জানালা দিয়ে খেলা

আরলো ও অ্যারাবেলা
আরলো ও অ্যারাবেলা

স্কুল ছুটি। খেলার মাঠেও খেলছে না কেউ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নিজেদের ঘরেই থাকছে সবাই। বিশ্বব্যাপী মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দীর্ঘ লকডাউনে কেউই দেখা করতে পারছে না প্রিয়জন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে।

বিষয়টি বড়দের জন্য যেমন দুর্বিষহ, ছোটদের জন্যও তেমনি। যুক্তরাজ্যের ইয়র্কশায়ারের ওয়েকফিল্ড শহরের দুই ভাইবোন আরলো আর অ্যারাবেলাকেও ভীষণ পীড়া দিচ্ছিল বিষয়টা। আরলোর বয়স তিন আর অ্যারাবেলার দুই। খেলার সাথির সঙ্গে দেখা করতে না পারা ও খেলতে না পারা নিয়ে দুজনেরই ছিল মন খারাপ। তাদের দুজনের প্রিয় খেলার সাথি তাদেরই প্রতিবেশী ছোট্ট লিও এডলিংটন। আগে যেখানে তারা তাদের বাড়ির উঠানে একসঙ্গে খেলত, সেখানে কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মানতে গিয়ে দীর্ঘদিন দেখাই হচ্ছে না। বজায় রাখতে হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। তবু আরলো ও অ্যারাবেলার মন মানতে চায় না। প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে দেখা করা ও কথা বলার আশায় তারা তাদের ট্রি হাউসে উঠে পাশের বাড়ির উঠোনে উঁকিঝুঁকি দিত।

বেড়ার এপাশে আরলো ও অ্যারাবেলা আর ওপাশে খেলার সাথী লিও
বেড়ার এপাশে আরলো ও অ্যারাবেলা আর ওপাশে খেলার সাথী লিও

বিষয়টি খেয়াল করেন দুজনের মা অ্যামি। ট্রি হাউসে চড়ে বেড়ার ওপর দিয়ে পাশের বাসায় উঁকিঝুঁকির ব্যাপারটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় তাঁর। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিশুদের দেখা করার চমৎকার একটি উপায় বের করেন তিনি। দুটি বাড়ির মধ্যখানের বাঁশের বেড়ার মাপ নিয়ে ইন্টারনেট থেকে কিনে ফেলেন প্লাস্টিকের স্বচ্ছ একটি প্যানেল। তারপর লিওর মায়ের সম্মতিতে দুই বাড়ির উঠানের মাঝের বেড়া কেটে সেখানে ঠিকঠাকমতো বসিয়ে দেন স্বচ্ছ প্যানেলটি। ব্যস! হয়ে যায় বেড়ার জানালা। 

দীর্ঘদিন পর মায়ের বানানো স্বচ্ছ জানালার দুপাশ থেকে খেলছে আরলো ও লিও
দীর্ঘদিন পর মায়ের বানানো স্বচ্ছ জানালার দুপাশ থেকে খেলছে আরলো ও লিও

এভাবে আরলো, অ্যারাবেলা ও লিও নিজেদের ঘরে থেকেই দেখা করতে পারছে একে অপরের সঙ্গে। তারা বহুদিন পর বন্ধুর দেখা পেয়ে বেশ খুশি। মা তাদের জন্য কিছু রঙিন মার্কারও কেনেন, যেন তারা প্লাস্টিকের দেয়ালে ছবি আঁকতে পারে, শিক্ষামূলক খেলা ও কাটাকুটি খেলতে পারে। 

সূত্র: গুড নিউজ নেট