ভুলভুলাইয়া

রাতিনের একটা অসুখ হয়েছে। সে সবকিছু ভুলে যাচ্ছে।

বিকেলবেলা বাইরে সাইকেল চালিয়ে ঘর্মাক্ত শরীরে রাতিনের প্রবেশ। ক্লাস সিক্সে পড়া ১১ বছরের রাতিনের খাড়া খাড়া চুল ঘামে ভিজে একেবারে জবজবে। তার গোল নাকের ডগায়ও ঘাম। সে সোজা বসে পড়ল খাবার টেবিলে, হাতে তুলে নিল মায়ের বানানো স্যান্ডউইচ। মা বললেন, সে কী কথা রাতিন! তুমি হাত না ধুয়ে খেতে বসলে কেন? জানো তো, ভালো করে হাত ধোয়া হলে শতকরা ৯০ ভাগ অসুখ-বিসুখ হয় না।

রাতিন বলল, স্যরি মা। ভুলে গেছি। আমার না মা কিছুই মনে থাকে না।

সে হাত ধুতে গেল বেসিনে। লিকুইড সাবান দিয়ে ভালোমতো হাত ধুলো। তারপর ফিরে এল টেবিলে। স্যান্ডউইচটা তুলে নিয়ে গ্লাস থেকে পানি ঢেলে সে সেটাও ধুতে লাগল।

মা বললেন, কী করছ তুমি?

স্যান্ডউইচ ধুয়ে নিচ্ছি মা।

স্যান্ডউউচ ধুয়ে নিচ্ছ মানে? পাগল হয়ে গেছ?

স্যান্ডউইচ ধুতে হয় না বলছ? কাল যে আপেল খেতে শুরু করলাম, তুমি বললে, আপেল ধুয়ে নিয়ে তারপর খাও।

আপেল আর স্যান্ডউইচ এক জিনিস হলো? তুমি আমার সঙ্গে ফাজলামো করো?

মা, আমার কিছু মনে থাকে না। সব উল্টাপাল্টা হয়ে যাচ্ছে।  

মা ছেলের মুখের দিকে তাকালেন। তাঁর বুকটা কেঁপে উঠল। কী বলছে ছেলেটা এসব!

একটু পরে রাতিনের চিৎকার শোনা গেল। মা মা, আমার কাপড়চোপড় দিয়ে যাও।

তুমি কোথায়? মাও গলা উঁচিয়ে বললেন।

বাথরুমে।

মা কাছে গেলেন। ছেলে বাথরুমের দরজায় মাথা বের করে রেখেছে।

কী হয়েছে?

গোসল করছি। কাপড়চোপড় আনতে ভুলে গেছি।

তিনি দেখলেন, ছেলে বাইরের কাপড়চোপড় এমনকি জুতা-মোজা পরেই বাথরুমের শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়েছে। সবকিছু ভিজে একাকার।

তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলেন।

তোর সমস্যা কী?

কোনো সমস্যা নাই।

তাইলে তুই এ রকম করছিস কেন?

কী রকম?

এই জুতা পরে কেউ গোসল করে?

কোন জুতা পরে গোসল করতে হয়?

আবার ফাজলামো!

মা, আমার কিছু মনে থাকে না।

থাকবে থাকবে। দুই গালে দুটো চড় পড়লে ঠিক মনে থাকবে।

মা ছেলেকে টেনেহিঁচড়ে কাপড়চোপড় পাল্টানোর ব্যবস্থা করলেন।

সকাল সাতটায়ও ছেলে ঘুমাচ্ছে।

কী ব্যাপার। ওঠ। স্কুল যাবি না? মা তাকে ডাকছেন।

সে ঘুম জড়ানো কণ্ঠে বলল, আপনি কে?

আমি কে? আমি কে? এটা জানতে চাস, না? কান টেনে ছিঁড়ে ফেললে সব ঠিক হয়ে যাবে।

আপনি কে? আপনি আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলছেন কেন?

স্কুলে যা। তাড়াতাড়ি রেডি হ।

স্কুল? স্কুল কী জিনিস?

মা একটু ধন্ধে পড়লেন। রাতিন কি অভিনয় করছে, নাকি সত্যি সত্যি তার কোনো সমস্যা হচ্ছে।

তিনি রাতিনের বাবাকে ডাকলেন। এই দেখো তোমার ছেলে কী রকম অভিনয় করছে। বলছে, তুমি কে? আবার বলে স্কুল কী?

