ছোট একটু সোনালি স্পর্শ

‘ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স’-এ অংশগ্রহণকারীবৃন্দ, (দুঃখিত, এর আগেই বোধ হয় তানভীর মোকাম্মেলের নামটা বলা উচিত ছিল, যেহেতু সে এই সভার সভাপতি), সেই সঙ্গে কচি (কেন্দ্রের চলচ্চিত্র-চক্রের সমন্বয়কারী) ও অন্যরা, যাদের নাম বলা উচিত ছিল অথচ বলিনি এবং বাকি সবাই,

এই মুহূর্তে বক্তৃতা দেওয়ার মতো অবস্থা আমার নেই। ভয়ংকর গরম। কিছুক্ষণ আগে আমি এক ভয়াবহ যানজটে আটকা পড়েছিলাম। গাড়ি চালাচ্ছিলাম নিজেই। কাজেই গাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় ছিল না। ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সেই প্রচণ্ড গরমে সেদ্ধ হয়ে এখন পুরোপুরি ক্লান্ত। উদ্যোক্তাদের চোখ-রাঙানির ভয় ছাড়া এই মুহূর্তে এই বক্তৃতার আপাতত কোনো উদ্দেশ্য নেই।

আজ কেন্দ্রের চলচ্চিত্র-চক্রের দ্বিতীয় ‘ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স’ শুরু হচ্ছে। আমি বহুদিন ধরে অ্যাপ্রিসিয়েশন কথাটার জুতসই একটা বাংলা বের করার চেষ্টা করছি। অনেক ভেবেচিন্তে ‘রসাস্বাদন’ শব্দটাকে আমার মনে ধরেছে। কিন্তু শব্দটা নিয়েও কিছু অসুবিধা আছে। ‘রস’ শব্দটা শুনলে বাঙালিদের চোখের সামনে প্রথমেই যে রসের ছবিটা দাঁড়ায়, তা হলো খেজুরের রস। কাজেই রসাস্বাদন মানে যে শিল্পাস্বাদন তা বোঝানো অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।

আমাদের জন্য সুখের খবর এই যে, এই কোর্স আমরা দ্বিতীয়বার করতে পারছি। একটু আগে তানভীর ১৯৭৪ সালের একটা অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সের উল্লেখ করেছে। সতীশ বাহাদুর সেটা পরিচালনা করেছিলেন। মসিহ্উদ্দিন শাকের বা শেখ নিয়ামত আলীর মতো চিত্রপরিচালকেরা উঠে এসেছিলেন ওই কোর্স থেকে। আমিও ওই কোর্সে ছিলাম। তানভীর ছাড়াও চলচ্চিত্র-নির্মাতা মানজারে হাসিন মুরাদও ওই কোর্সে ছিল। সে-ও এখন একজন ভালো চিত্রনির্মাতা। এক সভায় সে কথায়-কথায় বলেছিল, ওই কোর্সে সে আমাকে দেখে অবাক হয়েছিল। ওর মনে হয়েছিল, এই বুড়ো এখানে কী করছে। এ করে তাঁর কী হবে? আমি কিন্তু তখন অত বুড়ো ছিলাম না। আমার বয়স তখন ছিল চৌত্রিশ বছর। ওরা তখন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তাই হয়তো আমাকে ওর অত বুড়ো মনে হয়েছিল। তবু বলব: জানার জিনিস—সে যে-বয়সেই আমাদের ভেতরে আসুক, আদৌ উপেক্ষার কিছু নয়। ভালো জিনিসের ছোঁয়া জীবনে যখন আসে তখনই লাভ, বিশেষ করে সৌন্দর্যের স্পর্শ। রবীন্দ্রনাথের একটা গানের কথা মনে পড়ছে, ‘এই লভিনু সঙ্গ তব সুন্দর হে সুন্দর,/পুণ্য হল অঙ্গ মত, ধন্য হল অন্তর।’ সত্যিই এটা হয়। সুন্দরের কাছে গেলে মানুষ সুন্দর হয়ে যায়। তবে সবচেয়ে ভালো হয়, এ স্পর্শটা যদি ঘটে তরুণ-বয়সে। সুন্দরের এই ছোঁয়াটুকু ওই সময় মনটাকে একবার খুশি করে না দিলে জীবনের সোনার প্রদীপ আর কোনো দিনই জ্বলে না। আলাদিনের সেই আশ্চর্য প্রদীপ আছে না—যাতে ঘষা দিলেই ওর ভেতর থেকে একটা দৈত্য বেরিয়ে আসে। তোমরা জানো, এ দৈত্য চোখের পলকে পৃথিবীর যেকোনো জিনিস এনে হাজির করতে পারে, আর পৃথিবী হয়ে যায় সব-পেয়েছির দেশ! তো, কী করতে হয় সেই দৈত্যটাকে বের করে আনতে? প্রদীপটাকে হাতে নিয়ে শুধু দাঁড়িয়ে থাকলে কি দৈত্য আসে? না, আসে না। ওতে সোনার আংটি দিয়ে একটু সামান্য ঘষা দিতে হয়, তাহলেই দৈত্যের ভেতর প্রাণটা জ্বলে ওঠে, সে এসে হাজির হয়। আর দৈত্য আসা মানে হলো অনন্ত সম্ভাবনা এসে হাজির হওয়া।

