করোনাকালের বিশেষায়িত শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান

এই করোনাকালে বিদ্যালয়গামী ৪০ লাখ শিশু ঘরবন্দী। আর্থসামাজিক অবস্থার অবনতি ও দারিদ্র্যের কারণে শিশুদের প্রতি সহিংসতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বাইরের কাজে যাওয়ার হারও। সংগত কারণেই বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুদের শিক্ষালাভ থেকে ঝরে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। তাদের শিক্ষালাভ অব্যাহত রাখতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে রক্ষা ও ঝরে পরা রোধ করতে সরকারসহ বিভিন্ন সংস্থা, শিক্ষাবিদ ও নীতিনির্ধারকেরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেকেই।

এই উদ্যোগ ও উদ্যোগের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে কিশোর আলোর ফেসবুক পেজে প্রতি সপ্তাহে প্রচারিত হচ্ছে শিক্ষাবিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান ‘হাতে নিয়ে আলোকবর্তিকা’। তরুণ শিক্ষাগবেষক মুনিয়া ইসলাম মজুমদার ও তাসনিম আফরোজের উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্ব প্রচারিত হবে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে। এবারের বিষয়, ‘করোনাকালে বিশেষায়িত শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা, সুরক্ষা ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ’।

এ পর্বে আলোচক হিসেবে থাকছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক শাহ্ শামীম আহমেদ, মোনঘরের নির্বাহী পরিচালক অশোক কুমার চাকমা, প্রয়াস ইনস্টিটিউট অব স্পেশাল এডুকেশনের উপ্যাধ্যক্ষ আফরোজা সুলতানা এবং বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের পরিচালক তামান্না সেতু। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমতল ও পাহাড়ের এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি, সমন্বয় সাধন ও সম্পৃক্ততা রক্ষা নিয়ে কথা বলবেন আলোচকেরা।

এ আয়োজনের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার কিশোর আলো। ইয়ুথ এঙ্গেজমেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে প্রথম আলোর ফিচার পাতা স্বপ্ন নিয়ে। এ ছাড়া নলেজ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) ও টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে রয়েছে লাইট অফ হোপ। আলোচনাটি কিশোর আলোর পেজ ছাড়াও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। 

এর আগে গত ১৮ জুলাই হাতে নিয়ে আলোকবর্তিকা অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্ব প্রচারিত হয়। আলোচনায় বক্তারা বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল শিক্ষামাধ্যমের গঠনমূলক ও সমন্বিত প্রয়াসের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।   

ছয় পর্বের এই আলোচনা অনুষ্ঠানটির বাকি পর্বগুলো প্রতি শনিবার সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় অনুষ্ঠিত হবে।