ভাঙা চশমা ও হাবলু বুড়ার গল্প

অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক
অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক

চশমাটা কে ভাঙল!


এই তো কদিন আগের ঘটনা। আম্মা নতুন একটা চশমা কিনে আনল। টেবিলে রাখা ছিল চশমাটা। নতুন চশমা! আমিও অতি উত্সাহের সঙ্গে চশমাটা দেখতে গেলাম। ধরা মাত্র হাত ফসকে নিচে পড়ে গেল চশমাটা। একটা গ্লাসও গেল ভেঙে। আমি তো ভয়ে একেবারে কাঁচুমাচু হয়ে গেলাম। কী করা যায় ভাবতে ভাবতেই একটা বুদ্ধি এল মাথায়। সবার নজর এড়িয়ে চশমাটা লুকিয়ে রাখলাম বালিশের নিচে। ভাবলাম আব্বা যখন শোবে, নিশ্চয়ই শব্দ হবে। আর বের করে দেখবে চশমাটা ভাঙা। যথারীতি আব্বা যখন শুলো, তখনই কড়াৎ করে শব্দ হলো। আর আম্মাও তখন দাঁড়িয়ে ছিল। ব্যস...আর যায় কই? একেবারে পুরোদমে ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। আব্বা তেমন কোনো প্রতিবাদই করতে পারল না। সেদিন হয়তো আমি বেঁচে গিয়েছিলাম, কিন্তু চশমা না ভেঙেও চশমা ভাঙার পুরো দায়িত্বটা সেদিন আব্বাকেই নিতে হয়েছিল।


তাসমিম সাদিয়া
দশম শ্রেণি, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল

গুড্ডু বুড়ার মতো হাবলু বুড়া

হাবলু বুড়ার একদিন খুব সর্দি লাগল। মা বলল, হাবলু বুড়া এক সেকেন্ডের জন্যও স্যান্ডেল ছাড়া থাকবে না। হাবলু বুড়া বলল, আচ্ছা। একটু পরে হাবলু বুড়াকে দেখে মা চিত্কার করে বলল, তুমি স্যান্ডেল নিয়ে বিছানায় উঠেছ কেন? হাবলু বুড়া বলল, তুমিই তো বলেছ স্যান্ডেল ছাড়া এক সেকেন্ডও না থাকতে।

নিরত্যয়
শিশুশ্রেণি, সেন্ট যোসেফ স্কুল, গণেশতলা, দিনাজপুর