নির্বাচিত কৌতুক (আগস্ট ২০১৭)

* বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলল এক কয়েদি, ‘হুজুর, আমাকে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি একেবারেই নিরপরাধ। আমাকে আপনি বাঁচান।’

সাক্ষী ব্যাংক কর্মকর্তা চিত্কার করে বললেন, না হুজুর! পাঁচ ব্যাংক ডাকাতের মধ্যে এই লোকও ছিল। আমি নিশ্চিত।’

কয়েদি বলল, ‘অসম্ভব! এই লোকটা মিথ্যা বলছে হুজুর। আমরা চারজন ছিলাম!’

* দুই বন্ধুতে গল্প হচ্ছে

প্রথম বন্ধু: বল তো, হেলিকপ্টারের মাথার ওপর একটা বিশাল পাখা থাকে কেন?

দ্বিতীয় বন্ধু: কেন?

প্রথম বন্ধু: হেলিকপ্টার চালানোর সময় পাইলটের যেন গরম না লাগে, সে জন্য।

দ্বিতীয় বন্ধু: যাহ্।

প্রথম বন্ধু: হুমম! বিশ্বাস না হলে তুই হেলিকপ্টার চালানোর সময় পাখাটা বন্ধ করে দিয়ে দেখিস, বেচারা কেমন ঘামতে থাকে!

* হাবলু আর বিল্টুর মধ্যে কথা হচ্ছে—

হাবলু: জানিস, আজ আমার মোবাইল ফোনে অদ্ভুত একটি মেসেজ এসেছে আর সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইলটি বন্ধ হয়ে গেছে।

বিল্টু: বলিস কী রে! মেসেজে কী লেখা ছিল?

হাবলু: ব্যাটারি লো।

বিল্টু: বলিস কী? মেসেজটা তাড়াতাড়ি আমাকে পাঠিয়ে দে। আমি ওই মেসেজ সবাইকে পাঠিয়ে সবার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেব।

* দুই বন্ধু কথা বলছে।

: জানিস, আমি গোয়েন্দা উপন্যাস সব সময় মাঝামাঝি থেকে পড়া শুরু করি। তাতে মজাটা বেশি হয়।

: কীভাবে?

: তখন শুধু উপন্যাসের শেষ না, শুরুটা জানারও কৌতূহল থাকে!

* এক পাইলট আর তার বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে।

পাইলট: জানিস, আমাদের এয়ারলাইনসের বিমান কখনো চুরি হয় না।

বন্ধু: কেন?

পাইলট: কারণ, আমাদের সব কটি বিমানই ত্রুটিপূর্ণ! ছিনতাইকারীদেরও তো জানের মায়া আছে, নাকি!

অলংকরণ: জ্যাকো বড়ুয়া