প্রথম সংখ্যার চিঠিগুলো

কিশোর আলো নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হচ্ছে জানতে পেরে সারা দেশের শিশুকিশোরেরা অসংখ্য চিঠি পাঠিয়েছিল কিআ কার্যালয়ে। প্রথম সংখ্যায় ছাপা হয়েছিল সেখান থেকে নির্বাচিত কয়েকটি চিঠি।

অলংকরণ : তুলি
অলংকরণ : তুলি

*

কিশোর আলো বের করার উদ্যোগের জন্য আমি ততটাই কৃতজ্ঞ, যতটা স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি দিলে প্রধান শিক্ষিকার কাছে থাকি।

সৈয়দা তাবাসসুম কাওসার

সিলভার বেলস কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড গার্লস হাইস্কুল, চট্টগ্রাম

কিআ: তোমার চিঠি পেয়ে আমিও ততটাই খুশি, যতটা অফিস ছুটি হলে হই। নিয়মিত লেখা পাঠিয়ো।

আমার জন্য আলাদা ম্যাগাজিন, ভাবতেই নিজেকে কেমন ভিআইপি মনে হচ্ছে! অন্য সবারও নিশ্চয় আমার মতো অবস্থা।

সবাইকে বলে দিয়েছি, আমার কিশোর আলো আমি কাউকে দেব না।

সুন্দর আয়োজনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

দিবা আফরোজ, ঠিকানাবিহীন

কিআ: চিন্তা নেই, দিবা। তোমার ‘কিআ’ কাউকে ‘দিবা’ না। তোমার কাছেই রাখবা। ভালো থেকো।

 

প্রথম আলো নিয়ে আসছে কিশোরদের জন্য ঝলমলে মাসিক রঙিন পত্রিকা কিশোর আলো। পত্রিকায় এমন বিজ্ঞাপন দেখেই আমি চিৎকার দিয়ে বললাম, ‘কী মজা!...আমাদের জন্য পত্রিকা!’ এ জন্য আমি অনেক খুশি।

সিনথিয়া সালাম

মর্নিং গ্লোরি হাইস্কুল, পান্থপথ, ঢাকা

কিআ: তোমার চিঠি পেয়ে আমিও খুশিতে চিৎকার করে বলেছি (মনে মনে) কী মজা! সিনথিয়ার চিঠি! তোমাকেও ধন্যবাদ।

 

*

আমি ভাবতাম, পত্রিকার বেশির ভাগ বিষয়ই বড়দের জন্য। এর লেখক-পাঠকও সবাই বড়। কিন্তু কিশোর আলো হতে পারে সেই পত্রিকা, যেখানে আমাদের মতো কিশোরদের লেখা থাকবে। এতে লেখালেখির প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে। অভিনন্দন কিশোর আলো।

আন নাসের নাবিল

জামালপুর জিলা স্কুল, জামালপুর

কিআ: তোমাকে শুভেচ্ছা, নাবিল। তোমাদের লেখা নিয়েই তো কিশোর আলো। ভালো থেকো।

 

*

কিআ আংকেল, আমি তোমাকে ‘মামা’ বলে ডাকতে চাই। আপত্তি আছে? আর আমি একজন লেখক হতে চাই। আমার কাছে এখন প্রায় ২০টির মতো গল্প-কবিতা আছে। আমি সেগুলো এক এক করে কিশোর আলোতে পাঠাতে চাই এবং কিশোর আলোর একজন নিয়মিত লেখক হতে চাই।

মম মিশৌরিয়া

চাঁদপুর

কিআ: মম, তুমি নিশ্চিন্তে আমাকে ‘মামা’ ডাকতে পারো। বাঘ, চাঁদ, সূর্য—এমন গুরুত্বপূর্ণ সবকিছুকেই সবাই মামা ডাকে, বুঝলে? আর তুমি তোমার লেখাগুলো পাঠাতে থাকো। অপেক্ষায় রইলাম।

 

*

আমি অনেক পরামর্শ দিতে পারি। তাই কিআকেও আমি কিছু পরামর্শ দিতে চাই। তবে এখন সব লিখতে পারব না। আম্মু যদি দেখে, পড়া বাদ দিয়ে আমি এসব করছি, তবে আমাকে দেবে উত্তম-মধ্যম, আর দেবে অনেক অনেক উপদেশ। তবে আমার পরামর্শগুলো ভালো হলে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে আরও লিখব।

নাহিন সরকার

মুন্সিপাড়া, দিনাজপুর

কিআ: তোমার পরামর্শগুলো অসাধারণ! আমাদের খুব ভালো লেগেছে। তবে নাহিন, তুমি পড়া বাদ দিয়ে পরামর্শ দিয়ো না। পরামর্শ দিতে গিয়ে আম্মুর বকা খাওয়া ঠিক হবে না। পড়ার পাশাপাশি পরামর্শ দাও।

 

*

কিশোর আলো নামক মাসিক পত্রিকা বেরোচ্ছে জানতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত ও কৌতূহলী। আমার খুব ইচ্ছে, তোমাদের পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হোক। তোমাদের পত্রিকায় প্রকাশিত ছকটিও পূরণ করে পাঠালাম।

অন্বেষা অধরা

ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিলেট

কিআ: ধন্যবাদ অধরা। তোমার পূরণ করে পাঠানো ফর্মটি আমরা পেয়েছি। আমরাও চাই তোমাদের লেখায় ভরে উঠুক কিআর পাতা। তুমি আরও লেখা পাঠাও। ভালো থেকো।