প্রেতাত্মা!

ভূত বিশ্বাস করি না আমি। তারপরেও যখন পত্রিকা থেকে অনুরোধ এল, একটা ভূতের অভিজ্ঞতা লিখে দিতে হবে, পড়লাম বিপদে। শেষে স্মৃতির পাতা ঘেঁটে একটা ভুতুড়ে অভিজ্ঞতা খুঁজে বের করলাম।

প্রাইমারিতে পড়ি তখন, ফোর কিংবা ফাইভ। একদিন আব্বা বলল, বাড়ি যাবে। দাদি চিঠি লিখে আব্বাকে যেতে বলেছে। আমাকেও নিয়ে যেতে বলেছে।

শনিবার দিন যাওয়া হবে। কারণ, সেদিন আমার হাফ স্কুল। রোববার সাপ্তাহিক ছুটি।

সেটা পঞ্চাশের দশকের কথা। আমরা তখন ফেনীতে থাকি। আব্বা সরকারি চাকরি করে। আমাদের গ্রামের বাড়ি তৎকালীন কুমিল্লা জেলার কসবা থানার শাহপুর গ্রামে।

শনিবারে বিকেলে পাঁচটার ট্রেনে চড়লাম। ফেনী থেকে কসবা। সেকালে সড়ক যোগাযোগ ভালো ছিল না বলে ট্রেনই পছন্দ করত লোকে।

রাত সাড়ে নয়টায় কসবা পৌঁছাল ট্রেন। বেশি রাত নয়, কিন্তু স্টেশনের অবস্থা দেখে মনে হলো গভীর রাত। কারণ, তখনো কসবা স্টেশনে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। লণ্ঠন কিংবা হারিকেনের আলোতেই কাজ চালাতে হতো। স্টেশনমাস্টারের অফিস থেকে শুরু করে টিকিট বিক্রির কাজ, সবখানেই হারিকেন।

ট্রেন থেকে নামলাম। গেটের বাইরে এসে দেখি একটা রিকশাও নেই। আব্বা বলল, হেঁটেই যেতে হবে, আর কোনো উপায় নেই। আকাশে চাঁদ আছে। হেঁটে সহজেই বাড়ি চলে যেতে পারব। হাঁটলে শীতও লাগবে কম।

তিন মাইল হাঁটার কথা ভেবে বাড়ি আসার উত্তেজনা যেন ফুস করে নিভে গেল আমার।

রাস্তার পাশে একটা চায়ের দোকান। তাতে সস্তা কেক, বিস্কুট, কুকিস পাওয়া যায়। শীতের রাতে দোকানে একজন খদ্দেরও নেই। মাথায় মাফলার পেঁচিয়ে, সামনের টেবিলে হারিকেন রেখে, ভাঙা চেয়ারে বসে ঝিমোচ্ছে দোকানি। আব্বা জিজ্ঞেস করল, খাবি কিছু?

ময়লা চায়ের কাপ আর বিস্কুটের পুরোনো বয়ামগুলোর দিকে তাকিয়ে রুচি হলো না। মাথা নাড়লাম।

কয়েক মিনিটের মধ্যেই স্টেশনের কাছ থেকে সরে এসে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের রাস্তায় উঠলাম। বেলেমাটির চওড়া কাঁচা সড়কটা এঁকেবেঁকে চলে গেছে। চাঁদের আলোয় কাঁচা সড়কটাকে সাদা লাগছে। কৃষ্ণপক্ষের ঘোলাটে জ্যোৎস্না আরও ফ্যাকাশে হয়ে গেছে কুয়াশায়। কেমন ভুতুড়ে দেখাচ্ছে।

হেঁটে চললাম দুজনে। বাবা আর ছেলে। দুজনের হাতে দুটো সুটকেস। আব্বার সুটকেসটা বড়। তবু একটু পর পরই আব্বা জিজ্ঞেস করে, ভারী লাগছে? দে, আমার হাতে দে।

কিন্তু আমি দিই না। বুঝতে পারছি ছেলের কষ্ট ভালো লাগছে না বাবার। তবে ছোট একটা সুটকেস বইতে কষ্ট হচ্ছে না আমার।

নির্জন রাস্তা দিয়ে চলেছি, চলেছি। দুই পাশে ফসল কাটা ঢেলা মাটির খেত। দূরে দূরে কুয়াশায় মোড়া গ্রামগুলো কালো, অন্ধকার। মাঝে মাঝে ভেসে আসে হুতুম প্যাঁচার ভুতুড়ে কির্র্র্ কির্র্র্ কির্র্র্ ডাক। গা ছমছম করে।

