তোমাদের প্রশ্ন, কিআর উত্তর

তুমি কিআর নিয়মিত লেখক হতে চাও? পাঠাতে চাও গল্প, ছড়া কিংবা ফিচার? তুমি কি হতে চাও কিআর নিয়মিত আঁকিয়ে, মডেল কিংবা স্বেচ্ছাসেবক? তাহলে তোমার জন্যই এই লেখা। প্রতি মাসে তোমাদের পাঠানো ৭৫ ভাগ চিঠিতেই থাকে এই প্রশ্নগুলো—

  • আমি একটা গল্প লিখেছি। কীভাবে পাঠাব?

  • আমি কিআর নিয়মিত লেখক হব কীভাবে?

  • আমি কীভাবে কিআর সদস্য হব?

তাই তোমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে একটা লেখা লিখতেই হলো। এবার দেখা যাবে কত খামে কত চিঠি!

লেখা পাঠাবে কীভাবে?

দুটি উপায়ে লেখা পাঠাতে পারো তুমি।

ই–মেইলে

এটা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। ধরো, তুমি একটা গল্প পাঠাবে। সে ক্ষেত্রে তোমার গল্পটা টাইপ করবে ইউনিকোডে। সঙ্গে তোমার নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম, শ্রেণি আর ফোন নম্বরও দিতে হবে। সব লিখে কিশোর আলোর ই–মেইলের ([email protected]) বডিতে পেস্ট করবে। গল্পের একটা নামও দিয়ো কিন্তু। সাবজেক্টের জায়গায় লিখবে—গল্প। তারপর সেন্ড করে দিলেই আমরা পেয়ে যাব তোমার গল্প। চিঠি, ফিচার, ছড়া বা অন্য যেকোনো লেখার ক্ষেত্রেই একই নিয়ম। শুধু বদলে যাবে সাবজেক্ট। চিঠি হলে সাবজেক্টে লিখবে ‘চিঠি’, আমরা সবাই রাজার জন্য লিখলে লিখবে ‘আমরা সবাই রাজা’।

ডাকযোগে

অনেকে বিভিন্ন আকারের কাগজ, প্র্যাকটিক্যাল খাতার পাতা, ডায়েরির পাতা, প্রেসক্রিপশন বা ক্যালেন্ডারের উল্টো পাশে লেখা পাঠাও। কাগজের এপিঠ-ওপিঠ দুই পাশেই লেখো। কিন্তু লেখা পাঠাতে হবে পরিষ্কার সাদা কাগজে। এ ফোর আকারের সাদা কাগজের এক পাশে তোমার লেখা স্পষ্টভাবে লিখবে। পাঠ্যবইয়ের দরখাস্তের মতো ‘আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় লেখা পাঠালাম, ছাপানোর অনুরোধ রইলো’ টাইপ কিছু লেখার কোনো দরকার নেই।

একই কাগজে বিভিন্ন বিভাগের লেখা পাঠাবে না। ধরো, তুমি একটি গল্প আর একটি ছড়া পাঠাবে। এ ক্ষেত্রে গল্প যে কাগজে শেষ হয়েছে, ছড়া সেই কাগজে শুরু করবে না। আলাদা কাগজ ব্যবহার করবে। প্রতিটি লেখার শেষে তোমার নাম, ঠিকানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, শ্রেণি ও ফোন নম্বর লিখবে।

খামের ওপর ঠিকানা লেখার সময় যে বিভাগে লেখা পাঠাচ্ছ, তা–ও উল্লেখ করবে। তুমি একই খামে একাধিক লেখা পাঠাতে পারো, সে ক্ষেত্রে খামের ওপর সব বিভাগের নাম লিখবে। যেমন:

আমরা সবাই রাজা, গল্প, ছড়া
কিশোর আলো
১৯, কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২১৫

এ ছাড়া তুমি চাইলে কিআ কার্যালয়ে এসেও লেখা দিয়ে যেতে পারো।

নিয়মিত লেখক হতে চাই! কী করব?

নিয়মিত লিখবে। এই তো, আর কিছু না। যেকোনো সময়েই লেখা পাঠাতে পারো তুমি। পাঠাতে পারো যেকোনো বিষয়ের লেখা। তোমাদের সুবিধার জন্য আমরা কিছু বিষয় দিয়ে দিচ্ছি, এই বিষয়গুলোতে তুমি লেখা পাঠাতে পারো।

পড়তে পারো (বই রিভিউ), দেখতে পারো (মুভি রিভিউ), বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানী, সাইকেল, অ্যানিমে, কেপপ, সংগীত বা ব্যান্ড, রহস্য, অ্যাডভেঞ্চার, স্কুলের মজার ঘটনা, পোষা প্রাণী, অভিজ্ঞতা, তোমার ভাবনা... ইত্যাদি। এর বাইরেও যেকোনো বিষয় নিয়ে তোমার ইচ্ছেমতো লিখতে তো পারোই।

লেখা ভালো হলে ছাপা তো হবেই। আমরাও তোমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। দেব অ্যাসাইনমেন্ট। সেটা আবার তোমাদের লিখে পাঠাতে হবে।

হতে চাই স্বেচ্ছাসেবক

তুমি কিআর স্বেচ্ছাসেবক হতে চাও? খুব ভালো কথা। তুমি যদি ঢাকার অধিবাসী হও, তাহলে চলে আসতে হবে কিআড্ডায়। প্রতি মাসে চিঠিপত্তর পাতাতেই থাকে কিআড্ডায় আসার নিবন্ধন ফরমের লিংক। এ ছাড়া সদস্য হতে পারো বুক ক্লাব বা ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাবেরও।

ঢাকার বাইরে আমাদের কার্যক্রম মূলত বুক ক্লাবনির্ভর। তোমার জেলায় বুক ক্লাব থাকলে তার সদস্য হতে পারো। ক্লাবের সভায় নিয়মিত অংশ নিয়ে পর্যায়ক্রমে কিআর স্বেচ্ছাসেবক হয়ে যাবে তুমি। বুক ক্লাবের খবরাখবর প্রতি মাসেই ছাপা হয় ‘বইয়ের দুনিয়া’ বিভাগে।

অনেকেই বলো, ‘আমি কিআর সদস্য হতে চাই’, তাদের জন্য বলছি, যারা কিআ পড়ে, তারাই কিআর সদস্য। আমরা সবাই কিশোর আলো!

সম্পাদক আনিসুল হকের সঙ্গে কিশোর আলোর স্বেচ্ছাসেবকেরা।
সম্পাদক আনিসুল হকের সঙ্গে কিশোর আলোর স্বেচ্ছাসেবকেরা।
ছবি: ইফতেখার রাকিন

তুমি কি মডেল হতে চাও?

বিভিন্ন ফিচারের জন্য আমরা তোমাদের মধ্য থেকেই মডেল বাছাই করি। মডেল হতে চাইলে দৃষ্টি রাখতে হবে কিশোর আলোর ফেসবুক গ্রুপে (www.facebook.com/groups/kishor.alo)। এ জন্য তোমার ফেসবুক আইডি থাকতে হবে এমন নয়, তোমার মা–বাবা, ভাইবোনের ফেসবুক আইডি দিয়েও তুমি গ্রুপে জয়েন করতে পারবে।