সহিংস উগ্রবাদ দূরীকরণে লেখালেখি কর্মশালা

বাঁ থেকে: লেখক ও সাংবাদিক জাহীদ রেজা নূর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহাজাদী বেগম, প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ও কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক পাভেল মহিতুল আলম
বাঁ থেকে: লেখক ও সাংবাদিক জাহীদ রেজা নূর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহাজাদী বেগম, প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ও কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক পাভেল মহিতুল আলম

সহিংসতা ও উগ্রবাদ নয় বরং সৃজনশীলতা ও ভালোবাসা দিয়েই সবকিছু জয় করা সম্ভব—এ মূলমন্ত্র নিয়ে ৩০ নভেম্বর বিকাল ৩টায় রাজধানীর কারওয়ানবাজারের সিএ ভবনে এক ‘লেখালেখি কর্মশালা’র আয়োজন করা হয়। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, প্রথম আলো বন্ধুসভা ও কিশোর আলোর সম্মিলিত প্রকল্প ‘সম্প্রীতি’র আওতায় আয়োজিত এ কর্মশালায় অংশ নেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অর্ধশত শিক্ষার্থী। কর্মশালা পরিচালনা করেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন এবং সাংবাদিক ও লেখক জাহীদ রেজা নূর। আরো উপস্থিত ছিলেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহাজাদী বেগম।

কর্মশালা শুরু করেন জাহীদ রেজা নূর। তিনি প্রথমে পাঠকদের মতামতের ভিত্তিতে লেখালেখি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারণা দেন। বাংলা সাহিত্যের শুরুর গল্প, দিনে দিনে তা পরিবর্তিত হয়ে কীভাবে আমাদের বর্তমান সাহিত্যে রূপ নিয়েছে সে সম্পর্কেও বলেন তিনি। কীভাবে লেখক হওয়া যায় এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বেশি বেশি পড়তে হবে, কোনো লেখার ভালোমন্দ তাহলেই ধরতে পারবে। আর নিজের লেখায় সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবে। জাহীদ রেজা নূরের বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় ইমদাদুল হক মিলন বাংলা সাহিত্যের বেশ কজন লেখকের কিছু বই অবশ্যই পড়ার পরামর্শ দেন। তিনি নিজেরসহ বেশ কজন লেখকের লেখা গল্প ও বইয়ের উদাহরণ টেনে অংশগ্রহণকারীদের লেখালেখির ধরন সম্পর্কে ধারণা দেন। আর বলেন, লেখালেখির মাধ্যমে আমরা জগৎটাকে অনেক সুন্দর করতে পারি। এরপর শাহাজাদী বেগম সম্প্রীতি প্রকল্প সম্পর্কে বলেন।

কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলমের সঞ্চালনায় লেখকদ্বয় ও অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে কর্মশালা শেষ হয়।

কর্মশালা শেষে লেখক ও অতিথিদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ফটোসেশন
কর্মশালা শেষে লেখক ও অতিথিদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ফটোসেশন

ছবি : আকিফুর রহমানজামিরুল ইসলাম