সাঁতারে সুস্থতা

সাঁতার খুবই উন্নত ব্যায়াম। নানা ভঙ্গিতে সাঁতার দেওয়া যায়। যে ভঙ্গিতেই সাঁতার কাটুন, ক্যালরি খরচ হবে অনেকটা। একজন ৭০ কেজি ওজনের মানুষ সাধারণ ভঙ্গিতে ৩০ মিনিট সাঁতার কাটলে গড়পড়তা ২২৩ ক্যালরি খরচ হয়। একই ব্যক্তি একই সময় ব্যাকস্ট্রোকে সাঁতার কাটলে মোটামুটিভাবে ২৯৮ ক্যালরি আর ব্রেস্টস্ট্রোকে ৩৭২ ক্যালরি ক্ষয় করতে পারেন। আবার ৩০ মিনিট সময়েই সাধারণ ভঙ্গিতে আরও বেশি শক্তি দিয়ে সাঁতার কাটলে ৩৭২ ক্যালরি ক্ষয় সম্ভব।

সাঁতার জানলেও অনেকের নিয়মিত সাঁতারের অভ্যাস নেই। কিন্তু নিয়মিত সাঁতার হতে পারে একটা চমৎকার ব্যায়াম। ব্যায়ামের জন্য খানিকটা ধীরে সাঁতার শুরু করুন। কিছুক্ষণ সাঁতার কাটার পর খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও বিরতি নিন। ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। সাঁতারের ধরনে ভিন্নতা আনতে পারেন।

হাঁটু বা কোমরের ব্যথার কারণে অনেকে হাঁটতে বা ব্যায়াম করতে পারেন না। এমন অবস্থায় সাঁতার হতে পারে দারুণ কার্যকর ব্যায়াম। সাঁতার অস্থিসন্ধির কার্যপরিধি ও শক্তি বাড়ায়। মেরুদণ্ড, ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডের সুস্থতায় সাঁতার ভালো। সাঁতারের সময় শরীরের প্রায় প্রতিটি অংশই পানির চাপের বিরুদ্ধে কাজ করে। এর ফলে মাংসপেশি সুস্থ থাকে।

সাঁতারের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। পরিচিত কয়েকজন মিলে একসঙ্গে সাঁতারের সময়টা ঠিক করে নিতে পারেন। এতে মনও প্রফুল্ল থাকবে, বিপদে পাশে পাবেন বন্ধুদের। মৃগী রোগীদের পানিতে না যাওয়াই ভালো। অপরিষ্কার পানিতে সাঁতার কাটলে কানে জীবাণুর সংক্রমণ এবং ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ডা. রাফিয়া আলম
স্কয়ার হাসপাতাল