ফারো দ্বীপপুঞ্জের ঝুলন্ত লেক

প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য ব্যাবিলনের শূন্যোদ্যানের কথা তো তোমাদের সবার জানা। কিন্তু ঝুলন্ত হ্রদের কথা বললে ঝুলন্ত বাগানবিষয়ক পণ্ডিতেরাও সম্ভবত হাঁ হয়ে যাবেন। রসিকতা নয়, সত্যিই এমন কয়েকটি হ্রদ আছে বিচিত্র এ পৃথিবীতে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি আছে ফারো দ্বীপপুঞ্জে। কাবাব মে হাড্ডির মতো এ দ্বীপপুঞ্জটি উত্তর মেরুর কাছে নরওয়েজিয়ান সাগর আর উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে।

ডেনমার্কের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত এ দেশের আয়তন মাত্র ১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার। অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে গঠিত এ দেশের জনসংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার। ড্যানিশ ভাষায়, ফারো অর্থ মেষের দ্বীপ। বুঝতেই পারছ, মেষের জন্য ইউরোপে বেশ বিখ্যাত এ দ্বীপপুঞ্জ। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ দ্বীপের প্রধান আকর্ষণ সুপেয় পানির সোরভাগসভান্ত হ্রদ। নামটি দাঁতভাঙা হলেও ঝুলন্ত হ্রদটি দেখতে প্রতিবছর লাখো পর্যটক ছুটে আসে ফারো দ্বীপপুঞ্জে। ঝুলন্ত বলে ভেবে বোসো না, এটি শূন্য থেকে ঝুলে আছে। আসলে হ্রদটি পার্শ্ববর্তী আটলান্টিক মহাসাগরের চেয়ে ওপরে অবস্থিত। দ্বীপের মধ্যে সাগরে থেকে উঁচুতে অবস্থিত হ্রদকেই সাধারণত ঝুলন্ত হ্রদ বলা হয়।

প্রায় সাড়ে তিন বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ হ্রদ সমুদ্র সমতল থেকে গড়ে ৩০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। বিরল হ্রদের চারপাশে বেশ সুউচ্চ পাহাড় থাকায় এর পানি সাগরে পড়ে একেবারে শূন্য হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে হ্রদ থেকে একটি পানির ধারা সাগরের দিকে এগিয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত সেটি জলপ্রপাত হয়ে খাড়া পাহাড়ের গা বেয়ে হ্রদের পানি আছড়ে পড়ছে সাগরের বুকে। এ জলপ্রপাতের নাম বসদালাফোসসুর।

তথসূত্র: বাজফিড ডটকম