে। কিন্তু আমি কখনো এই ফুল দেখিনি। শুধু নামই শুনেছি। তোমার কাছে কি এই ফুলটার ছবি আছে?

লুসিয়া কুইয়া

পঞ্চম শ্রেণী, হলিক্রস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা।

কিআ: দিলাম একটা পারুল ফুলের ছবি ছাপিয়ে।

কিআ ভাইয়া,

আমাদের জন্য পত্রিকা বের হচ্ছে দেখে আমি খু-উ-ব খুশি। ১৭ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন। আমার খালাতো ভাই এবং চাচাতো বোনেরও।

মোবাশ্বিরা তাজরী

রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, রাজশাহী।

কিআ: বাহ! ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস, তার পরদিনই তোমাদের সবার জন্মদিন! কী আনন্দ! তোমাদের সবাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা!

ভাইয়া,

কিআর দ্বিতীয় সংখ্যার ‘ছবি রহস্য’ কুইজটি কাটতে গেলে আমার অরিগ্যামি বিভাগটি কেটে যায়। তা ছাড়া আমি চাই কিআর প্রতিটি সংখ্যা আমার কাছে লেখা, কুইজসহ সংরক্ষিত থাকুক। এ ক্ষেত্রে কি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়? আর কুইজের সঙ্গে আমরা কি অন্যান্য লেখা ও চিঠিপত্র পাঠাতে পারি?

তাসফিয়া তাবাসসুম

গ্রীন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা।

কিআ: কুইজের কুপনটা পূরণ করে উত্তরগুলো আলাদা একটা কাগজে লিখে স্ট্যাপল করে পাঠিয়ে দিয়ো। তাহলে আর অরিগ্যামি কাটা যাবে না। আর কুইজের সঙ্গে যেকোনো লেখা পাঠাতে পারবে। তবে প্রতিটি বিভাগের লেখা আলাদা কাগজে লিখতে হবে। আর খামের ওপর লিখে দিয়ো কুইজের সঙ্গে কী কী আছে। যেমন: কুইজ, গল্প, চিঠি। বোঝা গেছে জিনিসটা?

সম্পাদক ভাইয়া,

কিআ আমার খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু কিআতে বুড়োদের এত লেখা ছাপা হয়েছে কেন? এখন থেকে ছোটদের লেখা বেশি বেশি দিবা। আর আমার আব্বু-আম্মুর জন্য একটা লেখা দিয়ো। আমাকে শুধু পড়তে বলে। আমার পড়তে ভালো লাগে না। ভালো থেকো।

সুমাইয়াতুন নূর

দ্বিতীয় শ্রেণী, ভিকারুননিসা নূন স্কুল, ঢাকা।

কিআ: দেখতে বুড়ো মনে হলেও কিআতে যারা লেখে, তারা সবাই কিন্তু কিশোর! তবে তাদের সঙ্গে ছোটদের লেখাও ছাপা হবে। কিন্তু এ জন্য অনেক লেখা পাঠাতে হবে তোমাদের। আর পড়তে তো কারোরই ভালো লাগে না। তাও আব্বু-আম্মুকে খুশি করার জন্য একটু পড়ার ভান করো, নইলে কিন্তু তারা কিআ পড়তে দেবে না।

কিআ ভাইয়া, ‘পাখি’ বানানোর একটা অরিগ্যামি ছাপাবে। প্লিজ, প্লিজ। আমার অনুরোধ রাখা হলে আমি অনেক অনেক খুশি হব।

স্নেহা হাসান

সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বরিশাল।

কিআ: এমন অনুরোধ ফেলি কী করে বলো! অরিগ্যামির পাতা খুলে দেখো। তোমার কথামতো পাখির অরিগ্যামি আছে। কিন্তু কী পাখি তা তো তুমি বলোনি, তাই কবুতরের অরিগ্যামি ছাপালাম। তোমার অনুরোধ রাখতে পেরে আমিও অনেক আনন্দিত!   

