অবিশ্বাস্য বালুচিত্র

সৌন্দর্য বাড়াতে সমুদ্রসৈকতের বালুতে চিত্র আঁকার রেওয়াজটা অনেক দিনের। ইতিমধ্যে এটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এমনও শিল্পকর্ম আছে যা আগে কখনোই দেখা যায়নি! বলছি জেমি হার্কিন্সের সৃজনশীলতার কথা। নিউজিল্যান্ডের এই আঁকিয়ে একজন সংগীতশিল্পীও বটে। বালুতে চমৎকার সব থ্রিডি ছবি এঁকে দর্শনার্থীদের রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেন তিনি। দৃষ্টিবিভ্রম সৃষ্টি করা এ ছবিগুলো দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায়ই থাকে না।

টুডি ছবিকে থ্রিডি দেখানোর কৌশলটা আসলে স্ট্রিট আর্ট বা পথচিত্রের কৌশলের মতোই। নাম ‘অ্যানামর্ফোসিস’। নামটা বেশ কাঠখোট্টা হলেও কাজটা কিন্তু মজার। এভাবে আঁকা কোনো ছবিকে নির্দিষ্ট স্থান থেকে দেখলে মনে হয় যেন সত্যিকারের কোনো বস্ত্ত। ঘুরতে আসা অনেকের কাছেই হার্কিন্সের আঁকা চিত্রগুলো অর্থহীন দাগ হয়ে ঠেকলেও দূর থেকে দেখলে সেই দাগগুলোই রূপ নেয় পালতোলা নৌকা, ঘাট কিংবা সিঁড়িতে। হার্কিন্সের বিশেষত্বটা এখানেই, বাস্তবতা আর ছবির মধ্যে যে পার্থক্যটা থাকে সেটাকে দূর করতেই ছবির সঙ্গে তিনি বিভিন্নজনকে বিভিন্ন ভঙ্গিতে দাঁড় করিয়ে দেন। আর তাতেই কেল্লাফতে। বোঝার কোনো উপায়ই থাকে না যে সেটা ছবি।

‘সৈকতে বালুচিত্র তো অনেকেই করেন। কিন্তু ওগুলো ঘুরেফিরে ওই কয়েকটা জ্যামিতিক আকারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।  তাই এটাকে পুরোপুরি থ্রিডি করা যায় কি না ভাবতে থাকলাম। আর দিন শেষে জোয়ারের পানিতে সেটা ভেসে যাওয়ার ব্যাপারটা আমার বেশ ভালোই লাগে।’  দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড -এর কাছে এভাবেই অনূভূতি জানান জেমি হার্কিন্স।

তথ্যসূত্র: বোরডপান্ডা ডট কম