কিশোরীর পছন্দের শাড়ি

একটা সময় ছিল, যখন কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কিশোরীরা মায়ের শাড়িই বেছে নিত। তবে এখন বছরজুড়েই থাকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন। এই যেমন পয়লা ফাল্গুন, নববর্ষ, বর্ষাবরণ আরও কত কী। বর্ণিল এসব উৎসবে দেখা যায়, শাড়িতে সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিশোরীরা। এসব উৎসবে শাড়ি কেনার জন্য অনেকের আলাদা বাজেটও থাকে।

টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের স্বত্বাধিকারী মুনিরা ইমদাদ বললেন, ‘সাধারণত দেশীয় কোনো উৎসব, যেমন পয়লা ফাল্গুন বা পয়লা বৈশাখে দেশীয় উপাদানে তৈরি  শাড়ির প্রতি ঝোঁকটা বেশি থাকে কিশোরীদের। খুব জমকালো নয়, একরঙা জমিন বা হালকা নকশাই ওদের পছন্দ। তবে শাড়ি পরার কায়দায়, শাড়ির নকশায় একটু নতুনত্ব আনতে পছন্দ করে কিশোরীরা।

কিশোরী মেয়েটি সুতি বা মসলিন শাড়ি পরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে, তবে শাড়ি পরার কায়দায় দেখা যাবে ভিন্নতা। যেমন সামনে আঁচল দিয়ে শাড়ি পরছে। না হলে শাড়ির আঁচলটাকে স্কার্ফের মতো করে পেঁচিয়ে নিচ্ছে গলায়। শুধু শাড়িই নয়, ব্লাউজের ঢঙে একটু স্টাইলিশ ভাব বজায় রাখাটা কিশোরীদের পছন্দ।

এদিকে গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে যেসব কিশোরী সাজতে আসে, তারা এসব অনুষ্ঠানে একটু ঐতিহ্যবাহী সাজটাই পছন্দ করে। এই যেমন এক প্যাঁচে শাড়ি, খোঁপায় বাঁধা ফুল, এমনটাই তাদের পছন্দ, বলছিলেন মিউনিস ব্রাইডালের রূপ বিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমীন। তবে বিয়েবাড়ি, বন্ধুদের জন্মদিন বা রাতের কোনো দাওয়াতে জর্জেট বা শিফনের শাড়িতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে কিশোরীরা।

কোথায় পাবেন

কিশোরীদের জন্য আলাদা করে শাড়ির সংগ্রহ না থাকলেও তাদের পছন্দ অনুযায়ী শাড়ি যেকোনো দেশীয় ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যাবে। শাড়িতে ব্যতিক্রমী নকশা বরাবরই কিশোরীদের পছন্দ। গামছা, মসলিন বা সিল্কের শাড়িতে ফ্রিল বসানো, একটু নতুন ধরনের এসব শাড়ি পাবেন বিবি প্রোডাকশনে। গায়েহলুদ বা পয়লা ফাল্গুনে যাঁদের একরঙা সুতি শাড়ি পছন্দ, তাঁরা যেতে পারেন দেশালে। বিবিয়ানাতেও কিশোরীদের পছন্দসই শাড়ি পাওয়া যাবে। ড্রেসিডেল, দোয়েল সিল্ক, রে–লু–সেতে পাওয়া যাবে সিল্ক, জর্জেট বা শিফনের শাড়ি, যা কিশোরীরা জমকালো অনুষ্ঠানে পরতে পারে।

এ ছাড়া রাজধানীর গাউছিয়া, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, মৌচাক মার্কেটসহ শাড়ির বিভিন্ন বাজারে কিশোরীদের শাড়ি পাওয়া যায়। বিশেষ করে পয়লা বৈশাখ, পয়লা ফাল্গুনের সময় কিশোরীদের শাড়ি বেশি পাওয়া যায়।  

বিপাশা রায়