কীভাবে এল কৌতুক?

প্রাচীনকালেও যাপিত জীবনের নানা বিষয় নিয়ে মানুষ কৌতুক করত। তবে গবেষকদের মতে, কৌতুকের প্রচলন খ্রিষ্টপূর্ব ১৯০০ বছর আগে। আর সুমেরীয় সভ্যতা থেকে পৃথিবীর ইতিহাসের প্রাচীনতম কৌতুকগুলো পাওয়া যায়। এই সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল বর্তমান ইরাকের দক্ষিণ অঞ্চলে। তখনকার মানুষ প্রসাধন নিয়ে বিভিন্ন রকম হাস্যরসাত্মক গল্প বলত। এমন তথ্য হাজির করেছেন যুক্তরাজ্যের উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাচীন ১০ কৌতুকের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে। সেখান থেকে আরও জানা যায়, খ্রিষ্টপূর্ব ১৬০০ শতকের ফেরাউন রাজা স্নফ্রুর (২৫৭৫-২৫৫১ খ্রিষ্টপূর্ব) শাসনামলে মিসরেও মজার মজার সব কৌতুক মানুষের মুখে মুখে ছিল। এসব কৌতুক থেকে নাকি ফেরাউন রাজারাও রেহাই পেতেন না। বলা যায়, সে যুগের সবচেয়ে মজার কৌতুকগুলোর প্রচলন শাসকগোষ্ঠীর নানা ধরনের বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করতেই।

আধুনিক কৌতুকের প্রচলন সে ধারারই ফসল। পশ্চিমা দুনিয়ায় মানুষ কৌতুকের সঙ্গে পরিচিত হয় দশম শতাব্দীর দিকে। যুক্তরাজ্যে অ্যাংলো-স্যাক্সন (৪১০ থেকে ১০৬৬ সাল) সময়ের মানুষকে নিয়ে যে কৌতুকগুলো প্রচলিত ছিল, সেগুলোই যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে প্রাচীন কৌতুক। আর ভারতবর্ষে ঠিক কবে থেকে কৌতুক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, তা হলফ করে বলা মুশকিল। তবে সম্রাট আকবরের মোগল সাম্রাজ্যের অন্যতম সভ্য বীরবলের (১৫২৮-১৫৮৬ সাল) কৌতুকগুলো এখনো এ অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

রয়টার্স অবলম্বনে আকিব মো. সাতিল