বাবা বললেন, অভিনয় করছে নাকি? তাহলে তো খুব ভালো কথা। বড় হয়ে অনেক বড় অভিনেতা হবে।

শুধু অভিনেতা হবে না। সে নাট্যকারও হবে। বানিয়ে বানিয়ে ডায়লগও ঝাড়ছে।

বাবা এলেন। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, হাতে একটা খবরের কাগজ। বললেন, কী খবর রাতিনবাবা। সমস্যা কী?

রাতিন বলল, আপনি কে?

বাবা বললেন, অভিনয় খুব ভালো হয়েছে। এখন ঝটপট রেডি হয়ে নাও।

রাতিন বলল, রেডি কী?

বাবা খিক করে হেসে ফেললেন। এই তুই তো ভালো অভিনেতা হয়ে গেছিস রে।

রাতিন বলল, অভিনেতা কী?

রাতিনকে ধরে-পাকড়ে কাপড়চোপড় পরিয়ে দিলেন মা। তাকে গাড়িতে করে নামিয়ে দিলেন স্কুলের গেটে।

রাতিন ভাবতে লাগল, অভিনয় যখন শুরু করেছি, তখন এত তাড়াতাড়ি ছাড়ব কেন? আরও করি। হুলস্থুল বাধিয়ে দিই।

সে সামনে যে ক্লাসরুম পেল, তাতেই ঢুকে পড়ল।

সেটা ছিল ক্লাস সেভেন।

তার ক্লাস সিক্স। সে সেভেনেই একটা ডেস্কে বসে পড়ল।

তাকে ছেলেমেয়েরা বলল, তুমি কেন এই ক্লাসে বসলে? তুমি তো ক্লাস সিক্সে পড়ো।

ও বলল, ক্লাস সিক্সে পড়ি নাকি? আচ্ছা, তাহলে তোমরাই বলো, ক্লাস সিক্স কোনটা।

ক্লাস সেভেনের ছেলেরা তাকে কোলে করে ধরে ক্লাস সিক্সে নামিয়ে দিয়ে গেল।

ক্লাসে টিচার এলেন। তিনি রোল কল করছেন।

রোল এইটিন।

রাতিন নীরব হয়ে রইল।

রোল এইটিন।

রাতিন নীরব।

এই রাতিন, তোর রোল ডাকছে? পাশের সিটে বসা কাজল তাকে চিমটি দিয়ে বলল।

রাতিন বলল, রোল ডাকলে কী হয়!

মোটামুটি স্কুলে শোরগোল ফেলে দিতে পেরেছে রাতিন।

স্কুল থেকে ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ফোন করলেন রাতিনের মাকে।

আপনি একটু আসুন প্লিজ। আপনার সঙ্গে কথা আছে।

মা এলেন। ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মাহবুবা খাতুন ছোটখাটো মানুষ। চোখে চশমা। সুতির সাদা শাড়ি নীল পাড় ছাড়া পরেন না।

জি আপা, বলেন।

আপনার ছেলের সমস্যা কী?

কোনো সমস্যা করেছে নাকি?

ও তো এমন ভাব করছে ও কিছুই মনে করতে পারছে না।

ও তো অভিনয় করছে।

অভিনয় করলে তো আরও বেশি সমস্যা। ধরা যাক, ওর ব্রেনের সবকিছু মুছে গেছে। সেটা তো ভয়াবহ সমস্যা। কিন্তু তার সবকিছু মনে আছে, কিন্তু সে অভিনয় করছে। সেটাও সমস্যা। এটা মানসিক সমস্যা। কেন একটা বাচ্চা ছেলে এমন অভিনয় করবে যে সে সবকিছু ভুলে গেছে?

মা মাথা নিচু করে থাকেন।

আপনারা একজন মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলেন।

জি আচ্ছা।

এখন ওকে নিয়ে যান। ও ক্লাসে কোনো কাজ করছে না। ম্যাথের প্রবলেম সলভ করছে না। ল্যাংগুয়েজ ক্লাসে এসে লিখতে বলা হয়েছে, সে কিছুই লেখে নাই।

মা কাঁদতে কাঁদতে ফিরে এলেন। পাশে তাঁর ছেলে। এই ছেলে তাঁর মাথা নিচু করে ফেলেছে।

আপনি কাঁদছেন কেন? রাতিন বলল।

তুই আমাকে অপমান করছিস কেন? আমার মাথা তুই হেঁট করলি কেন?

রাতের বেলা বাবা এলে বিচার বসল। এই ছেলেকে নিয়ে কী করা যাবে।

রাতিন ব্যাপারটা ভাবছে। এখন তার পক্ষে হঠাৎ করে স্মৃতি ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। পুরোনো দিনের বাংলা সিনেমায় মাথায় আঘাত পেলে সব ভুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, আবার আরেকটা আঘাত পেলে নায়ক বা নায়িকা স্মৃতি ফিরে পায়। এখন সে কি নিজের মাথায় নিজেই একটা বাড়ি দেবে আর স্মৃতি ফিরে পাবে?

