নাঈমার টাইমার

বড়দের ভুলোরোগ নাম অ্যালঝাইমার

সে রকমই হলো বুঝি আমাদের নাঈমার।

ব্রেকফাস্ট করতেও লাগে তার টাইমার!

কোনো কিছু ভুলে যেতে নেই তার তুলনা।

(ভুলে যেতে পারো তবে তার মতো ভুলো না।)

এই মেয়ে ভুলে যায় ঝটপট জলদি

মরিচ চাইলে মেয়ে এনে দেবে হলদি!

বাংলার ক্লাসে মেয়ে বই খোলে আরবি

এ রকম ভুলো মেয়ে দেখাতে কি পারবি?

শুনেছিস নিজেদের অ্যাড্রেস হারাতে?

এ রকম কোনো মেয়ে আছে তোর পাড়াতে?

ভুলে যায় ঠিকানা সে, ভুলে যায় রাস্তা

গাড়ি ছাড়া হাঁটতেও জিপিএসে আস্থা!

কোন পথে ইশকুল কোন পথে ফিরবে

কোন মোড় ছেড়ে কোন মোড়ে এসে ভিড়বে

সবকিছু জিপিএস দেয় তাকে শিখিয়ে

জিপিএসই মেয়েটাকে রেখেছে যে টিকিয়ে!

তা না হলে এই মেয়ে হয়ে যেত নন্দ

(নন্দলালকে তার ভীষণ পছন্দ!)

ভুলোমন কোথায় যে পড়ে থাকে মনটা!

সারা দিন ক্ষণে ক্ষণে বেজে ওঠে ঘণ্টা।

হাঁটাচলা মন্থর হেলতে ও দুলতে

বৃষ্টিতে ভুলে যায় ছাতাটাকে খুলতে!

ভিজতে ভিজতে আহা হয় ভেজা কাক সে!

ভুলে যায় টিফিনটা আছে কোন বাক্সে!

খুঁজে খুঁজে হয়রান টিপ আর দুলটা

প্রতিদিন করে মেয়ে শাদামাটা ভুলটা!

বলব কি শোনে যদি দেবে মুখ ঝামটাই

(একদিন ভুলে গিয়েছিল তার নামটাই!)

টাইমার লাগে তার হোমটাস্ক করতে

অঙ্কের পর পর ইংরেজি ধরতে।

তাকে যদি বলো তুমি—আব্বুকে ডাকতে

ভুলে গিয়ে বসে যাবে মেয়ে ছবি আঁকতে!

(ঘুম থেকে জাগে মেয়ে আম্মুর চুমুতেই।)

কোনো কোনো দিন মেয়ে ভুলে যায় ঘুমুতেই!

সুতরাং ঘুমুবার জন্যেও টাইমার—

লাগে এই নাঈমার!