গল্পের পাজল পাজলের গল্প

আগামীকাল সুমিতের ১৩তম জন্মদিন, কিন্তু তার মন খারাপ। স্কুলের কিছু বন্ধু বলেছে, ১৩ সংখ্যাটি নাকি অপয়া। প্রিয় চাচ্চুকে ফোন দিয়ে অপয়া ১৩ নিয়ে বলল সে। তিনি একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার। তাঁকে ভীষণ পছন্দ করে সুমিত। রাজ্যের যত প্রশ্নের উদয় হয় তার মাথায়, সেগুলোর সব উত্তর জানেন এই চাচ্চু। চাচ্চু বললেন, ওসব অপয়া বলে কিছু নেই। সংখ্যা নিছকই সংখ্যা। সে যেন মন খারাপ না করে। তার বরং খুশি থাকার কথা, কারণ তার ১৩তম জন্মদিনে চাচ্চু তাকে এমন একটি স্পেশাল উপহার দেবেন, যা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত মাত্র একটাই বানানো হয়েছে। সুমিতই হবে সেটার প্রথম গর্বিত মালিক! সেদিক থেকে দেখলে এ জন্মদিনটা হতে যাচ্ছে তার স্পেশাল জন্মদিন!
এমন উপহারের কথা শোনার পর থেকে সুমিতের মন ভালো হয়ে গেল। তবে উপহারটা কী হতে পারে, তা নিয়ে ভেবে ভেবে সারা দিন কেটে গেল অস্থিরতায়। রাতে শোবার পরও মাথায় ঘুরতে থাকল সেই স্পেশাল উপহারের কথা! এমন কী জিনিস আছে, যেটা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই?
প্রতিবারের মতো তার আব্বু-আম্মু রাত ১২টা বাজার পরপরই তার ঘরে আসেন, সুমিতের কপালে চুমু খেয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেন তাকে, সেই সঙ্গে দিয়ে গেলেন মজার মজার সব খেলনা উপহার। কিন্তু সেসব খেলনা নেড়েচেড়েও দেখল না সুমিত। স্পেশাল উপহারটার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ল সে।
পরদিন সন্ধ্যার পর, গতবারের মতোই কিছু আত্মীয়স্বজন আর স্কুলের বন্ধুরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে চলে এল তার বাসায়। মজার মজার সব খাবার রান্না করেছেন তার মা। একটু পরই খাওয়াদাওয়া করবে সবাই মিলে। বন্ধুরা খুব হইহুল্লোড় করছে, সবাই ভীষণ খুশি। সুমিতও তাতে যোগ দিয়েছে কিন্তু প্রতিবার কলবেল বাজলেই সে দৌড়ে যাচ্ছে দরজার কাছে, আর চাচ্চুকে না দেখে ফিরে আসছে মন খারাপ করে।
ব্যাপারটা ধরতে পারলেন তার মা, ‘বন্ধুবান্ধব এসেছে, কত গিফট পেয়েছ, কিন্তু তোমার মন খারাপ কেন, বাবা?’
সুমিত কখনো মিথ্যা বলে না, মাকে সত্যিটাই বলল, ‘চাচ্চু এখনো আসছে না কেন?’
‘তোমার চাচ্চু খুবই ব্যস্ত মানুষ, হয়তো কোনো কাজে ব্যস্ত আছে।’
‘চাচ্চু বলেছিল আমাকে একটা স্পেশাল গিফট দেবে,’ অভিমানে বলল সুমিত।
ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন মা। ‘ও, এ জন্য মন খারাপ? চাচ্চু যখন বলেছে, অবশ্যই গিফটটা তুমি পাবে।’
