চিঠিপত্র (জানুয়ারি ২০১৪)

কিআ ভাইয়া,

আমি একটা সাবমেরিন বানিয়েছি। সেটা নিয়ে লেখা ও আঁকা পাঠাতে পারব? আর আমি কি অন্য কারও কাছ থেকে শোনা ভৌতিক কাহিনি পাঠাতে পারব? এগুলো নিয়ে আমার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে।

মাশরাফি ইবনে রেজা

রায়েরবাজার, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

কিআ: দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তোমার বানানো সাবমেরিনটার ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দাও। আর কারও কাছ থেকে শোনা ভৌতিক কাহিনি লিখে পাঠানোর দরকার নেই, নিজেই বানিয়ে লেখার চেষ্টা করো। নিজে নিজে সাবমেরিন বানাতে পারলে ভৌতিক কাহিনিও লিখতে পারবে।

কিআ ভাইয়া,

কিশোর আলো আমার কাছে এত্ত ভালো লেগেছে, তা বলে বোঝাতে পারব না। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, আমাকে কিশোর আলো পড়তে দেখলে মামণি বকা দেবেন। কিন্তু ওমা! তিনি কিআ দেখে বললেন, সামনের মাস থেকে আমার পাঁচ বছর বয়সী বোনকেও কিআ কিনে দেবেন। কী মজা!

মালিহা জাহান

বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, টাঙ্গাইল।

কিআ: ও যদি নিজে নিজে পড়ে বুঝতে না পারে, তবে তুমি ওকে বুঝিয়ে দিয়ো।

কিআ,

আমরা তিন ভাইবোন। কিন্তু আমরা দুজন কিআর পাঠক। সমস্যা হলো, আমরা দুজনই কুইজে অংশ নিতে চাই। কিন্তু কুপন থাকে একটা। এই মহা সমস্যার সমাধানটা কী হবে?

নাহিন সরকার

একাদশ শ্রেণী, দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর।

কিআ: এক মাসে তুমি, আরেক মাসে অন্যজন—এভাবে কুইজে অংশ নিতে পারো। এই সমাধান পছন্দ না হলে কী করতে হবে, তা কি আর বলে দিতে হবে! দুটো কিআ কিনে নাও।

কিআ ভাইয়া,

এই দুই মাস পরীক্ষার জন্য আমি কোনো লেখা পাঠাতে পারিনি। আমি এই মাসের কিআ ১২ তারিখে পেয়েছি। তাই লেখা পাঠাতে দেরি হলো। আমার লেখা ছাপা হবে তো?

ফারমিন মাসুদ

সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও।

কিআ: এই যে চিঠি ছাপা হলো।

কিআ ভাইয়া,

যেদিন আমি মায়ের কাছে শুনলাম ছোটদের জন্য রঙিন পত্রিকা বের হচ্ছে, তখন আমি খুব খুশি হলাম। কিন্তু মা হকারকে আগে বলেনি, তারপর যখন কিশোর আলো বের হলো, তখন আমি পেলাম না। পরদিন মা হকারকে বলল কিশোর আলো দিতে। তার পরও আমি পেলাম না। তার পরদিনও পেলাম না। তার পরদিনও না। তারপর আমার কান্না পেল। তার পরের দিন আমি পেয়ে গেলাম। তখন আমি খুব খুশি হলাম। এ জন্য কিআ ভাইয়াকে ধন্যবাদ!

সুমাইতা শাহরিয়ার

প্রথম শ্রেণী, ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।

কিআ: তার পরের অনেক অনেক তার পরেও যে তুমি কিআ পেয়েছ, তাতে আমরাও খুশি।

‘বাহ! তাই নাকি? আমি তো জানতামই না।’ জানো কিআ ভাইয়া, জাফর ইকবালের জন্মদিন ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ, এটা জেনে আমি ঠিক এ কথাটাই ভাবছিলাম। আমার এত্ত প্রিয় একজন লেখকের জন্মদিন আর আমার জন্মদিন যে একই দিনে, তা জানতাম না। এখন জেনে অনেক খুশি হয়েছি। তার চেয়ে অনেক খুশি হয়েছি কিআ পেয়ে। ধন্যবাদ!

