তিনু ৩ পাওয়ার পর

অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অঙ্কে ৩ পেয়েছে তিনু। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে ও। আসাদ স্যার ওকে ডেকে অঙ্ক খাতা দেওয়ার সময় হে হে করে হাসলেন। নিমেষে পুরো ক্লাসে হাসির একটা তুফান বয়ে গেল।

তিনু হাসবে না কাঁদবে, প্রথমে ঠাওরাতে পারল না। পরে ভাবল, সবাই যখন হাসছে, আমিও হাসি। ফিক করে হেসে ফেলল ও। আর তখনই শপাং করে পিঠে বেত মারলেন আসাদ স্যার। একটা নয়, পরপর তিনটা।

হাসি উধাও স্যারের মুখ থেকে। চেহারাটা হয়ে গেছে কড়িকাঠের মতো শক্ত। তিনুর ডান কানে স্ক্রু টাইট দেওয়ার ভঙ্গিতে একটা মোচড় দিলেন তিনি। বললেন, ‘বেহায়া কোথাকার! তিন পেয়ে আবার হাসে!’

আসাদ স্যারের কানমলা আর বেত তিনুর কাছে ডালভাত। বরাবরই হজম করে এসেছে। কিন্তু আজকের ডলাটা বেশ কড়া।

স্যার বললেন, ‘কাল থেকে স্কুলে আসার আর দরকার নেই। বাড়িতে গিয়ে বইখাতা রেখে একটা কোদাল নিবি। তারপর মাটি কাটতে বেরিয়ে যাবি। বাবাকে বলবি, আমি বলেছি। এটাই তোর কাজ।’

নিজের সিটে গিয়ে মাথা নিচু করে বসে রইল তিনু। প্রতিদিন একদম পেছনের বেঞ্চে একাই বসে ও। এখানেই মজা। স্যারের দৃষ্টি এড়িয়ে আকাশ দেখা যায়। পাখির ওড়াউড়ি দেখা যায়। আজব যত বল্পনায় ভাসা যায়। মুশকিল যে হয় না, তা নয়। শিক্ষক হুট করে কোনো প্রশ্ন করলে মাথা চুলকানো ছাড়া উপায় থাকে না। কিন্তু অঙ্কে ৩ পেল যে! এত কম নম্বর আর কখনো পায়নি ও। বাবা আজ আর ওকে আস্ত রাখবেন না।

ছুটির পর ৩-এর কেলেঙ্কারির কথা ভুলে যায় তিনু। বাড়ি গিয়ে বইখাতা ছুড়ে ফেলে গুলতি নিয়ে বিলের ধারে যেতে হবে। সেখানে সাদা বকের মেলা। অন্যান্য পাখিও থাকে। ওর হাতের টিপ ভালো। শিকার সহজে ফসকায় না। কালকেও দুটো বক মেরে এনেছে। ভুনা করেছেলিন মা। যা স্বাদ!

পথে তিনুর সঙ্গে যোগ দেয় নন্দ। ওরই সহপাঠী। ছোটখাটো গড়ন। হাত-পা প্যাঁকাটে। দুষ্টু বন্ধুরা ওকে ‘পিচ্চি’ বলে ডাকে। এ জন্য দাপুটে তিনুর ছায়াতলে থাকার চেষ্টা করে। বেশ চতুর সে। নিজে কিছু করে না, কিন্তু তিনুকে দিয়ে নানা রকম ভজকট বাধায়। ক্লাসে কখনো তিনুর সঙ্গে বসে না ও। পাছে স্যারের কুনজরে পড়ে—এই ভয়ে।

নন্দ বলে, ‘তোরে ৩ দেওয়াটা মোটেও ঠিক হয় নাই স্যারের।’

তিনু ওর দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করে—কী বলতে চায় ও। নন্দ বলে, ‘হাজার হইলেও স্যার তোগোর পাড়ার মানুষ। আত্মীয়ই কওন যায়। এমুন মানুষ হইয়া এই কাম করল! ৩-এর লগে ৩ বসাইয়া দিলেই তো পাস উইঠা যাইত।’

তিনু ভেবে দেখে, নন্দ মিছে বলেনি। রক্তের সম্পর্কে না হলেও পাড়ার সম্পর্কে চাচা হন আসাদ স্যার। বাবাকে বিশেষ স্নেহ করেন। প্রায়ই বলেন, ‘ছেলেকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিস।’

বাবা এ নিয়ে তিনুকে তাগিদ দেন বটে, কিন্তু খেয়াল রাখতে পারেন না। গ্রামের বটতলার বাজারে পাইকারি দোকান তাঁর। জবর বেচাকেনা। সাতসকালে বের হন। ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা। এর মধ্যে ছেলের খোঁজ তিনি নেবেন কী করে?