এ কথা বলে তার মা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন কেক কাটার আয়োজনে। কেক কাটার সময়ও মুখ ভার করে রাখল সুমিত। তবে তার বন্ধুরা খুব আনন্দ করল। অনেক ছবি তুলল তারা। একে অন্যের ওপর কনফেত্তি ছড়িয়ে দিল স্প্রে করে। তাদের সারা বাড়ি অসংখ্য রঙিন বেলুন দিয়ে সাজিয়েছিলেন তার বাবা-মা, সুমিতের বন্ধুরা সেসব বেলুন ফাটিয়ে মজা করল।
তাদের বড় ডাইনিং টেবিলে খাবার সাজাতে শুরু করলেন বাবা-মা। একটু পরই বাচ্চারা সবাই বসে পড়ল নানা রকম মজার খাবার খেতে। ছোটদের পর বড়রা খাবেন। বাচ্চাদের জন্য অনেক বেশি মজার খাবার রাখা হয়েছে আজ। অনেক রকম চকলেট আর আইসক্রিম খেলো তারা।
এভাবে বেশ আনন্দেই কেটে গেল সুমিতের ১৩তম জন্মদিন। কিন্তু চাচ্চুর ওই স্পেশাল উপহারটা না পেয়ে মন খারাপ করেই রাতে শুতে গেল সে।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সুমিত আবিষ্কার করল, বিছানার পাশে চমত্কার সুন্দর একটি বাক্স রেখে গেছে কে যেন। দেখতে বড়সড় পিৎজার প্যাকেটের মতো, তবে আরেকটু পুরু। সেই বাক্সের গায়ে ছোট একটা চিরকুট আঠা দিয়ে লাগানো, তাতে লেখা, ‘সুমিতের জন্মদিনে চাচ্চুর স্পেশাল উপহার।’
খুশিতে লাফ দিয়ে উঠল সে। মা এসে জানালেন, তার চাচ্চু সিলেট থেকে আসতে বেশ রাত করে ফেলেছিলেন, সুমিত ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছিল বলে তাকে আর ঘুম থেকে ডেকে তোলেননি।
স্পেশাল উপহারটা পেয়ে সুমিতের মন এতটাই ভালো হলো যে দাঁত ব্রাশ না করেই ওটা খুলে দেখতে চাইল সে। কিন্তু মা বললেন, আগে ব্রাশ করে নাশতা করতে হবে। চুপচাপ মায়ের কথা মেনে নিল সুমিত। সে কখনো বাবা-মা আর বড়দের কথার অবাধ্য হয় না।
নাশতা করার পর নিজের ঘরে এসে চাচ্চুর স্পেশাল উপহারটা নিয়ে বসে পড়ল সুমিত। বাক্সটা খুলতেই দেখতে পেল বেশ বড়সড় একটা বইয়ের মতো জিনিস! কিন্তু লাল টকটকে মলাটটা অন্য সব বইয়ের মতো কাগজের নয়, সিনথেটিক দিয়ে তৈরি। বইটা যেমন বড়, তেমনি মোটা। এত মোটা বই সে খুব কমই দেখেছে। তার চেয়েও বড় কথা, বইয়ের মলাটে কোনো নামই লেখা নেই, তার বদলে মাঝখানে সুন্দর একটি নকশা আঁকা।
বইটা খুলল সুমিত। প্রথম পৃষ্ঠাটিও মলাটের মতোই সিনথেটিক দিয়ে তৈরি, তবে সেটা বেশ পাতলা, অনেকটা মোটা কাগজের মতো পুরু। এটা দেখে ভিরমি খেল সুমিত। কয়েক মুহূর্ত হাঁ করে চেয়ে রইল। সাদা পৃষ্ঠাজুড়ে অসংখ্য বাংলা শব্দের সমাহার, কিন্তু সেগুলো দিয়ে যে আসলে কী বোঝানো হয়েছে, বুঝতে পারল না। ভালো করে দেখল সে, এলোমেলো শব্দগুলো যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একটা অর্থবহ বাক্যও নেই তাতে!
এই বই কীভাবে সুমিত পড়বে?


পরের পৃষ্ঠায় গিয়ে বিস্ময় আরও বেড়ে গেল তার। প্রথম পৃষ্ঠার মতো শুধুই শব্দের সমাহার। কিন্তু এর পরের পৃষ্ঠাগুলো একদমই সাদা! ফাঁকা!
চাচ্চু তাকে এ কেমন বই গিফট করেছেন!