শামীমা শাম্মী

নবম শ্রেণী, কলাপাড়া হাজী আবদুল গফুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা।

আমি জানি, তুমি সব সময় ভালো থাকো। আমরাও কিআ পড়ে ভালো থাকি। সবশেষে বলি, হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০১৪।

বি এম আকাশ

চতুর্থ শ্রেণী, বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল, যশোর।

কিআ: তোমাকেও শুভ নববর্ষ।

বন্ধু কিআ,

আমার কবিতা পড়তে খু-উ-ব ভালো লাগে, লিখতেও ভালো লাগে। কিন্তু কবিতার বিভিন্ন ছন্দসম্পর্কিত জ্ঞান আমার খুবই অল্প। তুমি যদি নানা রকম ছন্দ নিয়ে আলোচনা ছাপতে, তবে খুব খুশি হতাম।

জয়ন্তী রুদ্র পাল

দশম শ্রেণী, বিটিআরআই উচ্চবিদ্যালয়, শ্রীমঙ্গল।

কিআ: কিছুদিনের মধ্যেই আমরা এ বিষয়ে লেখা ছাপব। আর ইচ্ছা আছে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটা কর্মশালা করার।

কিআ ভাইয়া, আমি যদি কিশোর আলোর গ্রাহক হই, তাহলে কি যেদিন কিশোর আলো বের হবে, সেদিনই পেয়ে যাব? নাকি দু-একদিন পর পাব?

নুসরাত জাহান

উত্তর কমলাপুর, ঢাকা।

কিআ: না। ডাকে যেতে কয়েক দিন সময় তো লাগবেই।

প্রিয় কিআ ভাইয়া,

আমি ছবির রহস্য, লুকানো ছবি ও ছবির ধাঁধার ব্যাপারে কয়েকটা কথা বলছি। এগুলো কি ছবি না কেটে লিখে পাঠালে চলবে? প্লিজ, আমাকে এটা বলো।

রাইয়ান ইসলাম

শ্যামলী, ঢাকা।

কিআ: চলবে।

প্রিয় কিআ,

কুমিল্লার লাকসামে বাংলার প্রথম মহিলা নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর অনেক পুরোনো মহল আছে। তিনি অনেক জনহিতকর কাজ করেছেন। আমি চাই তাঁকে নিয়ে তুমি যেন একটি লেখা প্রকাশ করো।

সৈয়দা তানভীন তাসনীম

নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কুমিল্লা।

কিআ: তুমিই একটা লিখে পাঠাও না কেন?

প্রিয় কিআ,

তোমার কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে। রাত জেগে পড়া কি ক্ষতিকর? বার্ষিক পরীক্ষার কারণে পড়ার খুব চাপ ছিল। এখন আবার একটু একটু শীত পড়তে শুরু করেছে। শীত আমার খুব পছন্দের ঋতু। শীতের সকালে ভাঁপা পিঠা খেতে খুব মজা লাগে। সকালবেলা চারদিক কুয়াশায় ঢাকা থাকে। এ সময় গরিব মানুষের অনেক কষ্ট হয়। এ সময় খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরি হয়। এখন এইটুকুই। অনেক পড়া আছে।

রফিকুল মুকিত

গাঙচর, কুমিল্লা।

কিআ: রাত জেগে পড়া না শুধু, রাত জাগা জিনিসটাই ক্ষতিকর। তাই দিনের বেলা পড়ালেখা জমিয়ে রেখে রাত জেগো না।

আমি কিআ পড়ি। পড়ে মজা পাই। তবে একটা কারণে চিঠি লিখতে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। সামনে নবম বাংলাদেশ জাতীয় এবং প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ক্যাম্প হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সব স্কাউট দল এবং সার্কভুক্ত দেশগুলোর কিছু দল এখানে অংশ নেবে। কিআতে এ-সম্পর্কিত একটা ফিচার কি করা যায় না?

মো. শামসুর রহমান

খিলগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা।

কিআ: অবশ্যই করা যায়।

প্রিয় কিআ ভাইয়া,

আমার ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা নিও। আমার নাম অর্ক। আমি ফোরে পড়ি, ফাইভে উঠব। আমার বড় ভাই এইটে পড়ে, নাইনে উঠবে। আমার বড় ভাইয়ের নাম অঞ্জন। আমরা দুজনে কিআ পড়ি। আমরা চাই তোমরা একটি গা ছমছমে ভূতের গল্প দেবে।

অর্ক

ধানমন্ডি গভ. বয়েজ হাইস্কুল, ঢাকা।

কিআ: অবশ্যই দেব। বেশি ভয়ের হলে যদি বেশি বেশি ভয় পেয়ে যাও, তখন কি সেটা ভালো হবে?