এরপরও রাতে ঘুমানোর আগে মাঝেমধ্যে জিজ্ঞেস করেন, ‘কী রে, পড়াশোনা ঠিকমতোন হয় তো?’

তিনু বলে, ‘হুঁ।’

‘অঙ্ক আর ইংরেজিটা ভালো কইরা পড়বি।’

‘আইচ্ছা।’

‘আসাদ মাস্টরের কাছে যাস?’

এ প্রশ্নে বিপদে পড়ে যায় তিনু। কিন্তু চিন্তা নেই। জবাব দিতে হবে না। নাক ডাকতে শুরু করেছে বাবার।

স্যারের কাছে যাওয়া নিয়ে মাথাব্যথা নেই তিনুর। কী করবে, যেতে ইচ্ছে করে না। ওর মা খুব ভালো। পড়াশোনা নিয়ে বাবার মতো তাগিদ দেন না। শুধু বলেন, ‘ভালো কইরা পড়িস, বাবা। একটা বড় পাস দিতে অইব। গেরামের নাম রাখিস।’

ব্যস, এ পর্যন্তই। মা আর কিছু বলেন না। ওর বোন লিনু আবার একটু বেয়াড়া। এইটে জিপিএ-৫ পেয়েছে কিনা, তাই একটু ভাব আছে। সারাক্ষণ শুধু বই আর বই। ভয়টা আসলে ওকে নিয়েই। মা নয়, আপাই তিনুর এই কেলেঙ্কারির কথা বাবাকে জানাবে। আর তখন ছাতার বাঁট দিয়ে পেটাবেন। পুরোনো ছাতার একটা বাঁট খুলে রেখেছেন বাবা। যথাসময়ে এটার সদ্ব্যবহার চলে।

আসাদ স্যারের ওপর মেজাজ চড়ে যায় তিনুর। নন্দ তো ঠিকই বলেছে। ৩-এর পাশে ৩ বসালে কী এমন ক্ষতি হতো স্যারের? নন্দ এতক্ষণ মন দিয়ে দেখছিল—তিনুকে সে কতটা কাত করতে পেরেছে। এবার ঝোপ বুঝে কোপ।

নন্দ বলে, ‘তুই ইচ্ছা করলে স্যাররে একটা শিক্ষা দিতে পারস।’

‘ক্যামনে?’

‘স্যারের বাড়ির সামনে এক হাত গভীর একটা গর্ত খুঁইড়া মাটি দিয়া ঢাইকা রাখবি।’

‘রাখলে...’

‘ওই গর্তে পইড়া স্যারের ঠ্যাং ভাইঙা যাইব।’

তিনু উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। বলে, ‘উফ্, দারুণ বুদ্ধি তো! স্যারের তহন স্কুলে যাওয়া বন্ধ! পিটানিও বন্ধ।’

‘ভালো একখান বুদ্ধি দিলাম কি না, ক!’

‘ভালো মানে—ঢিস্সা,  ঢিস্সা!’

স্যারের কল্পিত কায়ার দিকে আঙুল তাক করে গুলি ছোড়ে তিনু। মজা পেয়ে নন্দ দাঁত বের করে হাসে। বলে, ‘বিলে বক মাইরা কইলাম আমারে একটা দিবি।’

‘আরে, এইটা কোনো ব্যাপার!’

গর্তটা কোথায় কীভাবে খোঁড়া হবে—নন্দর সঙ্গে পরামর্শ করে তিনু। কাজটা করতে হবে গভীর রাতে, যখন কেউ জেগে থাকবে না।

তিনু শর্ত জুড়ে দেয়, ‘তুই কিন্তু থাকবি লগে।’

নন্দ একটু হকচকিয়ে যায়। ও ভেবেছিল, কেবল এই কুবুদ্ধিটা দিয়েই পার পেয়ে যাবে। এখন নিজেই সে জালে আটকা। তিনু ওর বিপদের কান্ডারি। ওর কথা ফেলা যাবে না। কিন্তু গভীর রাতে নন্দ বেরোবে কী করে? প্রচণ্ড রকমের ভূতের ভয় আছে ওর। তার ওপর পথের ধারে একটা নির্জন স্থানে ঝাঁকড়া শেওড়াগাছ।

তিনু তাড়া দেয়, ‘কী রে, চুপ কইরা আছস যে? থাকবি না আমার লগে?’

নন্দ ফসকাতে পারে না। তবে কৌশল করে। বলে, ‘শোন, ভাইবা দেখলাম গর্ত খোঁড়ার জন্য গভীর রাতে যাওয়ার দরকার নাই।’

‘ক্যান?’

‘ওইটা অইল চোর-ডাকাইতের সময়। আমরা তো আর চোর না।’

‘তাইলে?’

