ঈদের ছুটিতে কি ব্যায়াম বন্ধ?

>

ছুটির মধ্যে রোজকার রুটিনের ব্যত্যয় তো স্বাভাবিক। তবু যতটা পারেন, শরীরচর্চায় সময় দিন। প্রয়োজনে ব্যায়ামের ধরন একটু বদলে নিন

ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে উৎসব উদ্‌যাপনের আনন্দ অতুলনীয়। তবে যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করেন, ছুটির অবকাশে তাঁদের কিঞ্চিৎ অনিয়ম হয়ে থাকে। এতে ব্যায়ামের ধারাবাহিকতা বা শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। আবার ঈদের সময় মুখরোচক খাবারের সঙ্গে প্রায় সবারই বেশ খানিকটা বাড়তি ক্যালরি গ্রহণ হয়ে যায়। এর ফলে ছুটির পরে তাঁরা ওজনের কাঁটা বাড়তির দিকে দেখে মন খারাপ করেন।

ছুটির মধ্যে রোজকার রুটিনের ব্যত্যয় তো স্বাভাবিক। তবু যতটা পারেন, শরীরচর্চায় সময় দিন। প্রয়োজনে ব্যায়ামের ধরন একটু বদলে নিন। যে বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন, সেখানে তাঁদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল, সন্ধ্যা বা সুবিধাজনক সময়ে হাঁটতে পারেন।

ঢাকা থেকে দূরে, গ্রামে বা মফস্বলে গেলে আরও ভালো, দূষণমুক্ত খোলা হাওয়ায় প্রতিদিন একটু হাঁটাচলা করুন। শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। তাদের সঙ্গে দৌড়ঝাঁপ, বল লোফালুফি বা সাইকেল চালানোর মতো কাজে ছুটিটাও আনন্দময় হয়ে উঠবে। পুরোনো স্মৃতিময় জায়গাগুলোতে ওদের নিয়ে বেড়াতে যান, হাঁটুন, পুরোনো লোকজনের সঙ্গে দেখা করুন। সাঁতারের সুযোগ থাকলে সেটা পুরোপুরি কাজে লাগান। বাইরে বেরিয়ে ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটির সুযোগ না থাকলে ঘরে যেসব ব্যায়াম করা সম্ভব, সেগুলোই অনুশীলন করুন। আপনজনদেরও উৎসাহ দিন; একসঙ্গে হাঁটুন বা দৌড়ান। বসে বা শুয়ে বিভিন্ন ব্যায়াম করতে পারেন।

ছুটিতে অন্যান্য দিনের মতো ক্যালরি পোড়ানোর সুযোগ না-ও থাকতে পারে। তাই বলে শরীরচর্চা একেবারে বন্ধ রাখাও চলবে না। বরং ছুটিটা উপভোগ করতে করতেই যতটা সম্ভব ব্যায়াম চালিয়ে যান। এতে মন ও শরীর দুটোই সতেজ থাকবে, ওজন বাড়ার আশঙ্কা কমবে।

রাফিয়া আলম