আমার বাসায় অলিখিত নিয়ম আছে জারি
কোনো কিছু পুষতে গেলে কেউ দেবে না ঝাড়ি।
ভাইয়া পোষে ছোট্ট কাছিম, আপু সবুজ টিয়ে
আম্মু থাকে ব্যস্ত পোষা খরগোশদের নিয়ে।
পোষার বেলায় সবাই স্বাধীন যার যে রকম খুশি
আমি যেমন হাজার খানেক লাল পিঁপড়া পুষি।
কারণ ছাড়া পিঁপড়া পুষি? বুদ্ধি আমার কাঁচা?
আরে বাবা পিঁপড়া থাকায় খেয়ে-পরে বাঁচা।
খাবার বেলায় আমার আছে একটু বাছাবাছি
সব খাবারেই মুখ গোমড়া, মিষ্টি দেখে নাচি।
আমার এমন মিষ্টিপ্রীতি বাসার সবাই জানে
সেই মেহমান ভালো যারা কেক, পেস্ট্রি আনে।
আপু বলে মিষ্টি খাওয়ায় আমি অনেক বোকা
ভাইয়া বলে কৃমি হবে, ধরবে দাঁতে পোকা।
আম্মু কঠিন, বলে দিল—মিষ্টি খাওয়া বারণ
মিষ্টি নাকি হবে আমার ধ্বংস হওয়ার কারণ।
চকলেট আর কেক পেস্ট্রি বাসায় আসে ঠিকই
হন্যে হয়ে খুঁজেও আমি পাই না তো তার টিকি।
কোথায় যেন লুকায় ওসব, রাখে না তো ফ্রিজে
মিষ্টি খুঁজে হয়রান হই যখন খুঁজি নিজে।
মিষ্টি রেখে মিছিমিছি কেন আঙুল চোষা!
তারপরই না বুদ্ধি করে লাল পিঁপড়া পোষা।
মিটসেফে বা আলমারিতে কিংবা খাটের নিচে
মিষ্টি খাবার সামলে রাখার ভাবনা পুরোই মিছে।
মিষ্টি প্রিয় আমার এবং পিঁপড়াগুলোর কাছে
পিঁপড়া আমায় দেখিয়ে দেয় মিষ্টি কোথায় আছে।
আগে চলে পিঁপড়ার লাইন, আমি করি ফলো
বুদ্ধি খরচ না করলে বাঁচা যাবে? বলো!
অলংকরণ: মাসুক হেলাল