একসময় মনে হতে লাগল, এই একঘেয়ে যাত্রার আর শেষ হবে না।

মাইল দেড়েক যাওয়ার পর হঠাৎ একটা অদ্ভুত শব্দ কানে এল।

প্যাঁচার ডাক নয়।

পাশ ফিরে দূরে তাকিয়েই সতর্ক হয়ে গেল আব্বা। ফিসফিস করে বলল, তাড়াতাড়ি চল।

কী দেখে এমন সতর্ক হলো আব্বা? তাকালাম সেদিকে। খেতের মাঝখানে বড় একটা দিঘি দেখা গেল। উঁচু পাড়। গাছপালায় ছাওয়া। পানি চোখে পড়ে না। গ্রাম ওখান থেকে অনেক দূর। সেকালে মাঠের মাঝখানে বড় বড় পুকুর কিংবা দিঘি কেটে রাখা হতো শুকনো মৌসুমে খেতে পানি দেওয়ার জন্য। বাকি সময় প্রায় পরিত্যক্তই থাকত ওগুলো। আব্বা বলল, ওখানে একটা পুরোনো কবর আছে।

জোরে পা চালাতে চালাতে ভালো করে তাকালাম দিঘিটার দিকে। দূর থেকে কোথায় কবর আছে বোঝা গেল না।

জিজ্ঞেস করলাম, ভূত?

না! গম্ভীর কণ্ঠে জবাব দিল আব্বা। সামনে একটা ব্রিজ। সেটা দেখিয়ে বলল, ওটাতে উঠতে হবে।

বুঝলাম না, কাকে এত ভয় পাচ্ছে আব্বা? পুরোনো কবরের ভূত?

কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি পা চালালাম ব্রিজের দিকে।

আবার শোনা গেল ডাকটা। খেঁক! খেঁক! এবার চিনতে পারলাম। বললাম, কুকুর। অবাক হলাম। কুকুরকে এত ভয় পাচ্ছে আব্বা!

আব্বা আবারও বলল, না!

তাহলে কী?

ব্রিজে উঠে থামতে বলল আব্বা।

আবার জিজ্ঞেস করলাম, কী ওগুলো?

আব্বা বলল, গোরখোঁড়া! মড়া খায়। মানুষের মাংস। কাউকে নতুন কবর দিলে লাশ খেতে চলে আসে। বাগে পেলে জ্যান্ত মানুষকেও ছাড়ে না।

গোরখোঁড়া কী জানি না আমি। জীবনে নামও শুনিনি। তবু মানুষের মাংস খায় শুনে ভয় পেলাম। আব্বার ভয়ের কারণটাও বুঝলাম।

আবার শোনা গেল অদ্ভুত ডাক। এবার তিন-চারটা একসঙ্গে।

হঠাৎ বড় কুকুরের মতো একটা প্রাণীকে গাছের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখলাম। তারপর আরেকটা। আরও একটা।

এক মুহূর্ত যেন আমাদের দিকে তাকিয়েই দাঁড়িয়ে রইল। তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে শুরু করল।

বিড়বিড় করে আমাকে বলল আব্বা, আল্লাহকে ডাকো!

এগিয়ে আসছে প্রাণীগুলো।

পেছনে দিঘির পাড়ের জঙ্গল থেকে আরও অনেক প্রাণীকে বেরোতে দেখলাম। নিশ্চিত হয়ে গেলাম, আমাদেরই টার্গেট করেছে। বইতে পড়েছি, বাঘ, নেকড়ে বা শিয়াল-জাতীয় কোনো বুনো প্রাণী মানুষের মাংসের স্বাদ পেলে পাগল হয়ে ওঠে। মরা মানুষ না পেলে তখন জ্যান্ত মানুষ ধরে খায়। তার মানে আমাদের খেতেই আসছে এই গোরখোঁড়াগুলো। দূর থেকে দেখে নেকড়ের মতো লাগছে। বইতে নেকড়ের ছবি দেখেছি। নেকড়েরা কীভাবে মানুষকে আক্রমণ করে, পড়েছি। এই প্রাণীগুলো আমাদেরও তেমনিভাবে ছিঁড়ে খাবে, দৃশ্যটা কল্পনা করে প্রচণ্ড ভয়ে শিউরে উঠলাম। ওগুলো নেকড়ে না তো?

ফিসফিস করে আব্বাকে জিজ্ঞেস করলে মাথা নেড়ে জবাব দিল আব্বা, না, বড় শিয়াল। আমাদের দেশে নেকড়ে নেই।

ধীরে ধীরে কাছে চলে এল প্রথম তিনটে শিয়াল।

আমাদের ধরতে কত সময় লাগবে ওগুলোর?

