চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব নেই, আছে আতঙ্ক

ঢাকার পর চট্টগ্রামে চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে মানুষের মধ্যে। তবে চট্টগ্রামে এখনো রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। ছয়জন রোগীকে সন্দেহজনকভাবে চিকুনগুনিয়া বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকায় চিকুনগুনিয়ার আশঙ্কাও চিকিৎসকেরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কারণ এডিস মশার কামড়ে এই রোগ দুটি ছড়ায়।

জুন মাসে চট্টগ্রামে ৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। এই সংখ্যা ছিল আগের মাসের চেয়ে ১৯ জন বেশি। জুলাই মাসের প্রাথমিক হিসাবে বিভিন্ন উপজেলায় পাঁচজন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। তবে চট্টগ্রাম নগরে কী পরিমাণ ডেঙ্গু রোগী ছিল তার হিসাব পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ডেঙ্গু রোগী যে হারে পাওয়া যাচ্ছে তাতে চিকুনগুনিয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা এখন পর্যন্ত এ ধরনের লক্ষণযুক্ত ছয়জনের মতো রোগী পেয়েছি। কিন্তু নিশ্চিত করে বলতে পারছি না তাঁরা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হয়। তাই যেহেতু এডিস মশা রোগ ছড়াচ্ছে, সে কারণে চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মে মাসে চট্টগ্রাম নগরে ৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত মাসে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায় ৭৫ জন। তবে তাঁরা এখন সুস্থ রয়েছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক মো. নুরুল হায়দার বলেন, লোকজন জ্বর হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু চট্টগ্রামে এখনো চিকুনগুনিয়ার রোগী পাওয়া যায়নি।