আমাদের জীবনের সূচনায়ও সৌন্দর্যের এই সোনালি স্পর্শ দরকার। সবচেয়ে বড় অসুবিধা এখানে যে, বড় বা সুন্দর কোনো কিছুরই মঙ্গলস্পর্শের সুযোগ আমাদের অল্প বয়সে হয় না। প্রায় কোনো জায়গাতেই হয় না। এই যে আমরা সারা দেশে ছেলেমেয়েদের বই পড়ানোর চেষ্টা করছি, সে চেষ্টাটুকুও আমরা অনেক সময় ঠিকমতো সফল করতে পারি না। অর্থের অভাব, সাধ্যের অভাব তো আছেই, তার ওপর আছে মানুষের সহযোগিতার অভাব। মনে হয় সারা দেশ জাতি যেন এককাট্টা হয়ে এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে। অর্থের বা মানুষের অভাব উতরে যদি-বা কোনো স্কুলে বইপড়া কর্মসূচি খুলতে গেলাম তো হেডমাস্টার সাহেব এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলেন। তাঁর কথা, ‘এই সব বই পইড়া কী অইব। অযথা সময় নষ্ট।’ অথচ তাঁরই স্কুলের ছেলেমেয়েদের মন আর বয়সের উপযোগী সবচেয়ে সুন্দর বইগুলো নিয়ে আমরা গেছি তাঁদের মনের বিকাশের জন্য। একেক সময় দুঃখের সঙ্গে মনে হয়, আমাদের প্রধান শিক্ষকেরাই হয়তো আমাদের এই চেষ্টার প্রধান বাধা।

এখন এই যে হেডমাস্টার সাহেব, এই মানুষটি কি খারাপ? না, খারাপ না। তাহলে গোলমালটা কোথায়? গোলমালটা এখানে যে, তিনি যখন ওই বয়সের একজন তরুণ বা কিশোর ছিলেন, ক্লাস এইটে-নাইনে বা টেনে পড়তেন, যখন তাঁর মন ছিল কচি, অনুভূতিময়, স্পর্শকাতর—সৌন্দর্যের জন্য, বড় কিছুর জন্য বুভুক্ষু—সেই সময় তাঁর হাতে এমনি সুন্দর স্বপ্নে-ভরা ভালো বই কেউ তুলে দেয়নি। জীবনের শুরুতে ওই স্পর্শটুকু তাঁর জোটেনি। ফলে এই আনন্দের জগত্টাই তাঁর পুরোপুরি অজানা রয়ে গেছে। অজানা জিনিসের ব্যাপারে মানুষের সন্দেহ থাকে। তাই ব্যাপারটিকে তিনি যে কেবল অনর্থক মনে করেন তা-ই না, অনেক সময় ক্ষতিকরও ভাবেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম হয় প্রচুর। ওখানকার মানুষেরা তাই ডাল-দুধ এসবের সঙ্গে আম তো খায়ই, মাছের তরকারির সঙ্গেও পাকা আম খায়। আমাদের এদিকে অত আম নেই, তাই আমের অত বিচিত্র ব্যবহার আমরা জানি না। আর জানি না বলেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের লোকদের তরকারির সঙ্গে আম খেতে দেখতে আমরা অবাক হই। তাদের অদ্ভুত মানুষ বলে মনে করি। তারা আদৌ সভ্য কি না, তাই নিয়ে পর্যন্ত অনেক সময় সন্দেহ জাগে। আমাদের ওই প্রধান শিক্ষকের ব্যাপারটাও অমনি। কিন্তু এই অজ্ঞতাজনিত ক্ষতি অন্যদের ওপর হয়ে যায় সুদূরপ্রসারী। আমাদের জীবন বিকাশের মূল্যবান পর্যায়ে আমরা সুন্দরের স্পর্শ থেকে বঞ্চিত হই। আমাদের কিশোর-তরুণদের কচি বয়সের কোমল স্বপ্নেরা সামাজিক বৈরিতার চাপে পিষ্ট হয়ে চিরদিনের মতো ঊষর হয়ে যায়।

