শেষ ভরসা দাওয়াইখানা

পাড়ার মোড়ের যে রাস্তাটা

ওই বাজারের দিক—

সে পথ ধরে হাঁটতে থাকুন

পেয়ে যাবেন ঠিক।

নাক বরাবর এগিয়ে যাবেন

বাম দিকে তারপর—

একটুখানি ডানে গ্যালে

একটি ছোটঘর।

ঘরের ওপর ব্যানার লেখা

বড় করে বেশ—

‘শেষ ভরসা দাওয়াইখানা’,

‘জয় করেছে দেশ’।

তার সামনেই বেঞ্চিতে এক

হ্যাংলা-রোগা লোক—

সবাই চেনে পটলা বলে

চশমাঢাকা চোখ।

তারই স্যারের নামটি মশায়

জনাব মোহনভোগ—

হাজার হাজার ডিগ্রি যে তার

সারায় সবার রোগ!

সর্বরোগের মহৌষধের

সে এক কারিগর—

চিকিৎসাপদ্ধতি ক্যামন?

শুনুন তার উত্তর।

হাড় ভেঙে কেউ আসলে পরে

হাত অথবা পা’র —

ফেভিকল আর সুপার গ্লুতে

দ্যায় করে প্লাস্টার।

মৃগীরোগী দেখলে বলে

‘করগে জিনের খোঁজ’—

জিন তাড়াতে দ্যায় কারাতে

কুংফুপ্যাথির ডোজ।

হৃদ্রোগীকে পেটায় বুকে

হাতুড়িতে খুব—

জ্বরের রোগী দেখলে বলে

‘পুকুরে দে ডুব’।

আপনার অসুখ কিসের এবার

বলুন দেখি শুনি—

তাড়া আছে, ফিরে যাবেন

ওই পথে এক্ষুনি?

এই না তখন বললেন ‘অসুখ’

বলছেন এখন ‘নেই’—

রোগ কি তবে সেরে গ্যালো

আমার কথাতেই?

এ কী মশায়, পথ এদিকে

উল্টো পথে নয়—

কই চললেন, বলে তো যান

নাম আর পরিচয়!

অলংকরণ: হামিদ ভূঁইয়া