‘আমরা যামু খুব ভোরে। যখন আলো-আন্ধারি থাকব, তহন।’

মেনে নেয় তিনু। ঠিকই তো। ওরা তো আর চোর-ডাকাত নয়। গভীর রাতে যাবে কেন? ঠিক হয়, সদ্য আলো ফোটা ভোরে তেরাস্তার মোড়ে মিলবে দুজন।

বাড়িতে পা দিয়েই তিনু ঝড়ের মধ্যে পড়ে। লিনু তার ওড়নাটা কোমরে কষে পেঁচিয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়। মারমুখী চেহারা।

‘এই ছেমড়া, তুই নাকি অঙ্কে ৩ পাইছস?’

‘কে কইছে?’

‘সেইটা তোরে কওন লাগব না। দেখি—’

এই বলে হ্যাঁচকা টানে তিনুর স্কুলব্যাগটা দখল করে লিনু। এক লহমায় বের করে ফেলে ৩ পাওয়া খাতাটা। তিনু ভাবে, কে বলতে পারে এই কলঙ্কের কথা? আপার সহপাঠী জুঁই আপার ভাই সোহাগ ওর সঙ্গে পড়ে। সে বলেনি তো?

তিনুর ভাবনা বেশি দূর এগোতে পারে না। আপা চুল টেনে দুটো ঢাউস চড় লাগিয়ে দেয়। মাথায় লাটিমের চক্কর শুরু হয়ে যায় তিনুর। আক্রোশে কেঁদে ফেলে।

মা ছুটে আসেন ঘর থেকে। চেঁচাতে থাকেন, ‘আহা-হা, পোলাটা বাড়িতে পা দেওনের লগে লগে এইভাবে মারতাছস ক্যান, মুখপুড়ী! তোর কি দিলে রহম নাই।’

লিনু ঝাঁজিয়ে ওঠে, ‘না, নাই। ও আমাগোর মুখ পোড়াইছে, মা। এই দেহো, অঙ্কে মাত্র ৩ পাইছে!’

‘পাওক। সবারই এক্কেরে ৮০-৯০ পাইতে অইব না। সবার সব গুণ থাকে না। আমার পোলা পড়ায় ভালো না অওক অন্য গুণ আছে। সে পাকা শিকারি। কাইল যে মজায় মজায় বকের মাংস খাইলি—ভুইলা গেছস !’

মায়ের কথায় আটকে যায় লিনু। ছেড়ে দেয় তিনুকে। নিষ্ফল রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলে, ‘আইচ্ছা, ভালো কইরা আশকারা দেও ওরে। পরে বুঝবা মজা!’

মেয়ের কথায় কান না দিয়ে মা আঁচলে ছেলের চোখের জল আর মুখের ঘাম মুছিয়ে আদর করতে থাকেন ওকে। তিনু কল্পনায় আসাদ স্যারের ঠ্যাং লেংচে হেঁটে যাওয়া দেখে।

বাড়িতে কোদাল আছে তিনটা। বড়, মেজো আর ছোট। তিনু ছোটটাই নেয়। এটাই ওর উপযোগী। পা টিপে টিপে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে ও।

দিনের শুরু। চারদিকে আলো-আঁধারির খেলা। পাখপাখালির কিচিরমিচির। রাতভর গরমের পর এখন হিমেল হাওয়া বইছে। বাতাসে বুনো ফুলের সৌরভ। অদ্ভুত একটা পুলক অনুভব করে তিনু।

তেরাস্তার মোড়ে নন্দর সঙ্গে গিয়ে মেলে তিনু। নন্দ করিতকর্মা। সে কিছু কাঠি নিয়ে এসেছে। আছে একটা ন্যাকড়াও। গর্ত খোঁড়ার পর কাঠিগুলো রেখে ন্যাকড়া বিছিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে। নন্দকে পিঠ চাপড়ে বাহবা দেয় তিনু।

দুজন দ্রুত এগিয়ে চলে গর্ত খোঁড়ার অভিযানে। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে সে জায়গায় পৌঁছে যায় ওরা।

নন্দ তাড়া দেয়, ‘জলদি কাজ সারতে অইব। কেউ দেখলে খবর আছে!’

আসাদ স্যারের বাড়ির ফটকের কবাট একটুখানি ফাঁক হয়ে আছে। ভয় ভয় লাগে ওদের। যেকোনো মুহূর্তে কেউ দেখে ফেলতে পারে।

তিনু সজোরে কোদাল চালায়। কাজের চেয়ে শব্দই যেন বেশি। এটা কী মাটি কে জানে? লোহার মতো শক্ত। সহজে কাটতে চায় না। পাঁচ মিনিটেই ঘাম ছুটে যায় তিনুর। তবু বিঘত খানেক খুঁড়তে পেরেছে। আরও দুই মিনিট পর হাত দুটো ধরে আসে তিনুর। কোদাল রেখে বলে, ‘নে নন্দ, এহনে তুই একটু হাত চালা।’