ব্রিজের নিচে নদীটার দিকে তাকালাম। খটখটে শুকনো। বর্ষাকালে পানিতে ভরে যায়। তখন এই নদী দিয়েই বড় বড় নৌকা চলাচল করে। সরু নদীটা খেতের মাঝখান দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে। নদীর বুকে জমা বালু চাঁদের আলোয় চকচক করছে। যেসব জায়গায় কিছুটা গভীর সেখানে অল্পস্বল্প পানি জমে আছে। রাস্তার দুপাড়ের খালগুলোও শুকনো। এই খাল পার হয়ে রাস্তায় এসে ব্রিজে ওঠা শিয়ালগুলোর জন্য কিছুই না। আর এত শিয়াল একযোগে আমাদের ওপর হামলা চালালে কিছুই করতে পারব না আমরা।

আব্বাকে বললাম, চেঁচানো শুরু করি! গাঁয়ের লোকেরা শুনতে পেলে বেরিয়ে আসবে!

মাথা নাড়ল আব্বা। গ্রাম অনেক দূরে। মানুষ আমাদের চিৎকার শুনতে পাবে না। বরং শিয়ালগুলো আরও বেশি আকৃষ্ট হবে।

খালের পাড়ে এসে দাঁড়াল তিনটে শিয়াল। কুকুরের ভঙ্গিতে বসল। একবার খালের নিচেটা দেখছে, আবার ব্রিজের দিকে তাকাচ্ছে। যেন বোঝার চেষ্টা করছে, কষ্ট করে আমাদের ধরবে কি না। ওগুলোর চোখে চাঁদের আলো পড়লেই ঝিলিক দিয়ে উঠছে। লাল টকটকে, ভুতুড়ে লাগছে চোখগুলো। যেন নরক থেকে উঠে আসা দানব। মাংসলোভী পিশাচ। লম্বা জিভ বের করে ঠোঁট চাটছে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই বনের বাকি শিয়ালগুলোও এসে আগের তিনটার পাশে সারি দিয়ে বসল। তাকিয়ে রইল আমাদের দিকে। আমরাও তাকিয়ে রইলাম। বুকের মধ্যে যেন হাতুড়ি পেটাচ্ছে আমার হৃৎপিণ্ডটা। বুঝতে পারছি, সরু সুতোয় ঝুলে আছে এখন আমাদের জীবন। শিয়ালের ইচ্ছে-অনিচ্ছের ওপর।

কতক্ষণ চলল আমাদের দুই পার্টির এই তাকিয়ে থাকার খেলা—শিয়াল বনাম মানুষ—বলতে পারব না। হঠাৎ দলের সবচেয়ে বড় ধেড়ে শিয়ালটা আকাশের দিকে তাকিয়ে বিকট চিৎকার করে উঠল। বুঝলাম, আমাদের আক্রমণের নির্দেশ।

এরপর বাকি শিয়ালগুলোও সমস্বরে চেঁচাতে লাগল।

চোখ বুজে আক্রমণের অপেক্ষায় রইলাম। আম্মার কথা ভেবে, আমার বোনেদের কথা ভেবে, চোখে পানি এসে গেল। কোনো দিন আর তাদের দেখতে পাব না।

শিয়ালগুলোর চেঁচানো থামল। বুঝলাম, আসছে। চোখ মেলে তাকানোর সাহস পেলাম না। ভাবতে লাগলাম, প্রথম কামড়টা কেমন লাগবে? কতটা ব্যথা পাব শিয়ালের কামড়ে?

আমার কাঁধে মৃদু ছোঁয়া লাগতেই চমকে উঠলাম। পরক্ষণেই বুঝলাম, শিয়াল নয়, আব্বার হাত। আস্তে ফিসফিস করে বলল, চলে যাচ্ছে!

এতক্ষণে চোখ মেললাম। খালের পাড় থেকে আবার দিঘির দিকে চলে যাচ্ছে শিয়ালগুলো।

আব্বা বলল, আমাদের ভাগ্য ভালো, ওগুলোর পেট ভরা! লাশ খেয়ে এসেছে! তারপর যেন নিজেকেই প্রশ্ন করল আব্বা, কিন্তু কবরে পাহারা নেই কেন?

এ প্রশ্নের জবাব মিলল পরদিন। সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দিঘির পাড়ের সেই গ্রামটায় চলল আব্বা। আর সঙ্গে অবশ্যই আমি।

শাহপুর আব্বার এলাকা। এখানে জন্মেছে, স্কুলে পড়েছে, কাটিয়েছে কৈশোরের দামাল জীবন। আশপাশের কোনো গ্রামই তার অচেনা নয়। দিঘির পাড়ের গ্রামটাতে আব্বার পরিচিত অনেকে আছে। তারা আব্বার মুখে রাতের ঘটনা শুনে ভয় পেল। এত বড় ঝুঁকি নেওয়ায় আব্বাকে বকাবকি করতে লাগল তার এক কৈশোরের বন্ধু। কিন্তু আমি জানি, আব্বার কিছু করার ছিল না। রিকশা না পেলে কী করবে? তবে ভুলটা হয়েছে, সন্ধ্যার ট্রেনে রওনা দিয়ে।