কিআ,

আমরা ছয়ানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪ জন ছাত্র প্রতি শুক্রবার একটা পাঠচক্র আয়োজন করে থাকি। আমরা এর নাম রেখেছি ‘কিশোর আলো পাঠচক্র’।

সুমাইয়া আক্তার

তৃতীয় শ্রেণী. ছয়ানি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।

কিআ: চমত্কার! শুনে খুব ভালো লাগছে। তোমাদের পাঠচক্রে কী কী হলো আমাকে লিখে পাঠিয়ো। পাঠচক্রের ১৪ সদস্যকে ভাপা পিঠার শুভেচ্ছা।

লুকিয়ে লুকিয়ে কিআ পড়ছে তাসফিয়া আনজুম
লুকিয়ে লুকিয়ে কিআ পড়ছে তাসফিয়া আনজুম

কিআ ভাইয়া,

আমার ক্লাসে আমি বিজ্ঞানী নামে পরিচিত। আমার কাছে বিজ্ঞান বিষয়টি বেশি ভালো লাগে। এমনকি আমি পেপার কেটে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে থাকি। আপনাদের কাছে অনুরোধ, কিআতে বিজ্ঞান সম্পর্কে বেশি লেখা ছাপানো হোক।

হোসাইন সাইফ

মিরপুর, ঢাকা। 

কিআ: ক্লাসে বিজ্ঞানী উপাধি পাওয়া তো সহজ ব্যাপার নয়। তুমি নিশ্চয়ই বিজ্ঞান খুব ভালো বোঝো? নতুন কিছু আবিষ্কার করলে আমাদের বলতে ভুলো না। আমরাও কিন্তু তোমাকে বিজ্ঞানী বলেই ডাকব।

কিআ ভাইয়া,

ছাত্রছাত্রীরা কেন এ প্লাস পাওয়ার জন্য এত দৌড়ায়? কেন স্কুল থেকে বাসায় ফিরলে মা-বাবা আগে জিজ্ঞেস করে ‘এ প্লাস পেয়েছিস তো?’ কেন তারা জানতে চায় না স্কুলে কী শিখলাম বা জানলাম? কেন ছাত্রছাত্রীরা পড়াটাকে জানতে বা বুঝতে চায় না? আচ্ছা, এ প্লাস পাওয়া কি অনেক জরুরি? এ প্লাস না পেলে কি আমাদের জীবন ব্যর্থ?

আদীলা আফজাল

উত্তরা, ঢাকা।

কিআ: আরে নাহ! জীবন ব্যর্থ হবে কেন? আইনস্টাইন, রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল কেউই কিন্তু এ প্লাস পাননি। তাঁদের জীবনও ব্যর্থ হয়নি। অন্যদের কথা বাদ, তুমি যদি পড়াটাকে খুব ভালোভাবে জানো, বোঝো, তাহলে কিন্তু এমনিতেই এ প্লাস পেয়ে যাবে। এ জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

আমার বড় শখ আমার বন্ধু রাশেদ চলচ্চিত্রের রাশেদ চরিত্রের ছেলেটির একটা সাক্ষাত্কার পড়া। প্লিজ প্লিজ রাশেদের একটি সাক্ষাত্কার ছাপিয়ো।

নূর আফিদা

পশ্চিম দেওভোগ নাগবাড়ী শেষমাথা, নারায়ণগঞ্জ।

কিআ: চিন্তার কোনো কারণ নেই, তোমার শখ নিশ্চয় পূরণ হবে। রাশেদের সাক্ষাত্কার আমরা ছাপব।

কিআ আংকেল,

আমি নাকি অনেক বড়। কোনো দুষ্টুমি করলেই এই কথা শুনতে হয়। তবে যতই ‘বড়’ হই, আমি কিআ পড়বই। কিআ পেয়ে আমি খুব খুশি। তিন দিনেই সব পড়ে ফেলেছি।

সাবিত

আর বি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, জয়পুরহাট।

কিআ: শাবাশ! কিআ পড়া আর দুষ্টুমি চালিয়ে যাও!