ভালো নেই পোষা প্রাণীগুলোও

এলাকার মাঠে অনেক দিন হলো কেউ ফুটবল খেলে না। দেখা যায় না একদল ক্রিকেট ব্যাট হাতে, আরেক দল ফুটবল পায়ে ঝগড়া করতে, যা ছিল মাঠ দখল নিয়ে নিত্যদিনের ঘটনা। আগে মা বকা দিত বিকেল পাঁচটার আগে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য, এখন বকা দেন ঘন ঘন হাত না ধোয়ার জন্য।

করোনাভাইরাসের যন্ত্রণায় তোমরাও অতিষ্ঠ, তাই না? কত দিন স্কুলে যাওয়া হয় না, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না, স্কুল বা এলাকার মাঠেও খেলা করতে পারো না। সবাইকে ঘরে থাকতে হচ্ছে, নিজেকে বাঁচাতে ও অন্যকে বাঁচাতে। আর সেই দল থেকে বাদ যায়নি ছোটরা। এমনকি বাসার পোষা প্রাণীগুলোও।

এমনই এক পোষা বুলডগের নাম ‘বিগ পপা’ (Big Poppa)। মানুষের মতো তারও মন খারাপ। একটু না, বেশ খারাপ। সারা পৃথিবী যেমন করোনার আতঙ্কে ভীত, যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টাও তেমনি এক অঞ্চল। টানা লকডাউনে মানুষ বের হতে পারছে না ঘর থেকে। বিগ পপাও বের হতে পারছে না।

টেলিভিশন ও ফিল্ম কস্টিউম ডিজাইনার রাশিদা এলিসের পোষা কুকুর বিগ পপা। প্রতিদিনই বিকেলে হাঁটতে বের হওয়া যার অভ্যাস। লকডাউন শুরুর পর এলিস খেয়াল করেন, পপা বারান্দা দিয়ে চেয়ে আছে দূরের এক বাসার দিকে। সেখানে এক বাসার ভেতরের কয়েকটি ছেলে বাস্কেটবল খেলছিল। পপা ওদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয় না।

বিকেলে বের হয়েই পপা খেলা করত বাচ্চাদের সঙ্গে। ছেলে-বুড়ো সবাই ওকে ভালোবাসে, আদর করে। কিন্তু ইদানীং বিগ পপা ঘুমিয়েই কাটায়, আর বিষণ্ন দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে বাইরে। ছবিতে দেখে বিগ পপার মনের অবস্থা বুঝতে পারছ নিশ্চয়।

বিগ পপার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সবাই কামনা করে এই মহামারি পৃথিবী থেকে দূর হয়ে যাক। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠুক। বিগ পপার বিষণ্ণতাও দূর হয়ে যাক।

সূত্র : বোরডপান্ডা

ছবি: রাশিদা এলিস