তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম

তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম | সত্যজিৎ রায়

ভাষা: বাংলা | প্রথম প্রকাশ: ২ মে ১৯৮৬

প্রকাশক: আনন্দ পাবলিশার্স প্রা. লি., কলকাতা

বাংলা ভাষার খেয়ালরসের একচ্ছত্র রাজা সুকুমার রায়। তাঁর উদ্ভট লেখাগুলো ছোটদের জন্য হলেও বড়রাও বেশ মজা করে এসব পড়েন। সে রকম বিশ্বের সেরা দুজন খেয়ালরসিক এডওয়ার্ড লিয়র এবং লুইস ক্যারল। সুকুমার রায়ের মতোই তারাও ছড়ায় ছড়ায় গড়েছেন আজব আর উদ্ভট সব জগৎ। তাদের সেই জগতের সঙ্গে আমাদের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সুকুমারপুত্র সত্যজিৎ রায়।

গোয়েন্দা ফেলুদা, বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কু কিংবা গল্পবাজ তাড়িনী খুড়ো বাংলা ভাষার ছোট-বড় সব পাঠকের কাছেই অতিপরিচিত নাম। এই জনপ্রিয় চরিত্রগুলোর স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়। কাছের মানুষেরা তাকে ডাকতেন মানিক নামে। তিনি শুধু লেখকই ছিলেন না, একাধারে তিনি ছিলেন চিত্রশিল্পী, চলচ্চিত্রনির্মাতা। এ ছাড়া ছোটগল্পও লিখেছেন তিনি প্রচুর। আর তার বেশির ভাগই শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা। মৌলিক গল্পের পাশাপাশি বেশ কিছু অনুবাদও করেছেন সত্যজিৎ ওরফে মানিকদা। এর মধ্যে  তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম  বইটি উল্লেখযোগ্য।

সত্যজিতের এই অনুবাদগুলো প্রকাশিত হয়েছিল শিশু-কিশোরদের একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় পত্রিকা সন্দেশ -এ।  তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম  বইটিতে মোট সাতটি অনূদিত ছড়া ও একটি গল্প স্থান পেয়েছে। সেগুলো হচ্ছে ‘পাপাঙ্গুল’, ডং, লিমেরিক, পিপলি বিলের ধারের সাতটি পরিবারের ইতিকথা, জবরখাকি, রামপাগলের গান, মেছো গান, আদ্যি বুড়োর পদ্যি, হেসরি কিং-এর অকালমৃত্যু এবং তিন ভিখিরি। এর মধ্যে ‘পিপলি বিলের ধারের সাতটি পরিবারের ইতিকথা’ ছাড়া বাকিগুলো ছড়া। কিন্তু ছড়াগুলো অনূদিত হলেও ঠিক আক্ষরিক অনুবাদ একে বলা যাবে না। আসলে বিদেশি স্রষ্টার অনুসরণে সত্যজিৎ রায়ের নিজস্ব সৃষ্টি। মজার এ ছড়াগুলো তোমাদের সামনে খুলে দেবে আজগুবি এক জগৎ। যে জগৎ বড্ড বেয়ারা আর সৃষ্টিছাড়া। আর পড়তে বসলে হাসতে হাসতে পেটে খিল লেগে যাবে, সেটা না বললেও চলে।

বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন সত্যজিৎ রায় নিজেই। আর বইয়ের ভেতরের অলংকরণগুলো ইংরেজি মূল বই থেকে নেওয়া হয়েছে। যেগুলো এঁকেছিলেন স্যার জন টেনিয়েল এবং এডওয়ার্ড লিয়র। ছবিগুলো প্রতিটি ছড়া ও গল্পকে আরও চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। মজার এই বইটি পারলে এক্ষুনি সংগ্রহ করে পড়ে ফেলতে পারো।