গুড়-মিঠোলা

বাংলাদেশের মিষ্টি! আহা বিশ্বজয়ের দশ মালাই এর

কুমিল্লা যাও, স্বাদ চেখে নাও মনমাতানো রসমালাইয়ের

টাঙ্গাইলের চমচমে স্বাদ! কোথায় পাবে তার জুড়িটা?

‘রোজ দুবেলা খাচ্ছি’—বলেন মিষ্টিপাগল আরজুম রিটা।

টাকার মালিক ন্যান্সি মামি, গলায় সোনার সুখতাগা চার

বলেন তিনি, মিষ্টি মানেই মণ্ডা মজার, মুক্তাগাছার!’

লম্ফ দিয়ে সোফার ওপর বসল অনিকেত, রোকন আর

বলল, ‘মামা, প্রাণকাড়া এক মিষ্টি বালিশ নেত্রকোনার!’

ভোজনরসে দিচ্ছে জোগান তৃপ্তিমধুর দই বগুড়া

বুঝবে চেখেই মেশাল এতে শ্রেষ্ঠ চিনির দৈব গুড়া

মিষ্টি খেয়ে ছন্দে যদি সত্যি খেতে চাও নাট ওরে

বিরল কাঁচাগোল্লা খেতে আজই চলে যাও নাটোরে।

দুঃখভরা মনকে তুমি করবে যদি বশ ক দমে

রাজশাহী যাও, মুখটা ভেজাও দিল দোলানো রসকদমে

রামদিয়াতে মটকা মেলে আর তা ভারী মুখরোশনি

বন্ধুসহ রাজবাড়ী যাও বন্ধ পেলে শুক্র শনি।

বাবলু বলে, ‘তোমরা যদি যাও কখনো কুষ্টিয়াতে

ভেড়ামারার তিলের খাজা খেলেই পাবে পুষ্টি তাতে।

পুরান ঢাকার মালাইকারি কী যে আছে তার ভেতরে!

একটু খেলে, তা বাকিটাও ঠিক গিলিয়ে ছাড়বে তোরে।

কিন্তু সেরা মিষ্টি টাছে উল্লিখিত মিষ্টি ছাড়াও

তাই শুনে তো চোখ কপালে তুলল তুতুল, মিস টিসা রাও

ডেকে বলি, ‘বাদল, বকুল, মুন্নি, তিমুল, রেউ ঝাঁ, ননি

এক যে দারুণ মিষ্টি আছে সেটির খবর কেউ জানোনি।

নাম হলো তার ‘গুড়-মিঠোলা’, দক্ষ হাতের যশ মাখানো

সূক্ষ্ম দানা দেখতে গিয়ে হার মেনে যায় চশমাখানও

আর তা খেয়ে মুখ ও মেজাজ পায় রসময় স্বাদ, সাড়া যা

মনে হবে হয়তো তুমি কোনো মুলুকের বাদশা-রাজা।

খাওনি জানি, ভরসা রাখো আমার কাছে নামটি শুনেই

নষ্ট চিনি, রং বা এতে স্বাস্থ্যবিধির বাম টিস্যু নেই

‘গুড়-মিঠোলা’ সস্তা, যদি দশ টাকাতে হয় তা কেনা

চিলতে খেলেই মন তাজা হয় মেছো   ভূতের ভয় থাকে না।

একটা খেলে নাচবে ভুরু, ভাঙবে স্বাদের বাঁধ দো খানা

তিনটে খেলে মুখ ভুলে যায় মাংস ঘিয়ের খাদ্যখানা

চারটি খেলে বোবার মুখেও যায় বেরিয়ে শিস, শেষে রা

দিন দূরে নয়, ‘গুর-মিঠোলা’ই গণ্য হবে বিশ্বে সেরা।

এই মজাদার মিষ্টি নিয়ে উক্তি রহিম আর নাজিবের,

‘নামটি শুনেই মন উতলা, জল এসে যায় কার না জিভের?’

মন্টু ঘোষের তৈরি জাদু ভুবনমোহন ‘গুড়-মিঠোলা’

কিনতে যদি চাও, চলে যাও পান্থপথ ও কুর্মিটোলা।

অলংকরণ: তুলি