আজ শুক্রবার, স্কুল বন্ধ। সে ঠিক করল কারও সাহায্য ছাড়াই বের করবে এই শব্দের জঞ্জালের মানে কী।
সুমিত আরও আবিষ্কার করল, সিনথেটিক পৃষ্ঠায় থাকা শব্দগুলো কালিতে ছাপা নয়, ওগুলো এলইডি মনিটরে ভেসে থাকা অক্ষরের মতো। কৌতূহলী হয়ে পৃষ্ঠায় আঙুল বোলাতেই চমকে উঠল সে। শব্দগুলো নড়ছে! চাইলে যেকোনো শব্দকে যেকোনো জায়গায় সরাতে পারছে। আগ্রহী হয়ে উঠল সুমিত। শব্দগুলো সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
কিন্তু শব্দগুলো তো অর্থহীনভাবে সাজাতে পারে না। অর্থপূর্ণ কিছু বাক্য গঠন করতে হবে। কাজে নেমে পড়ল সুমিত। প্রথম বাক্যটি সাজানোর পর আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল তার। দ্বিতীয় বাক্যটিও সাজিয়ে ফেলল দ্রুত। এভাবে বেশ কয়েকটি বাক্য সাজানোর পর দেখা দিল আরেকটা সমস্যা। তার সাজানো বাক্যগুলো বিচ্ছিন্নভাবে অর্থ প্রকাশ করলেও সেগুলো দিয়ে কোনো গল্প তৈরি হচ্ছে না। নতুন উদ্যম নিয়ে এবার গল্প তৈরি করার চেষ্টা করল সে। খেলাটা তার কাছে এতটাই মজার মনে হলো যে সবকিছু ভুলে ডুবে রইল অদ্ভুত বইটা নিয়ে।
দুপুরের মধ্যে এলোমেলো শব্দগুলো দিয়ে অর্থপূর্ণ একটি গল্প বানিয়ে প্রথম পৃষ্ঠাটি প্রায় ভরে ফেলল সুমিত। কিন্তু শেষ বাক্যটি তৈরি করতে গিয়ে পড়ে গেল বিপাকে। ‘করেছিল’র মতো একটি দরকারি শব্দ নেই। যদিও সে দেখেছে, প্রথম পৃষ্ঠায় অনেক শব্দই একাধিকবার আছে, কিন্তু কোনো শব্দই কপি করার ব্যবস্থা নেই বইতে। হতাশ হয়ে বসে রইল সুমিত। চাচ্চুর একটা উপদেশের কথা মনে পড়ে গেল তার, ঠান্ডা মাথায় ভাবলে যেকোনো সমস্যাই সমাধান করা যায়।
তা–ই করল সুমিত। কিন্তু অনেকটা সময়ের পরও যখন সমাধান খুঁজে পেল না, তখন উল্টে দেখল পরের পৃষ্ঠাটা। কিছুক্ষণ চোখ বুলিয়ে খুঁজে পেল বেশ কয়েকটি ‘করেছিল’ আছে ওখানে, কিন্তু সেখান থেকে কীভাবে শব্দটা স্থানান্তর করবে?
দমে না গিয়ে চেষ্টা করে দেখল সে। ‘করেছিল’র ওপরে টোকা দিল, কাজ হলো না। দুবার টোকা দিল, তাতেও লাভ হলো না। এবার শব্দটার ওপর তর্জনী চেপে রাখল কিছুক্ষণ। অবাক হয়ে দেখল, প্রায় দুই সেকেন্ড পর শব্দটা উধাও হয়ে গেল! কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকল সুমিত। শব্দটা যেখানে ছিল, সেই ফাঁকা জায়গায় আবার তর্জনী চেপে ধরতেই ঠিক ভেসে উঠল সেটা। খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল তার মুখ। আবারও শব্দটা উধাও করে প্রথম পৃষ্ঠায় চলে গেল সে। শেষ বাক্যে যেখানে শব্দটা বসানোর কথা, সেখানে আঙুল চেপে ধরল, ম্যাজিকের মতোই কাজ হলো এবার। ‘করেছিল’ শব্দটা ভেসে উঠল সেখানে। সম্পূর্ণ হলো তার বাক্য। এমন কঠিন সমস্যার সমাধান করতে পেরে বিছানার ওপরে লাফ দিয়ে উঠল সে, কিন্তু তার এই আনন্দ টিকে থাকল মাত্র কয়েক মুহূর্ত। অবাক হয়ে সে দেখতে পেল, প্রথম পৃষ্ঠার একটি শব্দ ‘পড়াশোনা’র রং লালচে হয়ে নিমেষেই সেটা উধাও হয়ে গেল। মাথা খাটাতে লাগল সুমিত। কী মনে করে যেন পরের পৃষ্ঠায় গেল আবার। অবাক হয়ে দেখতে পেল ওখানে লাল রঙে জ্বলজ্বল করছে ‘পড়াশোনা’ শব্দটি!
তার আর বুঝতে বাকি রইল না। কোনো পৃষ্ঠার শব্দ স্থানান্তর করতে গেলে প্রথম পৃষ্ঠার যেকোনো একটি শব্দ চলে যাবে ওই পৃষ্ঠায়। ঋণ শোধ করতে!
যতটা ভেবেছিল, অদ্ভুত আর মজার খেলাটা আদতে অনেক কঠিন। প্রচুর বুদ্ধি খাটিয়ে অবশেষে প্রথম পৃষ্ঠাটি সম্পন্ন করার পর নতুন দুটি বিষয় আবিষ্কার করল সে, আগের পৃষ্ঠার কোনো শব্দ পরের পৃষ্ঠায় ধার দিলে বাড়তি একটা সুবিধা পাওয়া যায়—পছন্দমতো শব্দ ধার নেওয়া যায় তখন! আর একটা পৃষ্ঠা সম্পন্ন করলে পরের একটি ফাঁকা পৃষ্ঠা ভরে ওঠে নতুন শব্দের সমাহারে!