কাকে ভালোবাসি আমরা? জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন: জ্ঞানের বিহনে প্রেম নেই। কথাটা খুবই সত্যি। যাকে আমরা যত বেশি জানি, তাকে তত বেশি ভালোবাসি। মা যে সন্তানকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন, এর কারণ সন্তানকে তিনি সবার চেয়ে বেশি জানেন। যে-ফুলকে বা যে-ফুলের গাছকে, পাতাকে, ঘ্রাণ বা সৌন্দর্যকে যত বেশি চিনি, আমরা তাকে তত বেশি ভালোবাসি। চিনতে চিনতে তার ব্যাপারে আমাদের একটা ঘোর জন্মায়। এই মাতাল চেনাটা খুবই জরুরি। এতে তাকে নিয়ে আমাদের স্বপ্ন তৈরি হয়। তাকে আমরা বুকের ভেতর টেনে নিয়ে বাঁচতে চাই।

ওই যে আমাদের হেডমাস্টার সাহেব, আগেই বলেছি, উনি কি খারাপ মানুষ? না, তা নন। তাঁর কেবল জানা নেই—একটা বইয়ের মধ্যে কী অসীম সৌন্দর্য, আনন্দ আর দীপিত জগত্ রয়েছে। তাই বইয়ের ব্যাপারে তাঁর প্রেম নেই। শুধু এটুকু জানা থাকলেই তাঁর সামনে সম্পন্ন-ভুবনের দরজা খুলে যেত। তাঁর চেতনা আলোকিত হতো। কিন্তু ওটুকু হয়নি বলেই এ ব্যাপারে তাঁর হূদয় কাজ করে না। বাইরে এখন খুব সুন্দর আলো ঝলমলে আকাশ, কিন্তু আমি যদি জানালাটা না খুলি, কী করে সেই খুশিকে টের পাব? কী করে আমার মনে হবে:

যাব না আজ ঘরে রে ভাই

যাব না আজ ঘরে

আকাশ ভেঙে বারিকে আজ

নেব রে লুট করে।

এ ব্যাপারটাও তেমনি। ওই জানালাটা আমাদের খুলতে হয়। খুললেই ঐশ্বর্যময় জীবনটা আমাদের সামনে হাজির হয়। জানা হলেই ভালোবাসা হয়। না হলে জীবন পাথর হয়ে থাকে। এ জন্য আশপাশের যা কিছু ভালো বা সুন্দর, সে সবকিছুরই কাছাকাছি আমাদের আসা উচিত। এ যত আগে হবে, ততই ভালো।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে আমরা বলে চলেছি: আলোকিত মানুষ চাই। আলোকিত মানুষ কী? কেউ কি পুরোপুরি আলোকিত হয়? আজকাল আমি পড়েছি বিপদে। কোথাও গেলে লোকজন আমাকে দেখিয়ে বলে: ওই যে আলোকিত মানুষ। কী হাস্যকর বলো তো! কী করে বলি, আমি আলোকিত নই যে বাবা। আমি আলোকিত মানুষ খুঁজছি শুধু। তাদের জন্মের জন্য কাজ করছি। এই আলোকিত মানুষদের কোনো দিন পাব কি? না, কোনো দিন না। কারণ আলোকিত মানুষ বলে পৃথিবীতে কিছু নেই। এ নিতান্তই একটা স্বপ্নের নাম। সেই স্বপ্নকে পৃথিবীতে পাওয়া যায় না। তাকে শুধু খোঁজা যায়। এই খোঁজাই তাকে পাওয়া। আমাদের দরকারেই আলোকিত মানুষ আমাদের খুঁজতে হয়। তাকে পাওয়ার জন্য নয়, অন্ধকার কমানোর জন্য।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে কলেজ-পর্যায়ের ছেলেমেয়েদেরও একটা বইপড়ার কর্মসূচি আছে। কর্মসূচির পর ওদের একটা ছোট্ট পরীক্ষা হয়। ওই পরীক্ষায় আমরা বুঝতে চেষ্টা করি, কে কত ভালোভাবে বইগুলো পড়েছে। একবার এক ছেলের খাতায় একটা মজার ব্যাপার চোখে পড়ল। সেই ছেলেটা কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। অর্থাত্ সে কোনো বই পড়েনি। কিন্তু একটা স্মরণীয় বাণী খাতার মধ্যে লিখে দিয়েছে। বাণীটা এই, ‘শুধু বই পড়িয়ে আলোকিত মানুষ তৈরি করতে পারবি না রে গাধা’। এখানে ‘গাধা’ মানে স্পষ্টতই আমি, কারণ ও জানত আমিও তাদের খাতাগুলো দেখব। যাহোক, যদি সে সব প্রশ্নের জবাব ঠিকমতো দিত, সবগুলো বই ভালো করে পড়ত, তারপরে কথাটা লিখত, তাহলে আমি বুঝতাম ওর কথাগুলো সত্যি। কিন্তু আমি জানি ও যদি বইগুলো পড়ত তাহলে এ কথা ও লিখত না। এ জন্য লিখত না যে, বইগুলো পড়লে ওসব বইয়ের মধ্যে যে সৌন্দর্য বা ঐশ্বর্য আছে, তার স্পর্শে তার মন পাল্টে যেত। ও বুঝতে পারত, বড় বড় মানুষের লেখা এই বইগুলোর মধ্যে কী আছে। ওসব সৌন্দর্যের স্পর্শ পেয়ে ও বুঝত, শুধু বই পড়ে পুরো না হলেও অনেকখানি আলোকিত হওয়া যায়। কেননা ওগুলোর মধ্যে মানবাত্মার অমর আলোক উজ্জ্বল শিখা জ্বলছে।

