ঈদে সাজুক খাবার টেবিল

খাবার টেবিলে বাড়তি জিনিস না রাখাই ভালো। ছবি: নকশা
খাবার টেবিলে বাড়তি জিনিস না রাখাই ভালো। ছবি: নকশা

ঈদুল আজহায় সাজ পোশাক নিয়ে তেমন কোনো আয়োজন না থাকলেও প্রতিটি বাড়িতে আয়োজন থাকে খাবার নিয়ে। নানা ধরনের ভারী রেসিপির সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় খাবার থাকেই। এই ঈদে দুপুর থেকেই শুরু হয় অতিথির সমাগম। অতিথিদের অভ্যর্থনা থেকে আপ্যায়ন, সবকিছুতেই চাই রুচি এবং আন্তরিকতার ছোঁয়া। খাবার টেবিলটি হওয়া উচিত পরিপাটি এবং সাজানো গোছানো। টেবিল ছোট হোক কিংবা বড়, সঠিকভাবে খাবার পরিবেশন করলে খাবার টেবিল হয়ে উঠবে নান্দনিক।

ঈদের দিন খাবার টেবিল সুন্দরভাবে সাজাতে টেবিলম্যাট, রানার ও ন্যাপকিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান ফারজানা’স ব্লিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা গাজী। তিনি জানান, বাসনকোসন সাদা বা স্বচ্ছ হলে প্লেসম্যাট বা টেবিলম্যাটে থাকতে পারে গাঢ় কোনো রং। বাজারে বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন উপাদানে তৈরি টেবিলম্যাট পাওয়া যায়। এ ছাড়া ন্যাপকিন রাখার ধারায় আনতে পারেন নতুনত্ব। যেমন ন্যাপকিন ভাঁজ করে তা রেখে দিতে পারেন কাচের গ্লাসে। সেই সঙ্গে বাঁশ, বেত, স্টিল ও কাপড়ের টিস্যু বক্স বা ছোট টিস্যু হোল্ডার পাওয়া যায়। প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি এগুলো সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। উৎসবে তাজা ফুল ছাড়া যেন আয়োজনটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ফুলের পাশাপাশি খাবার টেবিলে রুপার ফুলদানি আর মোমের শো-পিস অভিজাত আবহ তৈরি করতে পারে।

ঈদের দিন অনেক রকমের রান্নার আয়োজন করা হয়। তাই অতিথি আপ্যায়নে প্রয়োজনীয় থালাবাটি সামনেই রাখা উচিত। পানির জন্য বড় গ্লাস, পানীয়র জন্য একটু ছোট গ্লাস রাখা যেতে পারে। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। টেবিল ও আনুষঙ্গিক জিনিসগুলো পুরোনো হলেও পরিষ্কার থাকলে দেখতে ভালো লাগবে।

কিছু টিপস

খাবার গরম রাখতে ঢাকনাসহ বাটিতে পরিবেশন করুন।

খাবার সময় টেবিলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা উচিত।

টেবিলে যেকোনো এক ধরনের তৈজসপত্র ব্যবহার করুন। সিরামিক হলে সব জিনিসই সিরামিকের তৈরি অথবা ক্রিস্টাল হলে শুধু ক্রিস্টালের জিনিস ব্যবহার করলে দেখতে ভালো লাগবে।

টেবিলের ওপর এমন উঁচু কিছু রাখা ঠিক না, যেটা চেয়ারে বসলে অন্য সবার চেহারা দেখতে বা দৃষ্টিতে বাধা সৃষ্টি করে।

টেবিল সাজাতে অতিরিক্ত কোনো কিছু ব্যবহার না করাই ভালো। মনে রাখতে হবে, এটি খাবার টেবিল। খাবারই এই টেবিলের মূল বিষয়।