বইমেলা ও কেন্দ্রীয় বুক ক্লাব (মার্চ ২০১৮)

ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ছিল অমর একুশে বইমেলা। অন্যদের চেয়ে মেলায় ঘুরে ঘুরে বই কেনায় ঢাকার কিশোর আলো বুক ক্লাবের সদস্যরা যেন এক ধাপ এগিয়ে। এবারের বইমেলায় কে কতগুলো বই কিনেছে সেই আলোচনা দিয়েই ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে কিআ সভাকক্ষে মাসিক সভা শুরু হয়। মেলায় নতুন প্রকাশিত বই নিয়ে আলোচনার ফাঁকে সভাকক্ষে উপস্থিত হন কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হক। তিনি তাঁর বইমেলার অভিজ্ঞতার কথা জানান। নতুন লেখকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একটা বই ভালো হবে তখনই যখন বইয়ের প্রতিটি বাক্য সঠিক ও সুন্দর হবে।’ আনিসুল হকের বিদায়ের পর বুক ক্লাবের সদস্য মুসাব্বির হুসাইন কিশোর আলো প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে তার কালিহাতী বইমেলা ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা জানায়। এরই মধ্যে সভাকক্ষে উপস্থিত হন লেখক জাহীদ রেজা নূর। শুরুতেই তিনি টেনিদা সমগ্রর গল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। সব সময়ের মতোই হাসতে হাসতে টেনিদাকে বিশ্লেষণ করেন, তাঁর কথায় একে একে উঠে আসতে থাকে চাটুয্যেদের রোয়াক থেকে গড়ের মাঠ, টেনিদার সাঙ্গপাঙ্গের গল্প। তিনি দুটি ছোট গল্প বলার পর টেনিদার আরও কয়েকটি ছোটগল্প শোনায় ক্লাবের সদস্য তাসিন, সারা, অমিত্রাক্ষর, ঝংকার ও আকিব। আলোচনা শেষে তাঁর বিদায়ের পর বুক ক্লাবের নিয়মিত কার্যক্রম বই আদান-প্রদানের মাধ্যমে শেষ হয় এ মাসের সভা। সভা শেষে ‘দেখা থেকে লেখা’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বইমেলা পরিদর্শনে যায় সদস্যরা।

বুক ক্লাবের এ মাসের সভা অনুষ্ঠিত হবে ১৬ মার্চ, দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে, কিশোর আলো সভাকক্ষে। একটি বই নিয়ে চলে এসো, বই আদান-প্রদানের মানসিকতা থাকতে হবে। এবারের সভার জন্য পড়ে আসতে হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পগুচ্ছর এই ছয়টি গল্প— পোস্টমাস্টার, কাবুলিওয়ালা, ছুটি, তোতাকাহিনী, মাস্টারমশাই ও হৈমন্তী।

লেখা: এশনা বিনতে আলী ও ফিদা আল মুগনি