রাজধানীতে শুরু হলো আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

সহিংস উগ্রবাদকে দূরে ঠেলে দেশকে এগিয়ে নিবে তরুণেরা। তারাই সম্প্রীতির বন্ধনে সবাইকে আবদ্ধ করবে। তাদের শান্তি ও সম্প্রীতির সেই গল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে শুরু হয়েছে ‘আলোর পথে প্রীতির সাথে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৯’। ২৮ মার্চ রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চিত্রশালায় ফিতা কেটে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হক, লেখক সাইদুজ্জামান রওশন, চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহাজাদী বেগম এবং আলোকচিত্রী সুমন ইউসুফ। উৎসবটিতে তরুণ আলোকচিত্রী ও নির্মাতাদের ৪৫টি আলোকচিত্র ও ১৩টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহাজাদী বেগম বলেন, ‘শান্তি ও সম্প্রীতি নিয়ে তরুণদের ভাবনা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই এই আয়োজন। এখানে প্রদর্শিত আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্র আমাদের মানুষকে ভালোবাসা শেখাবে, সহিংস উগ্রবাদকে দূর করতে শেখাবে।’

আনিসুল হক তরুণদেরকে প্রদীপের মত আলোকোজ্জ্বল হতে বলেন। প্রদীপের আলোয় যেমন সবাই আলোকিত হয়, তেমনি তরুণদের আলোতে আলোকিত হবে সমাজ ও দেশ। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ভালোবাসার দেশ। বিপদে-আপদে, দুর্যোগ-বিপর্যয়ে সবসময়ই আমরা একে অপরের কাছে ছুটে যাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। ভাইয়ের মায়ের এত স্নেহ, কোথায় গেলে পাবে কেহ... আসলেও এমন আন্তরিক বন্ধনের মানুষ আর কোথাও পাওয়া যাবে না। তাই তো সহিংসতা আর উগ্রবাদ এদেশে টিকে থাকতে পারে না।’ রেদওয়ান রনি ও আলোকচিত্রী সুমন ইউসুফ তরুণদের তোলা ছবি ও নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রশংসা করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। সেখানে উপস্থিত তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

সন্ধ্যায় বনানীর অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের জন্য পালন করা হয় এক মিনিট নীরবতা। পরে চিত্রশালায় সংগীতশিল্পী সন্ধি, সভ্যতা ও স্বাগতা গান পরিবেশন করেন। সবার জন্য উন্মুক্ত এই উৎসবটি চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।

ছবি: সাফা জেরিন ও আসিমা কামাল