সে তো আর মাথায় বাড়ি খেয়ে স্মৃতিভ্রষ্ট হয়নি।

আসলে সে হতে চায় আইনস্টাইন।

আইনস্টাইনের জীবনে এই রকম অনেক মজার গল্প আছে।

যেমন কবুতরের বাচ্চা হলো। আইনস্টাইন বললেন, একটা ছোট দরজা বানাতে হবে কবুতরের বাসায়। বড়টা দিয়ে তো বড় কবুতর বেরোয়। ছোট কবুতরের জন্য ছোট দরজা লাগবে না।

আইনস্টাইন যখন প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক, তিনি ট্রেনে উঠেছেন। টিকিটচেকার এলেন। আইনস্টাইন টিকিট খুঁজছেন। কোটের পকেটে খোঁজেন। ট্রাউজারের পকেটে খোঁজেন। শার্টের পকেটে খোঁজেন।

চেকার বললেন, মি. আইনস্টাইন, আপনি ব্যস্ত হচ্ছেন কেন? আপনি যে টিকিট কেটেছেন এটা সবাই জানি। আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না।

আইনস্টাইন বললেন, কিন্তু টিকিট না পেলে যে আমি জানব না আমাকে কোথায় নামতে হবে। আমি তো ভুলে গেছি...

এখন কী হবে?

রাতিনকে বিখ্যাত মনোচিকিৎসক অধ্যাপক আলমাজির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ডা. আলমাজির ইয়া বড় টাক। তিনি বললেন, তোমার মনে কী দুঃখ আমাকে বলো। সব খুলে বলো।

রাতিন বলল, আপনার লেজটা কোথায়?

মানে?

আমাকে ওরা বলেছে চিড়িয়াখানা দেখতে নিয়ে আসবে।

অধ্যাপক আলমাজি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। কেস তো বেশ খারাপ।

জেনি ফুপি এলেন রাতের বেলা। তিনি গেলেন রাতিনের ঘরে। একমাত্র ছেলের জন্য বাবা-মা চমৎকার করে একটা ঘর সাজিয়ে দিয়েছেন। রাতিনের খাটটা গাড়ির মতো। তার ঘরের দেয়াল রঙিন। টেবিল-চেয়ারও রঙিন। টেবিলের সঙ্গে আবার একটা মই আছে। ফুপি সেসবের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, আদর দিয়ে দিয়ে এরা ছেলেটার মাথা খেয়েছে। ভাবি তো আমার কোনো কথাই শুনবে না। শুনলে কোনোদিনও ছেলে এই রকম করতে পারত না।

তিনি রাতিনকে নিয়ে বসলেন টেলিভিশনের সামনে। টেলিভিশনে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে একটা অনুষ্ঠান হয়, ‘সুবন্ধুর পরামর্শ, হ্যালো সুবন্ধু।’ সেখানে সব বিশেষজ্ঞরা বসে থাকেন। দর্শকেরা ফোন করে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

জেনি ফুপি ফোন করলেন লাইভ অনুষ্ঠানে। হ্যালো, সুবন্ধু, শুনুন, আমার ১১ বছরের ভাতিজা একটা সমস্যায় পড়েছে। সে বলে, তার কিছু মনে নেই। সে বাবাকে চিনছে না, মাকে চিনছে না। ভাত খেতে বললে বলে ভাত কী। আবার ভাত পানি দিয়ে ধুয়ে খায়। এই রকম আর কী!

প্রশ্ন শোনা মাত্রই একজন বিশেশজ্ঞ, তার গলায় টাই, গায়ে কোট, চোখ বন্ধ করে বলা শুরু করলেন, সম্ভবত ছেলেটি গুরুতর আলঝেইমারস ডিজিজে ভুগছে। এর কারণ অবশ্যই জেনেটিক। ওর বাবা-মা কারও জিনে নিশ্চয়ই আলঝেইমার্স রোগ আছে।

আরেকজন পাঞ্জাবি পরা, মাথায় সাদাকালো চুল, সাদাকালো গোঁফ, সম্ভবত কোনো লেখক হবেন তিনি, বললেন, এটা আসলে একটা বিশেষ  সম্মিলিত অসুখ। গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের বইয়ে আমরা এই রকম ঘটতে দেখি। একটা গ্রামের সবাই সবকিছু ভুলে যাচ্ছে। তারা গরুর গায়ে লিখে রাখল, এটা গরু, দোয়ালে এটা দুধ দেয়, দুধ থেকে দুধ-কফি বানানো যায়। আপনি এক কাজ করুন, আপনার ভাগ্নে যা যা ভুলে যাচ্ছে তার গায়ে সেসবের নাম লিখে রাখুন।