দুপুরে খাওয়াদাওয়া করার পর সুমিত আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়ল দ্বিতীয় পৃষ্ঠার শব্দগুলো দিয়ে গল্প বানাতে। এখন অনেক বেশি দ্রুততার সঙ্গে কাজটা করতে পারছে। বিকেলের আগেই পাঁচটি পৃষ্ঠা সম্পন্ন করল সে। বইটার মোট পৃষ্ঠা গুনে দেখেছে সে—১০০!
সন্ধ্যার পর যখন বইটা রেখে একটু বিরতি দিল, তখনই চাচ্চু ফোন দিলেন তার মায়ের ফোনে। অন্য বাচ্চাদের মতো সুমিতের নিজের ফোন নেই। তার বাবা-মা আর চাচ্চু বলেছেন, বয়স ষোলো না হলে সেলফোন দেওয়া হবে না তাকে।
‘বইটা তোমার পছন্দ হয়েছে?’
‘কী যে বলো চাচ্চু! আমি জীবনেও এ রকম অদ্ভুত বই দেখিনি! তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।’
‘বলেছিলাম না, এটা স্পেশাল উপহার।’
‘হুম, অনেক স্পেশাল। কিন্তু তুমি বলেছিলে, এ রকম বই নাকি পৃথিবীতে মাত্র একটাই আছে, কথাটা কি সত্যি?’
‘সত্যি। এখন পর্যন্ত এ রকম বই মাত্র একটাই বানিয়েছি।’
‘বইটা তুমি বানিয়েছ?’ সুমিত যারপরনাই অবাক। তার চাচ্চু এ রকম অসাধারণ বই বানিয়েছেন, এটা তার বিশ্বাসই হচ্ছে না! ‘চাচ্চু, তুমি একজন জিনিয়াস!’
প্রশংসা শুনে হেসে ফেললেন চাচ্চু। ‘কিন্তু পড়াশোনা বাদ দিয়ে সারাক্ষণ ওটা নিয়ে পড়ে থেকো না, ঠিক আছে?’
‘ঠিক আছে, চাচ্চু।’
‘তুমি যদি পুরো বইটার শব্দ ব্যবহার করে আস্ত একটা গল্প বানাতে পারো, তাহলে কী হবে জানো?’
‘কী হবে, চাচ্চু?’
‘তোমাকে তখন গল্পের মাস্টার খেতাব দেওয়া হবে।’
সুমিতের চোখ কপালে উঠে গেল। ‘বলো কী!’
‘আর যদি বইটার শব্দভান্ডার ব্যবহার করে ভিন্ন আরেকটি গল্প বানাতে পারো, তবে তুমি হবে গ্র্যান্ডমাস্টার।’
‘গ্র্যান্ডমাস্টার!’ সুমিত যারপরনাই বিস্মিত। ‘এই বইয়ের শব্দগুলো দিয়ে আরও গল্প বানানো যাবে?’
‘হুম। আমার ধারণা, অনেক অনেক গল্প বানানো যাবে। ওভাবেই এটা প্রোগ্রাম করেছি।’
‘আচ্ছা, গ্র্যান্ডমাস্টার হলে আমি কী পুরস্কার পাব?’
‘তোমার গল্প দুটো নিয়ে বই প্রকাশ করা হবে।’
‘বই! আমার?’ প্রায় বাক্‌রুদ্ধ হওয়ার জোগাড় হলো তার।
‘হ্যাঁ...তুমি হবে গল্পের মাস্টার।’
বইটার দিকে তাকাল সুমিত। আসলেই এ রকম স্পেশাল উপহার সে জীবনেও পায়নি। তার বন্ধুরা নিশ্চয় এটার কথা শুনলে খুবই অবাক হবে। আফসোসও করবে, কেন তাদের কাছে এ রকম বই নেই।
‘চাচ্চু, তুমি আমার বন্ধুদের জন্যও এমন বই বানিয়ে দিয়ো, ঠিক আছে?’
‘আচ্ছা।’
‘কিন্তু এই বইটার নাম নেই কেন?’
চাচ্চু একটু ভেবে বললেন, ‘সেটা এখনো ঠিক করিনি, তবে তুমি এটাকে পাজলের গল্প বলতে পারো। কিংবা গল্পের পাজল।’
‘ঠিক আছে, আমি দুটো নামই দেব বইটার।’
চাচ্চুর সঙ্গে কথা শেষ করেই সুমিত ব্যস্ত হয়ে পড়ল গল্প বানানোর কাজে। এত আনন্দ সে আর কোনো খেলায় পায়নি। মনে মনে পণ করল, তাকে গ্র্যান্ডমাস্টার হতেই হবে!

অলংকরণ: রাজীব