যা হোক, শিয়ালের বিবরণ শুনে ওরা জানাল, ওগুলো গোরখোঁড়াই। শীতকালে পানি থাকে না বলে ওগুলোর উৎপাত অতিরিক্ত বেড়ে যায়। জানা গেল, দিন চারেক আগে একটা লাশ কবর দিয়ে আসা হয়েছে। তিন দিন পাহারা দেওয়ার পর শিয়াল আর আসবে না ভেবে পাহারা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

লাশটা কার জানা গেল। একটা ছেলে জানাল, লাশটা তার বাবার। ছেলেটার নাম যদ্দুর মনে পড়ে, কলিম। আমার চেয়ে কয়েক বছরের বড়। কবরটার কী অবস্থা দেখতে যেতে তৈরি হলো সে। আমি আর আব্বাও চললাম তার সঙ্গে।

দিঘির পাড়ে গিয়ে দেখা গেল নতুন একটা গর্ত। দু-চারটা মানুষের হাড় পড়ে আছে গর্তের মুখে।

সঙ্গে কোদাল নিয়ে এসেছে কলিম। কবরের ওপরের মাটি খানিকটা কুপিয়ে, নিচের বাঁশ সরিয়ে উঁকি দিয়েই গালি দিল শিয়ালগুলোকে। বলল, আব্বাকেই খেয়েছে শয়তানগুলো! সুড়ঙ্গ কেটে কবরে ঢুকে লাশ বের করে নিয়ে গেছে।

নিজের চোখে দেখেও বিশ্বাস করতে কষ্ট হলো। শুনেছি, শিয়ালে মাঠ থেকে ছাগলের বাচ্চা ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু এভাবে আস্ত মানুষকে টেনে বের করে খেয়ে ফেলে, ভাবাই যায় না। দিনের আলোতেও গায়ে কাঁটা দিল আমার। কাল রাতে কী বাঁচা বেঁচে গেছি, বুঝতে পারলাম। আব্বার ভয় পাওয়াটা অনুভব করলাম। শিয়ালগুলো আক্রমণ করলে আমাদের কী ভয়ংকর পরিণতি হতো, ভেবে ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে এল।

ফিরে চললাম। কলিমের কাছে শুনলাম, ওই শিয়ালগুলো জ্যান্ত প্রাণী নয়। ওগুলোর অত্যাচারে লাশ রাখা যায় না কবরে। আলো জ্বেলে, টিন বাজিয়ে, বল্লম হাতে কবর পাহারা দিয়েও অনেক সময় রেহাই পাওয়া যায় না। শীতকালে দিঘির পানি অনেক নিচে নেমে যায়। পাড় খুঁড়ে কবর থেকে লাশ বের করা সহজ হয়। বর্ষাকালেও নিস্তার নেই। কবর ভরে যায় পানিতে। লাশ ভেসে থাকে কবরের ভেতর পানির ওপর। তখন কবরের ওপরের মাটি খুঁড়ে সহজেই লাশ তুলে নেয় এই শিয়ালেরা।

কলিম জানাল, গাঁয়ের লোকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও এদের পায় না। দিনের বেলা কোথায় যে অদৃশ্য হয়ে যায়, কোনো চিহ্নই থাকে না। গাঁয়ের লোকের ধারণা, ওগুলো খারাপ লোকের প্রেতাতÄা। মরে, মড়াখেকো ভূত হয়ে লাশ খেয়ে বেড়ায়। 

কিন্তু আমার ধারণা, ওগুলো শিয়ালই ছিল, বড় জাতের লাল শিয়াল বা রেড ফক্স। স্বাভাবিক খাবারের অভাবে মানুষের লাশ খেত। মানুষের তাড়া খেতে খেতে অতি চালাক হয়ে গিয়েছিল। লাশ খেয়ে দূরে এমন কোথাও চলে যেত, যেখানে খোঁজার কথা ভাবতই না গাঁয়ের লোকে। হয়তো বহু মাইল পথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ে চলে যেত। ওখানেই ছিল ওগুলোর আস্তানা। সীমান্ত এলাকার ওপারে ওখানে খুঁজতে যেতে পারত না এপারের মানুষ। আর কবর পাহারা দিতে দেখলে শিয়ালগুলো কাছে আসত না, তাই ওগুলোকে মারা সম্ভব হতো না।

যেটা লিখলাম এটাকে ভুতুড়ে গল্প বলা যাবে না। তবে আতঙ্কের গল্প অবশ্যই বলা যায়। এ রকম ঘটনা আরও একবার ঘটতে দেখেছি আমি। শিয়ালে তোলা লাশ দেখেছি নিজের চোখে। আর সেটা খোদ কুমিল্লা শহরের ভেতরেই। তবে সেই গল্প আরেক দিন।

অলংকরণ: আবু হাসান