শুনে রাতিন মনে মনে হেসে নিল এক চোট।

আরেকজন বললেন, ১১ বছরের একটা কিশোর এটা শিখেছে সমাজের কাছ থেকে। আমরা সব কিছু ভুলে যাই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলি, আমাদের সব ঐতিহ্য ভুলি। কাজেই আপনার ভাগ্নে যে ভুলবে তা খুব স্বাভাবিক।

জেনি খালা কাগজের টুকরায় বড় বড় করে লিখলেন--

বাবা: তাকে বাবা বলে ডাকবি, তার কথা শুনবি

মা: তাকে মা বলে ডাকবি, কোনো দরকারে তাকে মা বলে ডাকলেই চলবে

বাথরুম: বাথরুম পেলে এখানে ঢুকবি

বিছানা: ঘুম পেলে এখানে শুবি

তিনি কাগজের টুকরা নিয়ে গেলেন রাতিনের মায়ের কাছে। ভাবি, এই কাগজটা তোমার গলায় ঝুলিয়ে নাও।

মা কাগজটার দিকে খানিকক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে রইলেন, তারপর সেটা ছিঁড়তে ‌ছিঁড়তে বললেন, পাগলের গুষ্টি, কোত্থেকে এই পাগলামো রাতিন পেয়েছে বেশ বোঝা যাচ্ছে।

ফুপি নয়, সমস্যার সমাধান করলেন ছোট মামা। মা কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে ফোন করলেন। কাঁদতে কাঁদতে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করলেন।

মামা এলেন। এসেই চিৎকার করতে লাগলেন, আগামীকাল ঢাকায় আসছেন জিনেদিন জিদান। পাঁচটা বাচ্চা তাঁর সঙ্গে দুপুরে লাঞ্চ করার সুযোগ পাবে। কে কে যাবে?

রাতিন বলল, আমি যাব।

মামা বললেন, কিন্তু তার জন্য একটা ছোট্ট কুইজে পাস করতে হবে। বলো দেখি, ফ্রান্স কত সালে ওয়ার্ল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল?

১৯৯৮ সালে।

কার সঙ্গে ফাইনাল খেলা হয়েছিল?

ব্রাজিল।

কে অধিনায়ক ছিলেন?

জিনেদিন জিদান।

বাহ্‌। এই রকম স্মৃতিশক্তির চ্যাম্পিয়নই তো আমরা চাই। যাহ্‌। তুই পাস। তোকে জিদানের সঙ্গে লাঞ্চে নিয়ে যাচ্ছি। মাকে বলে আয়, মা, আমার মেমোরি ফিরে পেয়েছি।

রাতিন গেল মায়ের কাছে। মা, আমার মেমোরি ফিরে পেয়েছি।

তোর মেমোরি এতক্ষণ কোথায় ছিল?

পেনড্রাইভে ভরে রেখেছিলাম। মামা এসে সেটা আবার হার্ডডিস্কে ফেরত দিল। হুররে জিদানের কাছে যাচ্ছি একসঙ্গে লাঞ্চ করতে।

জিনেদিন জিদান সত্যি সত্যি ঢাকায় এসেছেন।

রাতিন ফোন করল মামাকে, মামা, মামা, আজকে তো আমরা যাচ্ছি জিদানের সঙ্গে দেখা করতে, তাই না?

মামা বললেন, কোন জিদান?

রাতিন বলল, আরে জিনেদিন জিদান। ফুটবলার!

ফুটবলার কী?

আরে ফ্রান্সের ফুটবলার। রিয়েল মাদ্রিদের জিনেদিন জিদান।

ফ্রান্স কী? রিয়েল কী? মাদ্রিদ কী?

মামা তোমার কী হয়েছে?

ভুলভুলাইয়া। বলে মামা হাসতে লাগলেন।

শোন, আর কোনোদিন এই ঢং করবি?

না।

ঠিক তো?

ঠিক।

ঠিক আছে, জিদানের সঙ্গে অবশ্যই তোকে দেখা করিয়ে দেব। জিদান যাচ্ছেন সাভারে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে, তোকে ওই খেলার লাইনসম্যানের কাজ দেব।

থ্যাংক ইউ মামা।

থ্যাংক ইউ কী?

উফ মামা।

উফ কী? মামা কী?

অলংকরণঃ তুলি