এই বলে পেছন ফেরে তিনু। কোথায় নন্দ? ওর জায়গায় দিঘল একটা কায়া। জলজ্যান্ত আসাদ স্যার! মুখে বিশাল হাসি।

পিলে চমকে যাওয়া কাকে বলে, হাড়ে হাড়ে টের পেল তিনু। মনে হলো আচমকা পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে গেছে। একটা গভীর গর্তের ভেতর ক্রমে সেঁধিয়ে যাচ্ছে ও।

স্যার বললেন, ‘ও, বাবা তাহলে আমার কথামতো সত্যিই কোদাল ধরিয়ে দিয়েছে! কিন্তু এখানে মাটি খুঁড়ছিস কেন? কোদাল চালানোর অনেক জায়গা আছে। আয় আয়, দেখিয়ে দিচ্ছি।’

আসাদ স্যার হাত ধরে টেনে বাড়ির ভেতর নিয়ে যান ওকে। স্যার যে রোজ ভোরে হাঁটতে বের হন, জানা ছিল না তিনুর। এখন কী যে হয়!

তিনুকে বাড়ির পেছনে নিচু একটা জমিতে নিয়ে যান স্যার। বলেন, ‘হ্যাঁ, এখানে একটুখানি কোপাকুপি কর তো, বাবা। ভাবছি সবজির আবাদ করব।’

মনে মনে নন্দর মুণ্ডু চিবোতে থাকে তিনু। স্যারকে দূর থেকে দেখে নিজে চুপিসারে ঠিকই কেটে পড়েছে, অথচ ওকে জানায়নি। একটা খোঁচা দিলেও তো হতো। ওর মতো দৌড় আর কেউ দিতে পারে?

স্যারের কথামতো কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে চলে তিনু। শরীরে ঘামের নহর বয়ে যায়। হাত দুটো অবশ হয়ে আসে। তবু মুক্তি নেই। একটা সময় মনে হয় এখুনি জ্ঞান হারাবে ও। আর তখনই স্যার ওকে থামতে বলেন।

হাতমুখ ধোয়ার ব্যবস্থা হয় তিনুর। ঘরে নিয়ে ওকে ফ্যানের নিচে বসান স্যার। শিগগিরই ভাপ ওঠা গরম খিচুড়ি আসে। সঙ্গে হাঁসের ডিম। গোগ্রাসে গিলতে থাকে তিনু।

স্যার বলেন, ‘এখন আমার একটা প্রশ্নের জবাব দে, বাপ। এই যে এতক্ষণ মাটি কোপালি, এটাই ভালো, না পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট করা ভালো? তুই যা চাস, তাই হবে। তোর বাবাকে বলে সে ব্যবস্থা করে দেব। হুঁ, জবাব দে।’

তিনু ঢক ঢক করে পানি খেয়ে বলে, ‘মাটি কাটার চেয়ে পড়াশোনা করা অনেক ভালো, স্যার। আমি এখন থিকা পড়শোনা করমু, স্যার।’

‘গুড, ভেরি গুড!’

‘আচ্ছা, এখন বল তো আমার বাড়ির সামনে গর্ত খুঁড়ছিলি কেন?’

তিনু কাঁদো কাঁদো হয়ে বলে, ‘আপনারে গর্তে ফালাইয়া ঠ্যাং ভাঙনের লাইগা, স্যার। আমার কোনো দোষ নাই। নন্দ এই কুবুদ্ধি দিছে, স্যার। ওরে ধরেন।’

এমন সময় দুদ্দাড় করে কারও ছুটে যাওয়ার শব্দ শোনা যায়। কয়েক সেকেন্ড পরই তারস্বরে চিৎকার, ‘মা গো, মরছি গো!’

বাড়ির সবাই একসঙ্গে ছুটে বেরিয়ে আসে বাইরে। সেই গর্তে পড়ে পা মচকেছে নন্দর। স্যারকে দেখে ও লুকিয়েছিল বটে, কিন্তু কৌতূহল দমাতে পারেনি। গাছে চড়ে তিনুর মাটি কাটা দেখে হেসে কুটিপাটি হয়েছে। স্যার ওকে ঘরে নিয়ে কী করেন, তা দেখার জন্য গাছ থেকে নেমে চুপি চুপি ঘরের পেছনে গিয়ে চোখ রেখেছিল টিনের বেড়ার ফুটোয়। তারপর তিনু ওর কুবুদ্ধির কথা ফাঁস করতেই ভয়ে দিয়েছে দৌড়।

নন্দর পায়ের শুশ্রূষার ব্যবস্থা করলেন স্যার। সেই সঙ্গে তিনুর সামনে উদাহরণ টানলেন, ‘দ্যাখ, বিনা দোষে অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে সে গর্তে নিজেকেই পড়তে হয়।’

অলংকরণ: আসিফুর রহমান