সতীশ বাহাদুরের ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশনের কোর্সের কথা মনে পড়ছে। আমি যে সেখানকার সবচেয়ে বয়স্ক ছাত্র ছিলাম তা-ই নয়, সবচেয়ে অপদার্থ ছাত্রও ছিলাম। ওখান থেকে যেটুকু-বা পেয়েছিলাম তার কিছুই আমার কাজে লাগেনি। কিন্তু ওই যে চলচ্চিত্রজগতের সঙ্গে আমার পরিচয় হলো, আর আমি একটা অনির্বচনীয় পৃথিবীর দেখা পেলাম, তা একটা জায়গায় আমাকে অনেকখানি পাল্টে দিল। চলচ্চিত্রের সৌন্দর্যলোকের ব্যাপারে আমার মনের জানালা খুলে গেল। মোতাহের হোসেন চৌধুরীর সুন্দর একটা কথা মনে পড়ছে। তিনি লিখেছেন, প্রতিভা বিকাশ করতে যে ব্যর্থ হয়, সে হয় সমঝদার। চলচ্চিত্রের কোর্স করে আমি প্রতিভাবান হইনি, কিন্তু প্রেমিক হয়েছি। ওই যে একবার কিছুদিনের জন্য আমি চলচ্চিত্রের স্পর্শে এসেছিলাম তার জন্য আজ আমি চলচ্চিত্রকে কিছুটা হলেও ভালোবাসি, টের পাই। এর ভেতরকার ঐশ্বর্যকে অনুভব করি। ভালো কিছুর সঙ্গে পরিচয় বা জানাজানিতে জীবনের এটুকুই লাভ। আমি নিজে হয়তো কোনো দিন এই চক্র তৈরি করতে পারতাম না, কিন্তু এই চক্রের উদ্যোক্তারা যে বেদনা আর উদ্যম নিয়ে এই চক্র গড়ে তুলছে, আমি যে তার মূল্যটুকু বুঝতে পারছি, তা সম্ভব হচ্ছে ওই জগতের সঙ্গে আমার একদিন চেনাশোনা ঘটেছিল বলেই। যাদের প্রতিভা ছিল, ওই স্পর্শ পেয়ে তাঁরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। আর আমার সেদিনের ওই স্পর্শটুকুর কারণে আজ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে চলচ্চিত্র-চক্র গড়ে উঠছে। মানুষের সভ্যতার জন্য যে যেখান থেকে যেটুকু দেবে, সেটুকুই লাভ। সতীশ বাহাদুরের পর কোর্স চালিয়েছেন আলমগীর কবির। সে কোর্সগুলোতে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে থেকেও পাঁচ-ছয়জন চিত্রনির্মাতা হয়েছেন। তাহলে আমাদের এসব কোর্স থেকে হবে না কেন? আমি নিশ্চিত জানি, আমাদের এই কোর্সগুলো থেকেও ওরকমটাই হবে।

ছোট্ট একটুখানি স্পর্শ দিয়ে এ পরিচয় শুরু হোক। পরে তা প্রসারিত হবে। যারা আমার মতো, যাদের অন্তর প্রতিভার উত্সাহে কোনো দিন স্পন্দিত হবে না, তারাও অন্তত অন্যের বেড়ে ওঠার ব্যাপারে সহায়তা করতে পারবে। সেটাই-বা কম কী?

 অলংকরণ: সাদমান মুন্তাসির

[বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র চলচ্চিত্র-চক্রের ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স উদ্বোধনী বক্তৃতা, ঢাকা: ১৯৯৯]